মানিকগঞ্জ-২: নৌকা পেতে নেতাদের দৌড়ঝাঁপ শুরু

মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও হরিরামপুর উপজেলা এবং সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-২ আসন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী।
বর্তমান সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ছাড়াও সিংগাইর উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ প্রকৌশলী সালাম চৌধুরীর নাম জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বিভিন্ন সভা-সমাবেশের মাধ্যমে প্রার্থিতার ঘোষণা দিচ্ছেন। নিজ নিজ এলাকায় বিভিন্ন জনসংযোগ, সভা-সমাবেশ করছেন তারা।
মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে থাকা দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু, দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল এবং মুশফিকুর রহমান খান হান্নান--তিনজনই সিংগাইর উপজেলার বাসিন্দা। সিংগাইর উপজেলায় এরা পরিচিত মুখ হলেও হরিরামপুর উপজেলার সাধারণ ভোটারদের মাঝে তাদের পরিচিতি অপেক্ষাকৃত কম।
নিজ নিজ উপজেলায় এরা জোরালোভাবে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, সমাজসেবা ও উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজ করলেও হরিরামপুরে তাদের কার্যক্রম খুবই কম। অপরদিকে একই অবস্থা হরিরামপুরের দুই প্রার্থী দেওয়ান সাইদুর রহমান ও সালাম চৌধুরীর। নিজ উপজেলায় ব্যাপকভাবে পরিচিত হলেও সিংগাইর উপজেলার তাদের পরিচিতি কম।
হরিরামপুরের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে গত ১৪ এপ্রিল মতবিনিময় সভা করেন দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু। গত ৩ সেপ্টেম্বর বিশাল এক মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে হরিরামপুরে আসেন দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল।
এরপর উপজেলা পরিষদ হলরুমে তিনি হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এছাড়াও সম্প্রতি হরিরামপুর উপজেলার কাণ্ঠাপাড়া লোকনাথ মন্দিরে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুশফিকুর রহমান খান হান্নান। গত কয়েক মাসে এই তিনটিই হরিরামপুরে তাদের জনসংযোগ বা প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম।
হরিরামপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হরিরামপুরে সংসদ সদস্যের বাইরেও কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ব্যাপকভাবে পরিচিত।
এদিকে পরিচিতি কম থাকায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে জাহিদ আহমেদ টুলু, দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল এবং মুশফিকুর রহমান খান হান্নানদের ভরাডুবি হবে বলেও জানান হরিরামপুরের একাধিক নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটার।
এ বিষয়ে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু বলেন, সময় আছে। ভোটাররা চিনতে পারবে, সমস্যা নেই। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) হরিরামপুরে আমার একটি প্রোগ্রাম আছে। দুর্গাপূজামণ্ডপগুলোতে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুদান দেবো।
যোগাযোগ করা হলে দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুলও হরিরামপুরে পরিচিতি কম থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন।
অপরদিকে সিংগাইর উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান বলেন, হরিরামপুরের মানুষের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ রয়েছে। হরিরামপুরে আমার জনসংযোগ বা প্রচার-প্রচারণা টেকনিক্যাল কিছু কারণে কম রয়েছে, এটা সত্য। তবে, বাকি প্রার্থীদের চেয়ে হরিরামপুরে আমার অবস্থান ভালো।
(ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/প্রতিনিধি/এআর)

মন্তব্য করুন