খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের ‘না’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে সরকার যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছে, এ অবস্থায় তার বিদেশে চিকিৎসার কোনো সুযোগ নেই বলে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে পরিবারের করা আবেদনে এমন মতামত দিয়ে আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার দুপুরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের একথা জানান।
এর আগে রবিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আজ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে কি না, এ বিষয়ে ফাইল দেখে মতামত দেওয়া হবে।’
গত ২৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন।
আবেদনটি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।তিনি এও বলেছিলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মতামত দিয়েছেন তাই আইনের অবস্থান এবং সেটাই সঠিক।’‘আইনগতভাবে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ নেই’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, অতি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে হলে আবার জেলে যেতে হবে। এরপর আদালতে আবেদন করতে হবে। আদালত অনুমতি দিলে তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন।’
খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। আবেদনটি মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এখন আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ওপর নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি।
শারীরিকভাবে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। এছাড়াও আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। লিভারের পুরনো জটিলতা বাড়ায় অন্য রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতাও দিনে দিনে কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লকও ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে থাকেন। প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/০১অক্টোবর/এফএ)
সংবাদটি শেয়ার করুন
রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
রাজনীতি এর সর্বশেষ

সরকার এবং উচ্ছিষ্টভোগীদের দিয়ে একতরফা নির্বাচন করাচ্ছে ইসি: সমমনা জোট

রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জনগণের ভোটে জিতে গেলে আমাদের কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ প্রতারক, জনগণ ভোট দেবে না: ১২ দলীয় জোট

আসন বণ্টনের খুব একটা প্রয়োজন মনে করছি না: চুন্নু

শাহবাগে ছাত্রদল নেতা রাকিবের নেতৃত্বে মিছিল

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: ইসিতে তৃতীয় দিনের মতো চলছে আপিল

ওবায়দুল কাদেরের বছরে আয় ৩৮ লাখ, বই লিখে সোয়া ৪ লাখ

বৃষ্টিতে ভিজে রাজধানীতে রিজভীর নেতৃত্বে পিকেটিং
