বাগেরহাটে সুপারির বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা

মাহামুদ হাসান, বাগেরহাট
 | প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ২০:৩৮

বাগেরহাটে সুপারির বাম্পার ফলন হলেও দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। অভিযোগ রয়েছে প্রত্যেক হাটে সক্রিয় রয়েছে সিন্ডিকেট। তাই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লাভবান হচ্ছে সিন্ডিকেট। গেল বছর কুড়ি সুপারি (২৩১) টি ৮০০ টাকায় বিক্রি হলেও এবার সেই সুপারির দাম নেমে এসেছে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকার ভেতরে।

গত বছরের তুলনায় দাম অর্ধেকে নেমে আসায় হতাশ কৃষকেরা। বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাটে সুপারির বাগান রয়েছে ৩৯৬০ হেক্টর জমিতে। ২২-২৩ অর্থবছরে সুপারির উৎপাদন হয়েছিলো ২৬ হাজার ১২৩ মেট্রিকটন। এবছর তার থেকে বেশি উৎপাদন হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।

বাগান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফলন বেশি হওয়ায় মৌসুমের শুরুতেই বাজার বেশি থাকলেও কয়েক সপ্তাহ পর থেকে কমতে থাকে সুপারির দাম। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সুপারি কিনে বাইরে পাঠাতে থাকে তারা। তাই বাজারে সুপারির অনুপাতে বাইরের ক্রেতা কম। এখনও দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাধাল, কচুয়া, মাজারসহ বড় বড় হাটগুলোয় আসায় কম দামে বাধ্য হয়ে স্থানীয় পাইকারদের কাছে সুপারি বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের।

কচুয়া উপজেলার সাংদিয়া গ্রামের গ্রামের সুপারি চাষি আবুল হোসেন খান জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর সুপারির দাম অনেক কম। বাজারে আসছে না বাইরের পাইকাররা। স্থানীয়রা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সুপারি বিক্রি করছে। যার ফলে খুব অল্প দামে বিক্রি করতে হচ্ছে সুপারি। যে সুপারি গত বছর ৮০০ টাকা কুড়ি ছিল এ বছর সেই সুপারি এখন ২৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেউই বেশি দাম বলে না। নিশ্চিতভাবে বলতে পারি সিন্ডিকেট কাজ করছে সুপারির হাটগুলোতে।

একই গ্রামের আরেক কৃষক ভাস্কর ব্যানার্জি জানান, একটি গাছ থেকে একছড়া সুপারি পেড়ে আনতে দশ টাকা দিতে হয়। তারপর ছড়া থেকে সুপারি ছাড়ানো, গণনা করা, হাটে নেওয়াও অনেক খরচ। তারপর যদি ৮০০ টাকার সুপারি আড়াইশো থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি করতে হয় সেটা খুব দুঃখ জনক। আমরা হতাশ কি করবো জানি না। কোনো ব্যবসায়ী বেশি দাম বলে না। আমাদের মনে হয় সিন্ডিকেট কাজ করছে।

কচুয়া উপজেলার সবচেয়ে বড় সুপারি ব্যবসায়ী নারায়ণ চন্দ্র বাওয়ালি বলেন, আমরা সুপারি কিনে রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাই। আড়াইশো থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত সুপারি কিনছি।

শহিদ খান নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে সুপারি আমদানি বেশি তাই দাম কম। আমরা তো কোনো সিন্ডিকেট দেখছি না।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদার জানান, বাগেরহাটে ৩৯৬০ হেক্টর সুপারি বাগান রয়েছে। ২২-২৩ অর্থবছরে ২৬ হাজার ১৩৩ মেট্রিক টন সুপারি উৎপাদিত হয়েছে। আশা করি গত বছরের থেকে এবছর আরও সুপারি উৎপাদন বেশি হবে। তবে দাম ও সিন্ডিকেটের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি এই কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/২৪ অক্টোবর/ইএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সারাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :