শান্তি পেতে হলে আবারও নৌকায় ভোট দিতে হবে: এমপি মকবুল

শান্তি পেতে হলে আবারও নৌকায় ভোট দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো শান্তির দেশ আর কোথাও নাই। সরকার সবার ঘরে শান্তি এনেছে। এজন্য শান্তি পেতে আবারও নৌকায় ভোট দিতে হবে। এসব ভুলে গেলে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারবেন।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে বর্তমান সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মকবুল হোসেন আরও বলেন, 'দেশের সাধারণ মানুষের জন্য ১৭ রকমের ভাতা চালু করেছে সরকার। আজকে শেখ হাসিনার সরকারের সুফল ভোগ করছে সবাই। ছোট শিশুরা বছরের প্রথমদিনে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে নিতে বাড়ি যায়। ১৫ বছর আগে সারের জন্য কৃষকদের দৌঁড়াতে হয়েছে। এখন আর কাউকে দৌঁড়াতে হয় না।
দেশে সরকারের ১৫ বছরের নানা উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মকবুল হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ ছিল না, আপনারা সারারাতে বিদ্যুৎ পেতেন না। ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল, বর্তমান সরকার এসে ৩৩০০ মেগাওয়াট করেছে। প্রয়োজন না থাকলেও দুই ঈদে চাল দেয়া হচ্ছে, টিসিবির পণ্য দেয়া হচ্ছে। তাই আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। স্বাগত বক্তব্য দেন, অনুষ্ঠানের সভাপতি ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমীয়া আক্তার রোজী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, অষ্টমনিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতানা জাহান বকুল, ভাঙ্গুড়া উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম, অষ্টমিনষা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অষ্টমনিষা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মারুফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, অষ্টমনিষা ইউনিয়নের অসহায়, দুস্থ্য ও দরিদ্র মানুষকে বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীর আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে বয়স্ক ভাতা ৬৪৯ জন, বিধবা ভাতা ৪০৮ জন, প্রতিবন্ধী ভাতা ৩৫০ জন, হরিজন ভাতা ১২ জন, ভিডাব্লিউবি ৩৫৫ জন, মাতৃত্বকালীন ভাতা ১৪১ জন, খাদ্যবান্ধব সহায়তা ৮৫৬ জন, টিসিবির পণ্য বিতরণ ৮৬৮ জন, ভিজিএফ ১২৭০ জন, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ৫ জন, ৩৫টি মসজিদ ও ২টি মন্দিরে সহায়তা, গৃহ পূনর্বাসন ৭ জন এবং অতি দরিদ্র্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (৪০ দিনের) ৮২ জন।
(ঢাকাটাইমস/৩অক্টোবর/এআর)

মন্তব্য করুন