পুষ্টির ভাণ্ডার ডিম যাদের জন্য বিষ, জানুন বিপদ ঘটার আগেই

ফিচার ও স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৪

ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। আমিশাষীদের তো ডিম ছাড়া চলেই না। ব্রেকফার্স্ট থেকে ডিনার, পাতে অন্তত একটা ডিম থাকবেই থাকবে। তাতে যে শরীরের উপকার হয়, সে কথা মেনে নিয়েছেন পুষ্টিবিদরাও। কারণ ভিটামিন-মিনারেলের দারুণ উৎস এই ডিম।

কিন্তু এই সুষম খাদ্যই ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেলের অভূতপূর্ব উৎস হলেও কারও কারও ক্ষেত্রে ডিম হলো বিষের সমান। সেই তালিকায় কি রয়েছেন আপনি? জেনে নিন বড় কোনো বিপদ ঘটার আগেই।

কোলেস্টেরলের সমস্যায় ডিম খেলেই বিপদ

শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বিপদসীমার কাছেপিঠে কিংবা সামান্য উপরে থাকলে ডিম মুখে তুলবেন না। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে।

হার্ট নিয়েও সাবধান হওয়া দরকার

রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে স্বাভাবিকভাবে হার্ট ও মস্তিষ্কের বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে বাড়তি কোলেস্টেরল ধমনী, শিরায় পরত হিসেবে জমে যায়, যা রক্ত চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে। ফলস্বরূপ গোটা দেহের ব্লাড সার্কুলেশন ব্যাহত হওয়ায় একাধিক রোগের ফাঁদ চওড়া হয়। বিশেষত হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়ে। তাই এমন পরিস্থিতিতে ডিম খান ভেবেচিন্তে।

এই রোগ একাধিক বিপত্তির কারণ

সব অঙ্গে একাধিক রোগের পথ প্রশস্থ করে ডায়াবেটিস। ক্রনিক এই সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডিম খাওয়া উচিত নয়। সম্প্রতি একটি গবেষণায় সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাতে দাবি করা হয়েছে, যেসব ডায়াবেটিক রোগীরা প্রতিদিন ডিম খান, তাদের হার্টের অবস্থা তাড়াতাড়ি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের সপ্তাহে তিনটির বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়।

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাতেও বিষ ডিম

শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলেও ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আসলে উৎকৃষ্ট মানের প্রোটিনের উৎস হলো ডিম। এদিকে ইউরিক অ্যাসিডে আক্রান্ত রোগীদের হাই প্রোটিন ডায়েট খেতে বারণ করা হয়। তাই ভুলেও এদের ডিম খাওয়া চলবে না।

(ঢাকাটাইমস/০১ফেব্রুয়ারি/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :