‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র প্রবক্তা হেনরি কিসিঞ্জার ঝরে গেলেন

আলী হাসান
| আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:২০ | প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:১১

‘যুদ্ধাপরাধ’ শব্দটিতে যে ঘৃণা, ভয়, মহামারী ও আতঙ্কের সংমিশ্রণ ঘটেছে সম্ভবত বিশ^জুড়ে আভিধানিক আর কোনো শব্দ এর সঙ্গে তুলনীয় নয়। এই যুদ্ধাপরাধ টার্মটি একটি দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে যেমন ঘটতে পারে, তেমনি এটা ঘটতে পারে আন্তর্জাতিকভাবেও। যুগে যুগে এই যুদ্ধপারাধ ঘটে চলেছে বিভিন্ন দেশে, বিভিন্নভাবে এবং বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের ভিতর দিয়ে। তবে যেকোনো যুদ্ধাপরাধ একটি দেশের ভিতরে বহিঃশত্রুর আক্রমণ কিংবা প্ররোচনায় ঘটলেও তার মাশুল দিতে হয় একান্তভাবে রাষ্ট্রটিকে নিজেকেই। অনাকাক্সিক্ষতভাবে সংঘটিত এই যুদ্ধাপরাধকে অপরাপর দেশের পক্ষ থেকে দেখা হয় আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ হিসেবেই। আসলে যুদ্ধাপরাধ সমূলে তা যুদ্ধাপরাধই তা যেকোনো দৃষ্টিভঙ্গিতেই পর্যবেক্ষণ করা হোক না কেন। নির্দিষ্ট একটি ভূখণ্ডের কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়া কোনো যুদ্ধাপরাধের প্রসঙ্গে অবতারণার উদ্দেশ্য আর কিছুই নয়- আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধী হিসেবে পরিচিত গত শতাব্দীর একজন বিখ্যাত (!) অথবা কুখ্যাত মার্কিন কূটনীতিক হেনরি কিসিঞ্জারের দেহাবসান হওয়া নিয়ে। শত বছরের সীমারেখাকেও অতিক্রম করে এক দীর্ঘজীবন লাভ করেছিলেন এই শক্তিশালী মানুষটি। এ বছরের মে মাসে তার শত বছর পূর্ণ করেছিলেন তিনি। এই নিবন্ধের বিষয় কোনো আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত কিংবা কুখ্যাত কূটনীতিকের শতায়ু নিয়ে পর্যালোচনা নয়- বিষয় শতায়ুর দীর্ঘ কালসীমাকে তিনি কোন বৃহৎ কর্মে বিনিয়োগ করেছিলেন।

দুই.

স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশকে এক চরম অমর্যাদাকর ও দেউলিয়াত্বের প্রতীক করে তুলেছিল দুইটি শব্দের একটি স্পর্শকাতর কিন্তু অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত একটি বাক্য- ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’। বহির্বিশ্বে নবগঠিত বাংলাদেশের এই নব-পরিচয়টি তখন সদ্যস্বাধীন এই ভূখণ্ডকে কতটা বেকায়দায় ফেলেছিল তা নিয়ে কারুরই কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। একটি অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রসমৃদ্ধ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জয়লাভ করা সদ্য মুক্তি পাওয়া দেশটির (বাংলাদেশ) ললাট লিখনে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র অভিধাটি (!) খোদাই করেছিলেন সদ্যপ্রয়াত এই আন্তর্জাতিক কূটনীতিক ও রাজনীতিবিদ তৎকালীন মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। তার সেদিনের সেই খোদাইকৃত অলঙ্করণ (!) যে চিরস্থায়ী রূপ পায়নি সেটা বলাইবাহুল্য। আজ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিতিলাভ করেছে। উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এখন বিশ্বের অনেক দেশই উদাহরণ হিসেবে বক্তৃতায় কিংবা লেখায় টেনে আনতে অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তেইশ বছরের অবর্ণনীয় নিষ্পেষণ থেকে মুক্তি পেয়েছে যে দেশ থেকে সেই পাকিস্তানের অর্থনীতি ও জাতীয় আয়কে বাংলাদেশ এখন অতিক্রম করেছে। পাকিস্তানের সংসদেও এই কথাটি বিশেষ চাউর হয়েছিল গত কয়েক বছর আগে; সেটি হলো- ‘পাকিস্তান এখন বাংলাদেশ হতে চায়।’ অর্থাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে তারা স্পর্শ করতে চায়। সেটাই তাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের মাত্রা। এই নিবন্ধকারের মনে প্রশ্ন জাগে যে- শতায়ু বছর পার করা এক সময়ের আন্তর্জাতিক কৌশল ও ঘুঁটি পরিচালনাকারী হেনরি কিসিঞ্জার তখন কী ভেবেছিলেন! তার সেদিনের সেই ভয়াল মন্তব্যের জন্য কি তার মধ্যে কোনো অনুশোচনা ও দুঃখবোধ তৈরি হয়েছিল?

জানা যায়, হেনরি কিসিঞ্জারের সঙ্গে বাংলাদেশের একদল সাংবাদিকের দেখা হয়েছিল ২০০৮ সালে সুইজারল্যান্ডের দাভোস শহরে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে সেই সাংবাদিক দলের জনৈক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেছিল- ‘বাংলাদেশকে মনে আছে আপনার? সেই যে আপনি বাস্কেট কেস (তলাবিহীন ঝুড়ি) বলেছিলেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে এখন কী বলবেন?’ প্রশ্নটি শুনে বেশ গম্ভীর হয়ে কিসিঞ্জার উত্তর দিয়েছিলেন, ‘বিশেষ এক সময়ের পরিস্থিতিতে এ কথা বলেছিলাম। এখন আর সে বিষয়ে কোনো কিছু বলতে চাই না।’ আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন এই কূটনীতিক বাংলাদেশকে নিয়ে সরাসরি কোনো অনুশোচনা ও দুঃখ প্রকাশ না করলেও ‘বিশেষ এক সময়ের পরিস্থিতিতে এ কথা বলেছিলাম’ বলে যে রক্ষণাত্মক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন তাতে নিশ্চয়ই তার সেই সময়ের ঔদ্বত্যের পরাজয়কে নিশ্চিত স্বীকার করে নিয়েছেন।

বাংলাদেশ সম্পর্কে যিনি অত্যন্ত নেতিবাচক মন্তব্য করে বিশ্বব্যাপী ইতিবাচক-নেতিবাচক উভয় দৃষ্টিকোণের অম্লমধুর সমালোচিত হয়েছিলেন সেই হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশে এসেছিলেন স্বাধীনতার তিন বছরের মধ্যেই, ১৯৭৪ সালের ৩০শে অক্টোবর। সফরটি ছিল ১৯ ঘণ্টার। দক্ষিণ এশিয়ার পুরো উপমহাদেশ সফরে বের হয়েছিলেন তিনি তখন। দিল্লি থেকে ঢাকায়, তারপর যান ইসলামাবাদে। কঠিন এক সময় পার করছে তখন বাংলাদেশ। ভয়াবহ বন্যা আর ব্যাপক খাদ্যসংকটের পরে বাংলাদেশ তখন চরম দুর্ভিক্ষাবস্থায় নিপতিত। বৈদেশিক সহায়তা তখন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে কাক্সিক্ষত বস্তু হয়ে পড়েছিল। সে রকম এক পরিস্থিতিতেও এই মার্কিন কূটনীতিক বিপুল সংবর্ধনা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।

