অন্যায়-মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি ডিএমপি কমিশনারের আহ্বান

সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অন্যায়, মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে আমাদের মন্ত্রী অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন, আমরা বেশি বেশি জ্ঞান অর্জন করব, সবকিছু সম্পর্কে জানব। আমাদের এই যুদ্ধটা হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।‘
বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত চকলেট বিতরন উৎসবে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব বলেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় আক্রমণ করেছিল। সেই সময় আমাদের আজকের প্রধান অতিথি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল) তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের নিয়ে ফার্মগেট মোরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে ব্যারিকেড দিয়েছিল। যাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরা যেতে না পারে এবং বাঙালিদের মারতে না পারে। সে সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন আমাদের আজকের এই প্রধান অতিথি। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন বাঙালি ছাত্র সমাজ, জনতা, শ্রমিক সবাই একসঙ্গে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিলেন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য। সেই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আমাদের আজকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর দেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি রাজনিতিতে যোগদান করেছেন, মন্ত্রী হয়েছেন এবং আজ তিনি দেশ সেবা করছেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, তোমরাও কি যুদ্ধ করতে চাও না? তোমরাও কি মন্ত্রীর মতন হতে চাও না? তিনি তো আমাদেরকে দেশ যখন পরাধীন ছিল তখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু এখন আমাদের দেশ স্বাধীন। তাহলে তো তোমরা যুদ্ধ করতে পারবে না। তোমাদের জ্ঞান দিয়ে যুদ্ধ করতে হবে। মন্ত্রী অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করেছেন। আমরা জ্ঞান অর্জন করে জ্ঞান দিয়ে যুদ্ধ করতে চাই। আমাদের মন্ত্রী যেমন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন আর আমরা আজকের যে ছাত্র-ছাত্রী তারা জ্ঞান দিয়ে যুদ্ধ করবো। বেশি বেশি জ্ঞান অর্জন করব, সবকিছু সম্পর্কে জানব। আমাদের এই যুদ্ধটা হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। এভাবেই আমরা অপকর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব এবং আরো সুন্দরভাবে আমাদের বাংলাদেশ থেকে গড়ে তুলবো।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ১৯৪১ সালের মধ্যে সবে উন্নত দেশ। মানে কি? মানে ইউরোপ আমেরিকার মতন দেশ শেষ হবে আমাদের। আমাদের প্রধানমন্ত্রী উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে সেভাবেই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের মন্ত্রী মহোদয় যেভাবে যুদ্ধ বন্ধ করে দেশটাকে তৈরি করে দিয়েছে আমরা ঠিক তেমনি জ্ঞানের যুদ্ধ করে আমরা আমাদের দেশকে ১৯৪১ সালে উন্নত দেশের মধ্যে নিয়ে যাবো।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়াও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/৩১জানুয়ারি/এলএম/কেএম)

মন্তব্য করুন