বই পড়ার তালিকায় ‘অসমাপ্ত আত্নজীবনী’ থাকুক: শিক্ষামন্ত্রী

পাঠ্যবইয়ের বাইরে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। দেশের সত্য ইতিহাস জেনে আত্নশক্তিতে বলীয়ান হতে তাদের বই পড়ার তালিকায় ‘অসমাপ্ত আত্নজীবনী’ বইটি রাখতে বলেন তিনি।
রবিবার সকালে রাজধানীর তিতুমীর কলেজের শহীদ বরকত মিলনায়তনে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র পরিচালিত 'অসমাপ্ত আত্নজীবনী' গ্রন্থের পাঠ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাঠাবইয়ের বাইরে অন্তত কয়েকটি বই হলেও শিক্ষার্থীরা পড়ুক এটা আমরা চাই। যে কয়েকটি বই তাদের অবশ্যই পড়া উচিত সেগুলো মধ্যে আমার মনে হয় তালিকার প্রথমেই জায়গা নেবে পিতা মুজিবের ‘অসমাপ্ত আত্নজীবনী’ বইটি। বইটি পড়লে শুধু একজন মানুষের সংগ্রাম এবং ত্যাগ সম্পর্কেই নয় বরং সেই সময়ের সবচেয়ে সত্য ইতিহাসকেও জানতে পারি। টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে জাতির পিতা হয়ে ওঠার পথপরিক্রমা জানা যাবে এই বইপাঠের মাধ্যমে। এছাড়াও এই দেশের ত্যাগ, সংগ্রাম এবং অর্জন সম্পর্কে জেনে আত্নশক্তিতেও বলীয়ান হতে পারবে। তাই আমাদের কাঙ্খিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলবার জন্য এটি একটি অবশ্যপাঠ্য বই।
দীপু মনি বলেন, আমার মনে হয়েছে তিনি যদি রাজনীতিবিদ না হয়ে লেখক হতেন তাহলেও অসাধারণমানের লেখক হতেন। কারণ তার শব্দ চয়ন এবং বর্ণনা অসাধারণ। এই বর্ণনা পড়লে মনে হয় চোখের সামনে সবকিছু ঘটছে। বইটি যেন আমাদের সঙ্গে কথা বলে।
বইটির পান্ডুলিপি বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে পৌঁছানোর সময়টা ভীষণ কষ্টের উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তখন বিএনপি-জামায়াত অনুসারীরা বঙ্গবন্ধু কন্যাসহ সমগ্র আওয়ামীলীগ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করে দেবার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলো। সেদিনের সেই নারকীয় ঘটনার পর এই পান্ডুলিপি তার হাতে এলো। তাই এই পান্ড’লিপিকে তিনি প্রয়াত বাবার আশীর্বাদস্বরুপ দেখেছেন। পরে বঙ্গবন্ধুর দুইকন্যা তাদের সমস্ত ভালোবাসা দিয়ে বইটি প্রকাশ করে আমাদের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন। আমরা কত সৌভাগ্যবান যে বঙ্গবন্ধুকন্যা সেদিন বেঁচে গিয়েছেন বলে বইটিসহ কারাগারের রোজনামচা এবং আমার দেখা নয়া চীন বইটি হাতে পেয়েছি।
দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা যেমন গত তার পিতার অসমাপ্ত কাজ শেষ করা জন্য গত ৪২ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন তেমনি ঘাতকেরাও গত ৪২ বছরে অন্তত ২১ বার বঙ্গবন্ধুকণ্যাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। এখনও তারা প্রতিমুহূর্তে অস্ত্রে শান দেয়। তাই স্মার্ট অর্থাৎ কর্মঠ, সহমর্মী ও মানবিক মানুষ হিসেবে তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। আমি আশা করি তরুণ প্রজন্ম প্রত্যেকে মনে করবে ‘আমিই সমাধান’। যারা নিজের মতো করে সমাধান খুঁজবে এবং সমাধান করবে।
অনুষ্ঠানে তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌস আরা বেগমের সভাপতিত্বে আহ্বায়ক ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আলেয়া আকতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র পরিচালক মিনার মনসুর। এছাড়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রিপন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়লসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/টিএ/কেএম)
সংবাদটি শেয়ার করুন
শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
শিক্ষা এর সর্বশেষ

নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্বময় প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান উপাচার্যের

নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্বময় প্রতিযোগিতায় প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান উপাচার্যের

কাগজে কলমে আটকে আছে জবির প্রধান ফটক নির্মাণ পরিকল্পনা

বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের ছড়াছড়ি, প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসন

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার

ঢাবি ব্যান্ড সোসাইটির সভাপতি ইনজামাম ও সম্পাদক রুদ্র

ঢাবিতে এক যুগলের বসা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি

হাবিপ্রবিতে পিঠা উৎসব ও সংগীতানুষ্ঠান

২৭ পেরিয়ে ২৮ বছরে চবিসাস