মোট ৭৭ সদস্যের একটি বৃহৎ দল নিয়ে কিসিঞ্জার ঢাকায় এসেছিলেন ৩০শে অক্টোবর বেলা দেড়টায়। তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন সস্ত্রীক বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন তাঁদের। কিসিঞ্জার ঢাকায় ওই দিন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গেও ৭৫ মিনিট বৈঠক করেছিলেন তিনি সেদিন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বৈঠকের পরে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে কিসিঞ্জার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কিছু ইতিবাচক মন্তব্যও করেছিলেন। সেদিন তিনি বলেছিলেন- ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি না হলে বাংলাদেশ টিকে থাকত না। আমি প্রধানমন্ত্রীর অনেক প্রশংসা করি। তিনি স্বীয় বিশ্বাসের বলে একটি জাতির স্রষ্টা। তিনি তাঁর দেশের জনক। এ ধরনের ব্যক্তিত্বের সাহচর্যের সুযোগ সব সময় হয় না।’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ বিশ্বব্যাপী অগণিত অন্যায় যুদ্ধের প্রেরণাদাতা এই হেনরি কিসিঞ্জারের মুখ থেকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে এই প্রশংসার বাণী বের হওয়া নিশ্চয়ই কম কথা নয়। সেটা পররাষ্ট্রনীতির কৌশলগত কারণেই হোক আর বাস্তববোধের ওপর দাঁড়িয়ে দিব্যসত্য হিসেবেই হোক তার মতো একজন জটিল আন্তর্জাতিক কূটনীতিকের মুখে সেদিনের এই কথার মূল্য অপরিসীম নিশ্চয়ই।

তিন.

১৯২৩ সালের ২৭শে মে জার্মানীর ব্যাভেরীয় এলাকা ফার্থু এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। একজন চিন্তাবিদ, বুদ্ধিজীবী, গবেষক ও অধ্যাপক হিসেবে জীবন শুরু করলেও কিসিঞ্জার মূলত খ্যাতি অর্জন করেছিলেন একজন দক্ষ কূটনীতিবিদ হিসেবে। ১৯৭৩ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭৭ সালের ২০শে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৪০ মাস তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এর ভেতর আবার ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক সহকারী ছিলেন। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত ছিলেন বৈদেশিক গোয়েন্দা উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য। ২০০১ থেকে ২০২০, এই দুই দশক প্রতিরক্ষা নীতিবিষয়ক বোর্ডের সদস্য ছিলেন। এ রকম সব দায়িত্ব মিলে প্রায় ৫০ বছরের কূটনীতিক জীবন তাঁর। বলা যায়, দারুণ এক কর্মবীর ছিলেন এই কিসিঞ্জার। তাঁর প্রাপ্তির তালিকাও ঈর্ষণীয়। নোবেল শান্তি পুরস্কারের পাশাপাশি দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘মেডেল অব ফ্রিডম’ও পেয়েছেন তিনি। জন্মগতভাবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নন বটে কিন্তু দেশটি তার সেরা সন্তানদের একজন বিবেচনা করে কিসিঞ্জারকে। কিন্তু এমন কী হতে পারে যে কিসিঞ্জারকে ‘মেডেল অব ফ্রিডম’ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বিব্রত হবে কোনোদিন? এ প্রশ্নও ভাবাচ্ছে কাউকে কাউকে। কারণ, দীর্ঘ জীবন ও বিপুল প্রাপ্তির পাশাপাশি কিসিঞ্জারকে নিয়ে অত্যন্ত নেতিবাচক বিতর্কও রয়েছে সাংঘাতিক রকমের।

চার.

শতায়ু অতিক্রম করা বিশ্বব্যাপী সমালোচিত এই কূটনীতিকের জীবন ও দুনিয়াজুড়ে মার্কিন আধিপত্যবাদের কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড কখনোই বিতর্কমুক্ত ছিল না। যেমন তার নোবেল পুরস্কার পাওয়ার কথাই ধরা যেতে পারে। বলা যায়, নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে সম্ভবত এটাই সবচেয়ে বিতর্কিত ও নিন্দিত ঘোষণা নোবেল কমিটির পক্ষে। প্রেসিডেন্ট নিক্সন প্রশাসনের হয়ে যে ব্যক্তি ভিয়েতনামকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিলেন এবং চিলি, আর্জেন্টিনা, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, বাংলাদেশসহ বহু দেশকে চরম ক্ষতির মুখে ফেলেছিলেন অন্যায় যুদ্ধ সমর্থন ও সহযোগিতা দিতে গিয়ে- তাকেই কিনা ১৯৭৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলো বিশ্ববাসীকে হতবাক করে দিয়ে!

স্মর্তব্য, উত্তর ভিয়েতনামের লি ডাক থোর সঙ্গে যৌথভাবে কিসিঞ্জার পান এই নোবেল শান্তি পুরস্কার। চরম পরিতাপ ও লজ্জার বিষয় যে- এই ‘ নোবেল শান্তি পুরস্কার’ ঘোষণার পরও ভিয়েতনাম যুদ্ধ শেষ হতে আরও দুই বছর লেগেছিল। কিসিঞ্জারের জন্য তখন এটা খুবই বিব্রতকর ছিল বইকি- যখন অপর পুরস্কার প্রাপক লি থো এটা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। পরবর্তীকালে নোবেল কমিটির পুরোনো দলিল অবমুক্তির পর দেখা যায়, কিসিঞ্জার নিজেও ব্যাপক সমালোচনার মুখে ১৯৭৫ সালের মে মাসে যুদ্ধ শেষে এই পুরস্কার ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নোবেল কমিটি তাতে রাজি হয়নি।

পাঁচ.

বলার অপেক্ষা রাখে না- মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের বলয় ছাড়া বিশ্বের বড়ো অংশের চোখেই হেনরি কিসিঞ্জার একজন মারাত্মক ও ঘৃণিত যুদ্ধাপরাধী। তবে এখনো যুক্তরাষ্ট্রে তাঁকে ঘিরে থাকা ক্ষমতাবৃত্তের সহযোগীরা তাঁকে মান্যগণ্য করেন একজন পণ্ডিত ও যশস্বী বুদ্ধিজীবী হিসেবে। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার যে, পুঁজিবাদী ও আধিপত্যবাদের প্রতীক যে রাষ্ট্রব্যবস্থা তার অন্ধ সমর্থকগোষ্ঠী বিশ্বব্যাপী এই ঘৃণ্য কূটনীতিককে ইতিবাচক বুদ্ধিজীবী হিসেবেই আখায়িত করবেন, পূজার অর্ঘ্য নিবেদন করবেন। গত শতকের এই উচ্চবিত্তশালী মানুষরূপী কসাই বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদী ক্ষমতাধরদের কাছে আদরণীয় ও শ্রদ্ধাভাজন হবেন তাদের আধিপত্যবাদ বজায় রাখার তীব্র মানসিকাতার কারণেই। তবে শতবর্ষ ধারণকারী এই ভয়ংকর কূটনীতিককে তার জীবদ্দশায় কোনো বৈরী পরিস্থিতি ও বিরুদ্ধাচরণের মুখোমুখি হতে হয়নি বটে কিন্তু বিশ্বজুড়ে তাকে সাধারণ বিবেকবান মানুষ একজন ভয়ংকর খুনি হিসেবেই চিহ্নিত করবে অনন্তকাল ধরে। ইতিহাসের পাতায় তার নাম লেখা হবে চিলি, আর্জেন্টিনা, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, বাংলাদেশসহ বহুদেশের লক্ষ লক্ষ আদম সন্তানের হত্যার নীল নকশাকারী হিসেবে।

শুধু শত বছর ধরে বেঁচে থাকার বয়সের মানদণ্ডে নয়, বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক হিসাবেও হেনরি কিসিঞ্জার ছিলেন মার্কিন মুল্লুকজুড়ে একজন সৌভাগ্যবান রাজনীতিবিদ। একসময় জার্মানি থেকে নেহায়েত শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে আসা এই ইহুদি কূটনীতিক-রাজনীতিবিদ ৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সম্পদ রেখে গেলেন দুনিয়ার উপরে- আর রেখে গেলেন তার যুদ্ধবিধ্বংসী মানসিকতার ফলস্বরূপ বিশ্বজুড়ে অগণিত মানুষের রক্তে রঞ্জিত করার ঘৃণিত-কলঙ্কিত ইতিহাস। হায় মানবজীবন! কী তোমার প্রাপ্য- মানুষের নিষ্কলুষ ভালোবাসা না কি চরম ঘৃণা আর বিদ্বেষ?

আলী হাসান: সাংবাদিক, কলাম লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :