প্যানিক অ্যাটাক কী, কেন হয়, কতটা ভয়ানক, করণীয়ই বা কী?

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৭

প্যানিক অ্যাটাক হচ্ছে ভীতি ও উদ্বেগের অনুভূতি, যা হঠাৎ করেই আমাদের হতবিহ্বল করে দিতে পারে। এই সমস্যা হঠাৎ হয়। কোনো ভয়ংকর বা দুঃখের ঘটনা দেখে বুকে ধড়পড়ানি, ঘাম হওয়া, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেওয়া এর প্রধান উপসর্গ।

প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে মৃত্যুভয়ও দেখা দিতে পারে। এটি তেমন মারাত্মক সমস্যা না হলেও আক্রান্ত ব্যক্তি মনে করতে থাকেন, তার সঙ্গে ভয়ংকর কিছু ঘটতে যাচ্ছে।

প্যানিক অ্যাটাকের কারণ কী?

শিশু বা বড়দের মাঝে প্যানিক অ্যাটাকের কারণ কী তা সবসময় পরিষ্কার নয়। বিশেষজ্ঞরা যা বলেন তা হলো– কোনো কিছু নিয়ে উদ্বিগ্ন বোধ করা অথবা কঠিন বা মানসিক চাপযুক্ত কোনো পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া প্যানিক অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।

এসব পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে- বাড়িতে বা স্কুলে কোনো কঠিন অভিজ্ঞতার কারণে সৃষ্ট উদ্বেগ। পরীক্ষা, বন্ধুত্ব বা সম্পর্কের মতো বিষয়গুলো নিয়ে মানসিক চাপ। প্রিয়জনের মৃত্যু, নির্যাতন বা অবহেলার মতো ভীতিকর কোনো অভিজ্ঞতা।

পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। সব বয়সেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে বেশি বয়সে প্যানিক অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়ে। চিকিৎসকদের কথায়, হৃদরোগ, হাইপারথাইরয়েডিজম, হাইপোগ্লাইসিমিয়া ও সোশ্যাল ফোবিয়ার মতো সমস্যা থাকলে প্যানিক অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়ে।

প্যানিক অ্যাটাক হলে যা করবেন

চোখের সামনে কারও এমন সঙ্গে এমনটা ঘটলে তার চোখে-মুখে পানির ঝাপটা দিন, সঙ্গে এক গ্লাস পানি পানও করান। এক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি পান করালে রোগীর প্যারাসিম্প্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র শান্ত হয়। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির হাত বা পা ঠান্ডা পানিতে রাখলেও তিনি আরাম পাবেন।

আক্রান্ত ব্যক্তি বসতে চান কি না জেনে নিন। তাহলে একটি নিরাপদ জায়গা দেখে তাকে বসিয়ে দিন। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে। সেক্ষেত্রে গ্রাউন্ডিং এফেক্ট বেশ কার্যকরী।

গ্রাউন্ডিং পদ্ধতি ৫-৪-৩-২-১ পদ্ধতিতে হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রথমে কোথাও বসান। তারপর তাকে ধীরে ধীরে জিজ্ঞেস করুন, কোন পাঁচটি বস্তু তিনি দেখতে পাচ্ছেন তার চারপাশে।‌ এরপর কোন চারটি জিনিস ছুঁতে পারছেন, এরপর কোন তিনটি আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন, কোন দুটি জিনিসের গন্ধ নিতে পারছেন ও শেষ প্রশ্ন কোনটির স্বাদ নিতে পারছেন।

এভাবে একে একে প্রশ্ন ও উত্তরের মাধ্যমে প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তির দুশ্চিন্তা দূর করুন। তাহলেই অনেকটা স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি। আর যদি পরিস্থিতি বেশি খারাপ মনে হয়, তাহলে দেরি না করে রোগীকে দ্রুত কাছের কোনো হাসপাতালে নেওয়াই উত্তম।

(ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :