নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার ২

নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নে এক গৃহবধূ (১৯) ও পল্লি চিকিৎসককে (২৯) অস্ত্রের মুখে জিম্মির পর বিবস্ত্র করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সেসব ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদার ১০ হাজার টাকা ও এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নেয়াজপুর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের আবদুর রহমান মিস্ত্রি বাড়ির হারুনের ছেলে আফনান হোসেন শুভ (২০) ও একই গ্রামের নোমান হুজুরের বাড়ির আহম্মদ উল্যার ছেলে রহুল আমিন (৩৫)।
শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে দেবীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৩ ডিসেম্বর রাতে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর ছেলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে পূর্ব পরিচিত অপর ভুক্তভোগী পল্লি চিকিৎসককে বাড়িতে ওষুধ দিয়ে যেতে বলেন। রাতে ওই চিকিৎসক ফার্মেসি বন্ধ করে যাওয়ার পথে ওই গৃহবধূর ঘরে ওষুধ দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় বখাটে আফনান হোসেন শুভ ও রুহল আমিনসহ কয়েকজন তার গতিরোধ করে। পরে তারা তাকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূর ঘরে নিয়ে মারধর করে। একপর্যায়ে বখাটেরা চিকিৎসক ও গৃহবধূকে হুমকি ধমকি দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে।
পরে সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এভাবে বিভিন্ন সময় ভয় দেখিয়ে চার লাখ এগারো হাজার টাকা ও তিন আনা স্বর্ণের কানের দুল নিয়ে যায় বখাটেরা। এরপর তারা আরও টাকা দাবি করলে ভুক্তভোগী চিকিৎসক এ বিষয়ে আইনি সহযোগিতার জন্য পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ করেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর শুক্রবার রাতে দেবীপুর গ্রামের কালা মিয়া মুন্সি বাড়ির সামনে থেকে আসামি শুভ ও রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ধারণকৃত ভিডিও, দুটি মোবাইল ফোন, ১০ হাজার টাকা ও এক জোড়া স্বর্ণের দুল উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন