জামালপুরে সবজির দাম নিম্নমুখী

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:০০

জামালপুরের হাট-বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় দামও কমতে শুরু করেছে। এমনিতেই এই ঋতুতে সবজির আবাদ বেশি হয়। গত সপ্তাহে শীতের সবজি বাজারে নতুন আসায় দাম কছুটা বেশি ছিল এসব সবজির। তবে আজ সেসব সবজির দামও কমে এসেছে। বিক্রেতারা বলছেন, সব সবজির দাম কমেছে এবং আরও কমে যাবে বলে মনে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার জামালপুর শহরের বড় বাজার, সকাল বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত এক সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে শীতের সবজির সরবরাহ ভালো থাকার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল হয়ে আছে আলু, পেঁয়াজ, চাল, ডাল, আটা, ময়দা, চিনি ও ভোজ্যতেলের মতো নিত্যপণ্যের দাম।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, ধীরে ধীরে আরও কমে আসবে ডিমের দাম। এদিকে নতুন ধান ওঠার আগে কেজিতে ২ টাকা করে বেড়েছে নাজিরশাইল, মিনিকেট আর বিআর ২৮ চালের দাম।

প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা আর আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। এদিকে, ডজন প্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।

জামালপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা, নতুন আলু ১১০, ঢেড়স ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, প্রতিটি পিস লাউ ৫০ ও বাঁধাকপি ৫০ টাকা ও ফুলকপি ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, মুলা ৫০টাকা, চিচিঙ্গা ৪০, দুন্দল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকা, দেশি পেঁয়াজের দাম ১১০ টাকা, আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়।

মাছের বাজারের অস্থিরতা কোনভাবেই কমছে না। এক কেজি পাঙাশ ১৯০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, চাষের কই ২২০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা। বড় রুই ৪০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০ টাকা, কাতল ৩৫০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা এবং এক কেজি উপরের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকায়।

ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, কক মুরগি ২৫০ থেকে ২৮০, লেয়ার মুরগি ২৯০, দেশি মুরগি ৫৫০ ও গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা ইউসুফ আলী জানান, বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ ভালো থাকার কারণে দাম কমেছে। আগামী সপ্তাহে আরও কমার সম্ভাবনা আছে। এখন ক্রেতারা তাদের চাহিদা মত সবজি সংগ্রহ করছে।

জামালপুর শহরের শফিরমিয়ার বাজারে কেনাকাটা করতে আসা ময়না আকন্দ বলেন, সবজির দাম কমলেও মাছ ও মুদি পণ্যের চড়া হওয়ার কারণে আমাদের একটা না একটা সমস্যায় পড়তে হয়। সরকারের উচিত নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া।

এ বিষয়ে জামালপুরের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, সরকার থেকে একটা নির্দেশনা পেয়েছি। এই মুহূর্তে আমরা অভিযান করছি না। এখন শুধু বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।

(ঢাকা টাইমস/২৩নভেম্বর/প্রতিনিধি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :