শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে যারা অশান্তি ডেকে আনছে

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী
| আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:৩১ | প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫৭

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ- এটি আওয়ামী লীগ, সরকার এবং নির্বাচন কমিশন বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে এবং বিদেশেও সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখনও তিনি নির্বাচনি যেকোনো বক্তৃতায় সংযত আচরণ করার কথা বলছেন। নতুবা শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে শান্তি ভঙ্গকারীকে শাস্তি পেতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্পষ্ট করে কয়েকবারই বলেছেন যে, কারো অন্যায়ের দায় আওয়ামী লীগ নেবে না। দলীয় এবং সরকারের অবস্থান যেখানে এতটা স্পষ্ট, নির্বাচন কমিশনও যেখানে নির্বাচনি মাঠে শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শাও নোটিশ জারি করাসহ নানাভাবে সতর্ক করে যাচ্ছেন, সেখানে বেশ কিছু আসনে প্রার্থী এবং প্রার্থীদের সমর্থকরা যেন কিছুতেই সংযত হওয়ার বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। গণমাধ্যমে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থক ও কর্মীর নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করার যথেষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের মনোনীত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যেই বিরোধটা বেশি সংঘটিত হওয়ার খবরাখবর জানা যাচ্ছে।

যতই দিন যাচ্ছে ততই প্রার্থীরা একে ওপরের বিরুদ্ধে অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। প্রার্থীদের সমর্থকদের দ্বারা প্রতিপক্ষের পোস্টার ছিড়ে ফেলা, অফিস ভাঙচুর এবং মিছিলে হামলা করার ঘটনা বেড়েই চলছে। ব্যক্তিগত বিরোধকে নির্বাচনে টেনে এনে একজনকে হত্যা করা হয়েছে, এ পর্যন্ত নির্বাচনি সহিংসতায় ১৮ জন আহত হয়েছে। এখনও নির্বাচনের প্রায় ১১-১২ দিন বাকি রয়েছে। যদি নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের ধারা এভাবে অব্যহত থাকে তাহলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা যে খুব বেশি তাও নয়, আবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা যে পরস্পরবিরোধী দলের সেটিও নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বনাম স্বতন্ত্র প্রার্থী, রাজনৈতিকভাবে একই দলের নেতাকর্মী। একসাথে অনেক বছর রাজনীতি করেছেন, এখনও করছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়াটি কোনো আইন বা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কেউ হচ্ছেন না। তাহলে নির্বাচনের মাঠে নেমে কেন একে অপরের শত্রুতে পরিণত হবে কিংবা ছায়া মাড়াতে চান না?

এবারের নির্বাচনে সংঘাত-সংঘর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে হওয়ার নয় বলেই সবাই মনে করেছিল। কিন্তু নির্বাচন মানেই যে প্রতিপক্ষকে যেকোনো উপায়ে পরাস্ত করতে হবে, যেনতেনভাবে নিজের জয়লাভ করতে হবে- এমন মানসিকতা কোনো অবস্থাতেই গণতন্ত্রের সঙ্গে যায় না। নির্বাচন মানে হচ্ছে ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই ভোট দেবেন। প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। মারামারি বা সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই কথাগুলোও সবাই জানেন, বোঝেন এবং বলেনও। কিন্তু নির্বাচনে দাঁড়ালেই নির্বাচনি আচরণবিধি, শিষ্টাচার, দেশের আইনকানুন এবং মানুষে মানুষে সম্পর্কের বিষয়গুলো অনেকেই ভুলে যান। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য কোনো কোনো প্রার্থী নিজেই সংঘাত-সংঘর্ষের সুযোগ সৃষ্টি করে দেন। তাছাড়া প্রার্থীর সমর্থকরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নেতাকর্মীদের সম্পর্কে অশালীন উক্তি করে থাকেন যা থেকে অনেক সময় সংঘর্ষ বেঁধে যায়। কারো সঙ্গে কারো মতবিরোধ ঘটতে পারে, কথা কাটাকাটি হতে পারে। কিন্তু শারীরিকভাবে লাঞ্চনা করা বা হত্যার মতো হিংস্রতায় জড়ানো কোনো স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের কাজ হওয়া উচিত নয়। কিন্তু এতসব কিছু জানা সত্ত্বেও এ পর্যন্ত যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে সেগুলো কারোই কাম্য ছিল না। এখনই যদি রাশ টেনে না ধরা হয় তাহলে আগামী দিনগুলোতে নির্বাচনের মাঠে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে ইন্ধন জোগানোর মতো অনেক অপশক্তি মাঠে রয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিষয়গুলো একেবারে অজানা নয়। এখনও নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো মাঠ ছেড়ে চলে যায়নি। যদিও তারা হরতাল, অবরোধ এবং সর্বশেষ অসহযোগ আন্দোলনেরও ডাক দিয়েছে। এর কোনোটিই এ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। তবে নির্বাচন বিরোধীরা বাস, ট্রাক, রেলসহ নানা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ এবং মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার মতো জিঘাংসার পরিচয় দিয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বিরোধীরা ঘরে বসে থাকবে সেটি মোটেও আশা করা যায় না। তারা তো জানানই দিচ্ছে যে ৭ তারিখের নির্বাচন যেকোনো মূল্যে তারা প্রতিহত করবে। এখন লিফলেট বিতরণে তারা নেমেছে। মানুষকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

যে ভোটে এখন আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা দাঁড়িয়েছেন, সেই ভোটেরই তারা বিরোধিতা করছেন, সেই নির্বাচন নিয়ে নানারকম ব্যঙ্গবিদ্রুপ করছেন। অবশ্য দেশের সাধারণ মানুষ নির্বাচন প্রত্যাখানকারীদের প্রচার-অপপ্রচারে কতটা বিভ্রান্ত হচ্ছেন তা বোঝা যাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করার ওপর। নির্বাচন বিরোধীরা তো চাইবেই বেশিসংখ্যক মানুষ যাতে ভোটে অংশগ্রহণ না করে। তাহলেই তাদের ষোলোকলা পূর্ণ হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের তো প্রধান কাজ হবে বেশিসংখ্যক ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে আনা, মারামারি করা নয়।

নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করছেন তারা তো এই সম্পর্কে খুব ভালোই জানার কথা। কিন্তু জানা কথাও তারা ভুলে যাচ্ছেন যখন তারা নির্বাচনে একে ওপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন। নির্বাচনে নামা মানেই যেকোনো মূল্যে আমাকে জয়লাভ করতেই হবে। এমন ভাবনাটি যখন মাথার মধ্যে চেপে বসে তখন হিতাহিত জ্ঞান রাখা অনেকের পক্ষে সম্ভব নয়। আমাদের বিশ্বাস প্রার্থীরা হয়তো এবারের নির্বাচনের বাস্তবতাটা ভুলে যাবেন না। তাই তাদের উচিত হবে নিজেদের সমর্থক কর্মীদের সংযত রাখা, কোনো ধরনের আচরণবিধি ভঙ্গের তারা যেন কারণ হয়ে না দাঁড়ান। এ পর্যন্ত যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হচ্ছে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, মিছিল মিটিংয়ে বাধাদান করা, কোথাও কোথাও শক্তি প্রদর্শনও করার মতো ঘটনা ঘটেছে। এসব এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

নির্বাচনের মাঠে ভোট চাওয়ার অবাধ সুযোগ রয়েছে। প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থক নিয়ে পাড়া মহল্লা সর্বত্রই চষে বেড়াতে পারেন। ভোটারদের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা প্রচার করতে পারেন। তা না করে যদি নিজেরা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে সংঘাত-সংঘর্ষে লিপ্ত হন তাহলে নির্বাচনবিরোধী শক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরোধের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। সেক্ষেত্রে নানা ধরনের সংঘাত, সংঘর্ষ ও হানাহানি নির্বাচনি আসনে বেড়ে যেতে পারে। প্রার্থীরা যদি এখনই এ ব্যাপারে সংযত না হন তাহলে নির্বাচনি মাঠের চিত্র স্বাভাবিক নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন, তাদেরই কেউ কেউ নির্বাচনটিকে বিতর্কিত করার ক্ষেত্রে কালিমালিপ্ত করতে পারেন।

