তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট হলে আ.লীগের ভরাডুবি হবে: নজরুল ইসলাম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন সম্ভব না। তিনি বলেন, সবাই এখন পরিবর্তন চায়। এই সরকারের পতন হবেই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ভরাডুবি হবে আওয়ামী লীগের।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর গাবতলীতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞায় ভয় পেয়েও ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা এ নিয়ে চাপাবাজি করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞায় সরকার বিপদে আছে। এটা বোঝা যায়। বিভিন্ন বক্তৃতায় চাপাবাজি করছে। ছেলে-মেয়েরা আমেরিকায় যেতে পারছে না, ফিরে আসছে। বড় বড় সরকারি কর্মকর্তারা ভিসার দরখাস্ত দিয়ে রিজেক্ট হয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে কান্নাকাটি চলছে। আর বাইরে এসে মাইকের সামনে বলছেন এই সব স্যাংশন, এই সব রেস্ট্রিকশসন তারা পরোয়া করেন না। তিনি বলেন, জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত। যাদের কারণে এই লজ্জা, তাদের আর বহন করার কোনো প্রয়োজন নাই।
চলমান সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে অংশ নিতে দলমত-নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানান নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, আমাদের দাবি ন্যায্য। আমরা জনগণের পক্ষে আছি। জনগণ আমাদের পক্ষে আছে। বাংলাদেশের সবাই পরিবর্তন চায়। এই সরকারের পতন অবশ্যই হবে। বাংলাদেশের জনগণ শুধু নয়, গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এই সরকারের পতন হবেই হবে। যারা এই সরকার পতনের আন্দোলনে আছেন, তাঁরা স্বৈরাচারের পতন করেছেন বলে গৌরব করবেন। আর যাঁরা আন্দোলনে আসছেন না, তাঁরা আক্ষেপ করবেন আর বলবেন আ হা! স্বৈরাচারবিরোধী এই আন্দোলনে থাকতে পারলাম না!’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে তাদের মাঝে ফিরে পেতে চায়। তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক। খালেদা জিয়া পালিয়ে যাওয়ার মানুষ না। তিনি জীবনে কখনো পালিয়ে যাননি।
আরেক স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বেগম সেলিমা রহমান অভিযোগ করেন, ক্ষমতায় আসতে নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগ। তবে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না নিলে এবং নেত্রীর কিছু হলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে।
সরকারের পদত্যাগ ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডাক্তার ফরহাদ হালিম ডোনার, সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব আমিনুল হক।
যানজটে ভোগান্তি:
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা ২টা থেকে সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই নেতা-কর্মীরা এসে জড়ো হন। গাবতলী বাস টার্মিনালসংলগ্ন ব্যস্ত সড়কটিই ছিল এই সমাবেশের স্থান। সমাবেশ শুরুর আগে থেকে শেষ হওয়ার পরেও অনেকটা সময় ধরে সড়কের এক পাশের অনেকটা অংশ অবরুদ্ধ থাকে। চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই পথে যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ ছিল। এর প্রভাবে এই এলাকার পাশাপাশি আশপাশের এলাকার সড়কেও প্রচ- যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা গড়ানের সঙ্গে থেমে থাকা বাহনের সারি দীর্ঘ হতে থাকে, চরম ভোগান্তিতে পড়েন অফিস ফেরত মানুষেরা। সমাবেশ শেষ হওয়ার বেশ কিছু সময় পরেও অবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। জনভোগান্তি এড়াতে রাস্তার একটা অংশ গাড়ি চলাচলের জন্য ফাঁকা রাখতে মঞ্চ থেকে বারবার নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করা হয়। যদিও সেই অনুরোধ কানে তোলেননি নেতা-কর্মীরা। এদিকে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে সমাবেশস্থলের চারপাশে সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/জেবি/কেএম)
সংবাদটি শেয়ার করুন
রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
রাজনীতি এর সর্বশেষ

এবারের জাতীয় নির্বাচন সহজ নয়: নাছিম

মৃত বিএনপি নেতাকে আড়াই বছরের সাজা

বিএনপির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে চুপ থাকা বুদ্ধিজীবীরা সুবিধাবাদী: তথ্যমন্ত্রী

নাশকতা মামলা: টুকু-জুয়েলের দুই বছরের কারাদণ্ড

নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করতে আ.লীগ দেশকে বিপর্যয়ের পথে ঠেলে দিয়েছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

অবরোধের সমর্থনে ধানমন্ডিতে ছাত্রদলের মিছিল

শ্রমজীবী মানুষদের প্রতি নির্দয় আচরণ করছে সরকার: এবি পার্টি

স্বৈরশাসককে বিদায় করতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই: এলডিপি

নির্যাতিত ও কারাবন্দি নেতাদের পরিবারের পাশে বিএনপি
