জমকালো আয়োজনে কুয়াকাটায় ৪ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি খুশির দিন শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজা তাদের কাছে একটি বড় ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসহ উপজেলার ১৪টি পূজা মণ্ডপে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার ৬ষ্ঠীতে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। মঙ্গলবার মহাদশমীর মাধ্যমে দুর্গাপূজার সমাপ্তি হবে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরসহ উপজেলার প্রায় প্রতিটি মন্দিরে ৪ দিনব্যাপী নানা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে বইছে উৎসবের আমেজ। ৪ দিনব্যাপী পূজা উদযাপনের জন্য নিচ্ছেন শেষ সময়ের প্রস্তুতি।

তবে এবারের দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা রক্ষার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার প্রতিটি পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার নির্দেশনা রয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরের পূজা পরিচালনা পর্ষদের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা পৌরশহরে চারটি এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের মোট ১৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে এবছর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর কিছু সদস্যরা ইতোমধ্যে মন্দিরের মধ্যে দায়িত্ব পালন করছে। শুক্রবার থেকে টানা পাঁচদিন চলবে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব। এ উপলক্ষে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরসহ উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরে ৪-৫ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

তবে দুর্গাপূজা পর্ষদের প্রতিনিধিরা জানান, ধর্মীয় পরিবেশে সকল ধর্মের নীতি আদর্শের ভাবমূর্তি রক্ষা করে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে। কুয়াকাটায় পর্যটক সমাগমের কেন্দ্রস্থল হিসেবে জোরদার করা হয়েছে প্রশাসনের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যাবস্থা।

তারা আরো বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক পর্যটক এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পূজা ও ভ্রমণ একসাথে সম্পন্ন করার উদ্দেশ্য এসে থাকেন। ধর্মীয়দের জন্য মন্দিরের পক্ষ থেকে রয়েছে নিরামিশ খাবার ও স্বল্প পরিসরে থাকার ব্যাবস্থা।

এদিকে দুর্গাপূজা সুন্দর পরিবেশে উদযাপনের জন্য সকল প্রকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে বলে জানান কলাপাড়া থানার ওসি মো. আলী আহম্মেদ।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন। উপজেলা সকল পূজা মণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। সকল পূজামণ্ডবে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

(ঢাকা টাইমস/১৯অক্টোবর/প্রতিনিধি/এসএ)