নতুন ‘হিট অ্যান্ড রান’ আইনের প্রতিবাদে

ট্রাক চালকদের ধর্মঘটে অচল ভারতের একাধিক রাজ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৯ | প্রকাশিত : ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৬

বছরের শুরুতেই মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, গুজরাট এবং মধ্যপ্রদেশের মতো ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যামের কবলে পড়েছে। কারণ নতুন প্রবর্তিত ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতায়’ বর্ণিত ‘হিট অ্যান্ড রান’ আইনের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে টানা তিনদিনের ধর্মঘট ডেকেছেন ভারতীয় ট্রাক চালকরা। সোমবার থেকেই একাধিক রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করেছেন তারা। খবর এনডিটিভির।

সম্প্রতি দেশটির সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই ভারতীয় দণ্ডবিধিকে প্রতিস্থাপনের লক্ষ্যে পাশ হয়েছে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহীতা’। বিক্ষুব্ধ ট্রাকচালকদের দাবি, নতুন ‘হিট অ্যান্ড রান’ আইনটি অত্যন্ত কঠোর এবং এতে বিশেষ করে ট্রাকের মতো বড় গাড়ির চালকদের বিরুদ্ধে পক্ষপাত করা হয়েছে। তারা বলছেন, নতুন আইনে অলিখিতভাবে বড় গাড়ির উপর দোষ চাপানোর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

কী এই নতুন ‘হিট অ্যান্ড রান’ আইন?

ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৪ নম্বর ধারাকেই বলা হচ্ছে ‘হিট অ্যান্ড রান’ আইন। গাফিলতির জন্য মৃত্যু ঘটলে, এই আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

এই আইনের ধারায় বলা হয়েছে, কারও গাফিলতিতে যদি কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হয়, সেই ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। সেইসঙ্গে জরিমানাও করা যেতে পারে। আর যদি ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর, চালক সেখান থেকে পালায় বা পুলিশ কিংবা জেলাশাসককে ঘটনার পরপরই খবর না দেয়, তাহলে শাস্তির পরিমাণ আরও বাড়বে। সেই ক্ষেত্রে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানা আরোপ করা হতে পারে।

পুরোনো আইন কী ছিল?

এর আগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪-এর ক ধারাটি ছিল হিট অ্যান্ড রান সংক্রান্ত। এই আইনে, একই অপরাধে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানার বিধান ছিল। শাস্তির পরিমাণ অনেকটা বাড়ানোর প্রতিবাদেই রাস্তায় নেমেছেন ট্রাক চালকরা।

ট্রাক-চালকদের অভিযোগ কী?

ট্রাক মালিকদের সংগঠনগুলোর দাবি, দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে যারই অপরাধ হোক, প্রায় সবসময়ই বড় গাড়ির চালকদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়। এই পরিস্থিতিতে ‘হিট অ্যান্ড রান আইনের এই সংশোধনকে অন্যায় বলে মনে করছেন ট্রাক চালকরা।

তারা দাবি করছেন, দুর্ঘটনায় তারাও গুরুতর আহত হন। কিন্তু তাদের পক্ষে বলার মতো কেউ থাকে নেই। এই পরিস্থিতিতে শাস্তি বাড়িয়ে তৈরি নতুন বিধানকে ‘কালো আইন’ বলছেন তারা।

এদিকে ট্রাকচালকদের চলমান ধর্মঘট এবং রাস্তা অবরোধের কারনে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে খাদ্য দ্রব্যসহ প্রয়োজনীয় সরবরাহ এবং অত্যাবশ্যকীয় পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ ব্যহত হচ্ছে। জ্বালানি সরবরাহ ব্যহত হওয়ায় রাজ্যগুলোর পেট্রোল পাম্পগুলোতে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। পরিস্থিতি আরও ভয়বহ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই পরিস্থিতিতে সরকারকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।

(ঢাকাটাইমস/০২জানুয়ারি/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :