জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের দুই মামলায় পিকে হালদারের ২২ বছর কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:৩৪ | প্রকাশিত : ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:২৪

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের করা দুই মামলায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের আলোচিত (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে ২২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি ১৩ আসামিকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রবিবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত ৪ অক্টোবর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

৪২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তা পাচারের অভিযোগ ছিল পিকে হালদারসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন>> দর্জির ছেলে কে এই পিকে হালদার? এক লুটেরার নাম

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

সূত্র বলছে, পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মোট ৩৬টি মামলার মধ্যে এটাই প্রথম মামলার রায়।

মামলায় পিকে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল, অনিন্দিতা মৃধা, শঙ্খ বেপারী ও সুকুমার মৃধা কারাগারে আটক রয়েছেন।

পিকে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। পলাতক অন্য আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

দুদকের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া ওই অর্থ আড়াল করতে বিদেশে পাচার করে মানিলন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন তিনি। মামলাটি তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন। ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার চলাকালে এ মামলায় ১০৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯৯ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর পিকে হালদারের বিরুদ্ধে রেড এলার্ট জারি করা হয়। তবে তার কয়েক ঘণ্টা আগে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত হয়ে দেশ ছাড়েন তিনি। এরপর গত বছর ১৪ মে কলকাতায় গ্রেপ্তার হন। এখন তিনি সেখানেই বন্দি আছেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিকে হালদারের কাছে এ সময় দুটি পাসপোর্ট ছিল– একটি বাংলাদেশি এবং আরেকটি কানাডিয়ান। তবে তিনি ভারতে যাওয়ার জন্য তার বাংলাদেশি পাসপোর্টই ব্যবহার করেছিলেন।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলএফএসএল)-এর ৩৫০ কোটি টাকার বেশি পাচারের অভিযোগে পিকে হালদারসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করে দুদক।

(ঢাকাটাইমস/৮অক্টোবর/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে হত্যা: এসআই শাহাদাৎ ৬ দিনের রিমান্ডে

হোটেল কর্মচারী সিয়াম হত্যা: আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলীকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন

গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ ২২৭ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৫ অভিযোগ

এক সপ্তাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হবে: চিফ প্রসিকিউটর

শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় সাবেক এমপি শাহে আলম তিন দিনের রিমান্ডে

সাবেক গভর্নর, সালমান এফ রহমানসহ বিআইএফএফএলের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা

সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ৫ দিনের রিমান্ডে

হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালপুত্র জ্যোতি চার দিনের রিমান্ডে

ছাত্রদল নেতা জনি হত্যা: আছাদুজ্জামান মিয়ার ৭ দিনের রিমান্ডে

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :