লাগেজ ভ্যান যুক্ত হলো আন্তঃনগর ট্রেনে
বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনে যুক্ত হলো লাগেজ ভ্যান। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও অন্যান্য মালামাল রাজধানী শহরে কম খরচে পরিবহন করতেই রেলের এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
মন্ত্রী বলেন, ‘১৬টি ট্রেন দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে সবকটিতে সংযোজন করা হবে লাগেজ ভ্যান।’
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সিলেটগামী আন্তঃনগর জয়ন্তিকা ট্রেনে লাগেজ ভ্যান সংযোজনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী।
মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘প্রকল্প নেয়া হয়েছে ৩০০ কোটি টাকার। শুধু কৃষি পণ্যই নয়, কৃষকের উৎপাদিত মাছ-মাংস ও দুধ পরিবহন করা যাবে রেফ্রিজারেটর (ফ্রিজিং) লাগেজ ভ্যানে। এ প্রকল্পের জন্য ১২৫টি লাগেজ ভ্যান ও ফ্রিজিং লাগেজ কেনা হয়েছে যা পর্যায়ক্রমে সব ট্রেনে লাগানো হবে।’
রেলপথমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা মাত্র শুরু করলাম। আড়তদার ও বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। ভবিষ্যতে এটাকে বহুমুখী করার জন্য অন্যান্য পরিবহনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আসতে হবে।’
প্রসঙ্গত, প্রায় দেড়শ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা হয়েছে রেলের ২৮টি ফ্রিজিং কোচ। প্রায় ৩০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পে কেনা হয়েছে ৯৭টি লাগেজ ভ্যানও। উদ্দেশ্য কৃষিপণ্য পরিবহন করা। তবে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মতে, ঢাকার বাজারের সঙ্গে ট্রেনের শিডিউল মিল না থাকায় শাক-সবজি পরিবহনে আগ্রহী হবেন না কেউ।
এর আগে সরকার ২০১৮ সালের ২৬ জুন পণ্য পরিবহন ও যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে রোলিং বহরে স্টক যুক্ত করার লক্ষ্যে ৩ হাজার ৬০২ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন প্রকল্পের (রোলিং স্টক সংগ্রহ) অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ২ হাজার ৮৩৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ঋণ দেবে। প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত হলেও পরে তা বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/পিআর/এফএ)