আ.লীগের কর্মসূচিতে ওসির স্লোগান-হাততালি, এসপি বললেন, ঘটনা সত্য হলে ব্যবস্থা

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দলীয় অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাততালি ও স্লোগান দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুরে মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় এ দৃশ্য দেখা যায়।
মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ স্লোগান দিলে তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও স্লোগানে তাল মেলান। এ সময় অনুষ্ঠানের মঞ্চের প্রথম সারিতে থাকা কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) হাততালি ও স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে সুধী মহল।
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে কোনো দলীয় কর্মসূচিতে মঞ্চে উঠে স্লোগান ও হাততালি দেওয়া যায় কি না এমন প্রশ্নে ওসি জানান, আইন আপনি দেখেন। স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুষ্ঠানে থাকা কোনো অন্যায় নয়।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং মাদারীপুর-৩ (কালকিনি-ডাসার) সংসদ সদস্য ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কালকিনি পৌর মেয়র এস এম হানিফ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আবুল বাসার, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার লোকমান হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল বাসার, কালকিনি থানা অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হাসান, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চায়না খানম, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সকল সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, অবরোধ আর গাড়ি পুড়িয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না, কারণ আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী দল। সকল নেতাকর্মী এক হয়ে কাজ করতে হবে। নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, সংসদ সদস্যের কর্মসূচিতে গিয়ে তার নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যেতে হয়। মঞ্চে ওঠা ও স্লোগান দেওয়া প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে এগুলো নিষেধ কি না তিনি জানেন না।
এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সভাপতি ইয়াকুব খান শিশির বলেন, একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীর এমন আচরণ কাম্য নয়। তার নিরপেক্ষ থাকাটা জরুরি বলে মনে করি। বিষয়টি আমলে নেওয়া দরকার।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুদ আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। ভিডিও পেলে দেখে বলতে পারব আসলে কী ঘটেছিল। ঘটনা সত্য হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
(ঢাকাটাইমস/০৭নভেম্বর/এআর)

মন্তব্য করুন