আশঙ্কা করা হচ্ছে নির্বাচন বর্জনকারীরা নির্বাচনটিকে বানচাল করার জন্য গোপনে নানা ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২৭-২৮ তারিখের পর থেকে তারা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মরণকামড় দিতে পারে। যদি তারা সত্যি সত্যি নির্বাচনটিকে বানচাল করতে মাঠে নামেন তাহলে এখন যারা আচরণবিধি ভঙ্গ করে নির্বাচনি মাঠকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন, তখন তারা কী করতে পারবেন? প্রতিদ্বন্দ্বীরা তো উভয়সংকটেই তখন পড়বেন। সেরকম অশান্তি ডেকে আনার ক্ষেত্রে যারা এখনও ভূমিকা রাখছেন, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। নির্বাচন কমিশনের হাত মোটেও খাটো নয়। যেখানে যে ধরনের অনিয়ম প্রচারকালেই ঘটছে, সেখানেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার উদাহরণ সৃষ্টি করা দরকার। তাহলেই অন্যরা সতর্ক হতে পারে। এরপরও যদি কেউ নিজের কর্মীদের সংযত করতে না পারেন, তাহলে আইন যা বলে তাই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা উচিত। একইভাবে নজর দেওয়া উচিত রাজনৈতিক দলেরও। আওয়ামী লীগ যাদেরকে মনোনয়ন দিয়েছে, তাদের কারো কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে তাদের কর্মী-সমর্থকদের কেউ কেউ প্রতিপক্ষের প্রচার-প্রচারণায় বাঁধা দিচ্ছে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে, নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করছে। এ ধরনের অভিযোগ যেসব আসনে ঘটছে সেগুলোকে সঙ্গে সঙ্গে যাচাইবাছাই করে সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার হয়ে পড়েছে। যেহেতু আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার সুযোগ দিয়েছে। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচার প্রচারণায় আওয়ামী লীগের কোনো অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর বাধা দেওয়ার সুযোগ থাকার কথা নয়। তারপরও অতি উৎসাহী নেতাকর্মীর সংখ্যা নির্বাচন এলে মাঠে অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। তারাও কী পরিস্থিতিতে বর্তমান দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এই অবস্থায় কী তাদের করণীয় আচরণ হওয়া উচিত সে সম্পর্কে তারা কি সংযত থাকবেন না?

আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলের যারা প্রার্থী আছেন তাদের মাঠের অবস্থান যাই থাক না কেন- সেটিকে অবশ্যই কোনোভাবে বিতর্কিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা নেওয়া উচিত নয়। কোথাও কোথাও সে ধরনেরও অভিযোগ উত্থাপিত হচ্ছে। সকল অভিযোগই নির্বাচন কমিশনের আমলে নেওয়া দরকার।

এছাড়া সংখ্যালঘুদের ভোট নিয়ে কোনো কোনো প্রার্থী এবং তার কর্মী-সমর্থকরা যেভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন সেটি একেবারেই অন্যায় ও নিয়ম বহির্ভূত আচরণ। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এরইমধ্যে এ নিয়ে তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করেছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করতেই হবে। অতীতে সংখ্যালঘুদের ভোট নিয়ে যেসব ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে তা আমাদের জাতীয় ইতিহাসকে কলংকিত করেছে। সেটি নিয়ে সবাই সমালোচনাও করেছে। এখন যারা সংখ্যালঘুদের ভোট নিয়ে আবার রাজনীতি করছেন, দেখে নেওয়ার হুমকি-ধামকিও দিচ্ছেন- তারা স্ববিরোধিতারই প্রমাণ রাখছেন। ভোট প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। তিনি কাকে ভোট দেবেন সেটি গোপনীয় ব্যাপার। সুতরাং এবার যদি সংখ্যালঘুদের ভোট নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করে তাহলে দল থেকেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া দরকার। এছাড়া কুমিল্লায় একজন সংসদ সদস্যের বাড়াবাড়ির খবর গণমাধ্যমে এসেছে।

গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীকে নাজেহাল করা, ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার ঘটনা শুধু নিন্দনীয়ই নয়, দেশের আইনবিরোধীও। টাঙ্গাইলের একজন প্রার্থী অস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে আটক হয়েছেন। এইসব ঘটনারও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। এইসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। যারা জনপ্রতিনিধি হতে চান, তারা নিশ্চয়ই শক্তি প্রয়োগ করে ঐ আসনে যেতে পারেন না। তেমন ব্যক্তিদের জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা থাকে না। এবারের নির্বাচনে যেহেতু প্রার্থী নির্বাচনের সুযোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৃষ্টি করে দিয়েছেন তাই আমরা চাই ভোটারগণ অপেক্ষাকৃত ভালো মানুষটিকেই তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে প্রেরণ করবেন। যারা সেই যোগ্যতা যারা হারিয়েছেন তাদেরকে জনগণই ভোটের মাধ্যমে ইলিমিনেট করে দেবেন। সেটিই গণতন্ত্রের ভালো-মন্দ যাচাইবাছাইয়ের প্রকৃত উপায়।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী: ইতিহাসবিদ, কলাম লেখক এবং সাবেক অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :