তেজগাঁওয়ে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত ভুবন মারা গেছেন

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনের উদ্দেশে চালানো গুলিতে আহত ভুবন চন্দ্র শীল মারা গেছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।
ভুবন চন্দ্র শীলের শ্যালক তাপস মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার সময় ভুবন ওইদিক দিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
দীর্ঘ ২০ বছর কারাগারে থাকার পর বের হন শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি তেজগাঁও দিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা তাকে উদ্দেশ্য করে গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ভুবন চন্দ্র শীল এবং মো. আরিফুল নামে দুই পথচারী আহত হন। পরে এ ঘটনায় মামলা হয়।
ঘটনার পরের দিন দুপুরে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তেজগাঁও বিজি প্রেস এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গুলিতে দুই পথচারী আহত হয়েছেন। এছাড়া শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি সন্ত্রাসী মামুন পিয়াসা বার থেকে ফেরার পথে তার মাইক্রোবাসে হামলা হয়।’
মামুন ২০ বছর জেল খেটে বের হয়েছেন জানিয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
ডিবিপ্রধান বলেন, ‘সন্ত্রাসী ইমন জেলে মামুনকে হুমকি দিয়েছিল। ইমনের লোকজন মামুনের ওপর হামলা করেছে বলে ধারণা করছি। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে সব কিছুই বেরিয়ে আসবে।’
জানা গেছে, ভুবন চন্দ্র শীল গোমতী টেক্সটাইল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের আইনি পরামর্শক হিসেবে কাজ করতেন। গুলশানে তার কার্যালয়। ঘটনার দিন রাতে কাজ শেষে সেখান থেকে আরামবাগের বাসায় ফেরার পথে তিনি গুলিবদ্ধ হন। আরামবাগের বাসায় তিনি একাই থাকতেন।
তার স্ত্রী রত্না রানী শীল একমাত্র সন্তানকে নিয়ে থাকেন নোয়াখালীর মাইজদীতে। রত্না মাইজদীর একটি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক।
(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/এসএস/এফএ)

মন্তব্য করুন