নার্স সংকটে খুমেক হাসপাতাল

খুলনা ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ২২:৪২
অ- অ+

চরম নার্স সংকটে ভুগছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। কাগজ কলমে ৫০০ শয্যার কথা উল্লেখ থাকলেও রোগী থাকে প্রায় দুই হাজার। এতে করে অতিরিক্ত রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। মূলত বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর কর্তৃক খুমেক হাসপাতালে ৫০০ শয্যা অনুযায়ী ৪৮৫টি নার্স পদায়ন করা হয়। তবে বাস্তবচিত্র ভিন্ন। রোগী আছে তার চারগুণ। এছাড়া এই ৪৮৫ জন নার্সের মধ্যে দায়িত্বে থাকে আরও কম।

অনেক নার্সের মাতৃত্বকালীন ছুটি, অন্যত্র সংযুক্তিসহ নানা কারণে দায়িত্বে থাকেন মাত্র ৩৮০ জনের মতো।

সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, প্রসূতি, অর্থপেডিক্স, বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক ইউনিট, শিশু ওয়ার্ড, কার্ডিওলজি, নেফ্রলজি, ইউরোলজি, দন্ত, চক্ষুসহ মোট ৪৩টি বিভাগ আছে। এসব বিভাগে একজন নার্স ইনচার্জ, একজন সহকারী ইনচার্জ থাকার কথা। তবে অধিকাংশ বিভাগে এমন কোন পদায়ন নেই। এছাড়াও হাসপাতালটিতে রোগীর এমন চাপ যেনো পা ফেলার জায়গা নেই। জায়গা নেই হাসাপতাল বেডে যে কারণে রোগী ও রোগীর স্বজনেরা শুয়ে আছেন হাসপাতালের বারান্দাসহ ফাঁকা জায়গায়।

এ বিষয়ে কথা হয় রোগীর স্বজন কল্যাণী সরকারের সঙ্গে তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমি ডুমুরিয়া সাহাপুর এলাকা থেকে এসেছি আমার মায়ের চিকিৎসার জন্য। মেডিসিন বিভাগে ভর্তির জন্য চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন। ভর্তি হওয়ার পর দেখি কোন মেডিসিন বিভাগে শয্যা খালি নেই। এখন কি করার আছে তাই হাসপাতালের বারান্দায় মেঝেতে ঠাঁই হয়েছে। আমি একা ভুক্তভোগী না এরকম হাজারও রোগী হাসপাতালে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়া চিকিৎসক সকালে যখন আসে ফাইল দেখে সঙ্গে নার্স আপারা দু’একজন আসে। নার্স আপারা সব সময় ব্যস্ত থাকে। অনেক সময় তাদের ডাকলে তারা রাগ হয়।

এ বিষয়ে খুমেক হাসপাতালের দায়িত্বরত মেট্রোন রোকসানা আক্তার বলেন, আমাদের খুমেক হাসপাতালে নার্স সংকট অনেক। তিনটি শিফট মিলিয়ে ৩৫০ জনের মত নার্স কাজ করছেন। আমরা বেশ কয়েকবার আমাদের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। তবে এখনও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এদিকে খুলনা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে রয়েছে প্রায় ৯৩ জনের মতো নার্স। যেখানে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে রোগী থাকে মাত্র ৩০ জনের মতো। আমাদের হাসপাতালে অতিরিক্ত আরও ১০০ জন নার্স প্রয়োজন। না হলে সঠিক সময়মত রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়।

এ বিষয়ে খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. তরুণ কুমার মন্ডল বলেন, আমি মাত্র যোগদান করেছি। যোগদান করার পর দেখছি হাসপাতালটিতে চরম নার্স সংকট আছে। আমি আজই বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে চিঠি দেব যেন দ্রুত কিছু সংখ্যক নার্স পদায়ন করা হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন (উপসচিব) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, খুমেক হাসপাতালে চাহিদার তুলনায় নার্স সংকটের বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৯ নভেম্বর/ইএইচ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দুর্নীতির অভিযোগ: পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
স্বৈরাচারের দোসরদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন: লায়ন ফারুক
মানুষ চায় জনগণের সরকার: আমিনুল হক
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল: সাম্প্রতিক জারিকৃত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও প্রাসঙ্গিক কিছু প্রশ্ন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা