ঝুঁকিপূর্ণ ছাদের নিচে ঠাঁই পুলিশ সদস্যদের, আতঙ্কে ঘুম হয় না রাতে

মোস্তফা খান, নরসিংদী
| আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৩৯ | প্রকাশিত : ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:৫২
রায়পুরা থানা কমপ্লেক্স এলাকায় ঝুকির্পূণ ছাদের নিচে থাকেন পুলিশ সদস্যরা।

ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে যারা জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত তাদের মধ্যে অন্যতম পুলিশ সদস্য। দিন শেষে সেই পুলিশ সদস্যদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় একটি মেয়াদোত্তীর্ণ ঝুঁকির্পূণ ছাদের নিচে। বর্ষা মৌসুমে ছাদ দিয়ে পানি পড়ে বিছানা ভিজে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে মাথার ওপর পলিথিন টানিয়ে রাখতে দেখা গেছে।

সম্প্রতি নরসিংদীর রায়পুরা থানা কমপ্লেক্স এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে এত কষ্টে ঝুঁকিপূর্ণ ছাদের নিচে বসবাস করলেও প্রতিবেদকের সামনে অজ্ঞাতকারণে বাস্তবতার কথাগুলো বলতে নারাজ তারা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রায়পুরা উপজেলার আইনশৃঙ্খলা সহায়তার লক্ষ্যে ১৯১০ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে রায়পুরা থানা ভবন ও ২টি একতলা এসআই কোয়ার্টার কাঁচা ইট কাদামাটি দ্বারা নির্মাণ করা হয়। এর দীর্ঘদিন পর থানা ভবন ও ওসির বাসভবন নির্মাণ করা হলেও আজ পর্যন্ত এসআই, এএসআই কোয়ার্টারগুলো নির্মাণ করা হয়নি। ফলে পুরোনো সেই স্থাপনাগুলো এখন মানুষের ব্যবহার অযোগ্য হয়ে সাপ-বিচ্ছু, পোকা-মাকড়ের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত ভবনের ছাদের নিচে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন পুলিশ সদস্যরা। শুধু তাই নয়, পাশের টিনশেড ঘরের অবস্থা আরও করুণ। চালের টিন পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। সাইট ওয়াল, দরজা-জানালা কোনোটাই ব্যবহারযোগ্য নয়। আতঙ্কে ঘুম আসে না রাতে। তবুও বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে। সারাদিন বা সারারাত নির্ধারিত সময়ে ডিউটি শেষে একটু বিশ্রাম নিতে মাথা গোঁজার স্থলে এসেও মেলেনি একটু স্বস্তি। তবে এদের মধ্যে সামর্থ্যবান কয়েকজন দুর্ঘটনার আশঙ্কায় অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন।

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করলেও কর্তৃপক্ষের ভয়ে প্রতিবেদকের সামনে পুলিশ সদস্যরা তাদের এ কষ্টের কথা স্বীকার করতে অনীহা প্রকাশ করেন।

শুধু কনস্টেবল, এএসআই বা এসআই নয়, থানার মূল কর্মকর্তারাও সমস্যার বিষয়টি অজ্ঞাতকারণে সংবাদকর্মীদের কাছে গোপন রাখতে চান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, থানার সমস্যা নিয়ে রিপোর্ট করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভাববে আমরা স্বেচ্ছায় করিয়েছি। তাই রিপোর্ট করার দরকার নেই।

রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। পুলিশ সুপার স্যারের সঙ্গে কথা বলুন।

এ বিষয়ে নরসিংদী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি ভালোভাবে অবগত নই, খোঁজ নিয়ে দেখবো।

(ঢাকাটাইমস/০৭অক্টোবর/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :