দামুড়হুদায় সবজি কিনতেই হিমশিম স্বল্প আয়ের মানুষ

আসিম সাঈদ, দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা)
 | প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর ২০২৩, ২০:৫৫

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বিপুল পরিমাণ জমিতে সবজি চাষ হয়ে থাকে। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে শীতকালীন সবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তবে সবজি কিনতেই রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বল্প আয়ের মানুষের।

কয়েক ধরনের শাক, কাঁচা কলা আর পেঁপে বাদে বেশির ভাগ সবজির দাম নাগালের বাইরে। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। বাজারে গিয়ে মাছ-মাংশ দূরে থাক সবজি কেনাই তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।

এদিকে দর বেঁধে দিয়েও ডিম, আলু ও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি সরকার। বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে তিনটি পণ্যই অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাসাধারণের প্রশ্ন দর বেঁধে দিয়ে কার কী লাভ হলো?

সবজি ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কম। এখন শীতকালীন সবজি পুরোদমে বাজারে আসেনি। বাজার সবজিতে ভরপুর হলে দাম কমে আসবে।

এ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৮০, টমেটো ১৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, নতুন শিম ১৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, পটোল ও ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, লাউ আকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ছোট সাইজের ফুলকপি ও বাধাকপি ৬০ কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়া কম দামের সবজির মধ্যে পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কাঁচকলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

দর্শনা রেলবাজারে সবজি কিনতে আসা ভ্যান চালক গফুর মিয়া বলেন, আমাদের মতো মানুষের জন্য মাছ-গোস্ত তো খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। বাজারে সবজি যা দাম তাতে কি কিনবো ভেবে পাচ্ছিনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক ব্যক্তি বলেন, কোনো কিছু মেলাতে পারছিনা। মধ্যবিত্তের সমস্যা হলো পেটে ক্ষুধা আর চোখে লজ্জা। সব কিছুর দাম লাগামহীন। বাজারে এসে দাম জিজ্ঞাসা করে কম রাখতে বললে দোকানিরা বলে নিলে নেন না নিলে চলে যান।

(ঢাকা টাইমস/২২অক্টোবর/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :