নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর বিষয় পুনর্ব্যক্ত করল জাতিসংঘ

বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘নির্বাচনি পর্যবেক্ষক’ না পাঠানোর বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
শুক্রবার জাতিসংঘে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক।
এদিন এক সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান, গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকারের জন্য জনগণের দাবিকে অযৌক্তিক আখ্যায়িত করে জাতিসংঘের সমর্থন কামনা করে বাংলাদেশ সরকার নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। আপনার প্রতিক্রিয়া কি?
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, আমি চিঠিটি দেখিনি। আমি কেবল বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমাদের আশা সম্পর্কে বিস্তৃতভাবে যা বলেছি, এখনও তাই বলব। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করি।
এর আগে অন্য একজন সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান- বাংলাদেশ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক মিত্রদের সব ধরনের সহযোগিতাকে স্বাগত জানাবে। জাতিসংঘ কি জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশে পর্যবেক্ষক পাঠানোর পরিকল্পনা করছে?
জবাবে ডুজারিক বলেন, ‘না। আপনারা জানেন নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক পাঠায় না।’
ওই সাংবাদিক আরও জানতে চান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দখলদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘ এখনও পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?
জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, প্রথমত ঐতিহাসিক ইভেন্ট এবং এসব ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক আমি বলব, অনেক আগে ঘটে গেছে এমন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। এছাড়া কোনো ঘটনাকে গণহত্যা বলে চিহ্নিত করা মহাসচিবের কাজ নয়। এটা বিচারবিভাগীয় কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করে।এর আগে গত নভেম্বরেই জাতিসংঘ জানিয়েছিল জানুয়ারিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না সংস্থাটি। এ ছাড়াও এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
(ঢাকাটাইমস/০৯ডিসেম্বর/এমআর/ইএস)

মন্তব্য করুন