কেএমপির পুলিশ কমিশনারের দক্ষ কর্মপরিকল্পনায় বদলেছে পুলিশি সেবা

খুলনা ব্যুরো, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৯ | প্রকাশিত : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪১

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক দায়িত্বলাভের পর তার নতুন কর্মপরিকল্পনায় বদলে গেছে কেএমপির সেবার মান।

গেল বছর পহেলা আগস্ট কেএমপিতে যোগদান করেন মেধাবী, দক্ষ, চৌকস ও মান্যবর এই পুলিশ কমিশনার। তিনি যোগদানের পর অস্ত্র উদ্ধার, ক্লুলেস হত্যার আসামি আটক, জিহাদি বইসহ জঙ্গি আনসারুল্লাহ সদস্যদের আটক, স্বর্ণ চোরাচালান, জুয়া, চুরি, ডাকাতি মাদক নিয়মিত মাদক উদ্ধার, ভূমি দস্যু ইত্যাদি অপরাধ নিয়ন্ত্রণের মতো কার্যকরি সাফল্য পেয়েছেন। পাশাপাশি কেএমপিতে হ্যালো কেএমপি অ্যাপস-এর মাধ্যমে অনলাইনে অভিযোগ, জিডি, তথ্য প্রদানসহ সব ধরনের তথ্য ও আইনগত সহায়তার জন্য একটি ঈর্ষণীয় পদক্ষেপ সফল করেছেন। এক সময়ে থানায় যেয়ে জিডি, অভিযোগ করতে বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তি সন্মুখিন হতে হতো সাধারণ মানুষদের। তবে এখন হ্যালো কেএমপি আ্যাপস-এর মাধ্যমে নিজেরা ঘরে বসে সব ধরনের আইনগত প্রতিকার পাওয়া ডিজিটাল সু-ব্যবস্থা তার হাত দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে।

এছাড়া তিনি যোগদানের ৬ মাসে কেএমপির অস্ত্র উদ্ধারের মধ্যে রয়েছে মোট ৮টি পিস্তল, ৩টি রিভারবল, ৯টি ওয়ানশ্যুটারগান, ১টি রাইফেলসহ মোট ২১টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করছেন। পাশাপাশি ২১ রাউন্ড রিভারবল গুলি, ১৪ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ৪৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৩ রাউন্ড এসএলআর গুলি ও ৫৯ রাটউন্ড রাইফেলের গুলিসহ প্রায় দেড় শতাধিক গুলি উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জন অস্ত্রধারীদের আটক করা হয়। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ছুরি, চাপাতি, দাসহ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও খুলনায় ২৫টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ মোট ৬৬ জন চোর চক্রকে আটক করা হয়। পাশাপাশি চুরি যাওয়া স্বণলংকার, নগদ অর্থ মালামাল তাৎক্ষণিক উদ্ধারসহ চোর চক্র সদস্যদের আটক করে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে প্রশংসার দাবিদার। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা পুলিশের সদস্যদের সম্মাননা প্রদানকেএমপিতে বঙ্গবন্ধু কর্নার চালু করেছেন।

তিনি পেশাদারি মনোভাব ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে গরিব অসাহায় মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগী বিভিন্ন মানুষের পাশে দাড়িয়ে সেলাই মেশিন, নগদ অর্থ, ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের মানবিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে চলেছেন। দিন দিন তিনি সাধারণ মানুষের কাছে একজন মানবিক পুলিশ অফিসার হিসেবে নিজেকে করেছেন সুপ্রতিষ্ঠিত।

এ বিষয়ে সুশানের জন্য নাগরিক (সুজন) খুলনার জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা বলেন, বর্তমান কেএমপির পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খুলনা যোগদান করার পর পুলিশের সেবার চিত্র পাল্টে গেছে। তিনি যথেষ্ট একজন দক্ষ, চৌকস ও মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে খুলনা নগরীতে অস্ত্র উদ্ধার, চোর ছিনতাইকারীদের উপদ্রব ঠোকানোসহ জঙ্গি, মাদক উদ্ধারে তিনি সাফল্য পেয়েছেন। পাশাপাশি হ্যালো কেএমপি অ্যাপস চালু করা, অসাহায় দুস্থ ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে আসছেন। একসময়ে থানায় জিডি করতে গেলে বলা হতো ওসি স্যার আসবে তারপর আসেন, বাহিরের থেকে লিখে ফটোকপি করে নিয়ে আসেন। আবার যেয়ে অভিযোগ, জিডি কারেকশন করে আনতে হবে ইত্যাদি করত। পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে নানা কৌশলে অর্থ আদায় করত বলে অভিযোগ ছিল। তবে, এখন আর শোনা যাচ্ছে না যে কেএমপিতে কোনো থানায় ভুক্তভোগীদের হেনস্থা করছে। আমাদের দাবি এমন মানবিক কার্যক্রম যেন ভবিশ্যৎের দিন গুলোতেও চলমান থাকে।

এ বিষয়ে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, দীঘদিন যাবৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে কর্মরত আছি বিভিন্ন সমযে বিভিন্ন জেলায় সরকারী গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি। যেকারণে একটি অভিজ্ঞতা আছে।পাশাপাশি র‌্যাব-৪ এ যখন দায়িত্ব পালন করেছি তখন জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র উদ্ধার ক্ললেস হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছি। এমনকি কিডনি বেচা-কেনার মত একটি বড় অপরাধের মত চক্রর সদস্যদের আইনের আওতায় এনেছি। আমরা পুলিশের বাহিরে একটা পরিচয় হলো মানুষ। আর মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাড়াতে হবে এটাই তো নিয়ম।করোনাকালীন সময়ে যখন কেউ ঘর থেকে বের হয়নি আমরা নিয়মিত ঘর থেকে বের হয়ে অসাহায় দারিদ্র মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি। তাদেরকে সহযোগীতা করতে পেরেছি। আমি মানবিক পুলিশ অফিসার হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে চাইনা। আমার কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষ বলবে আমার পরিচয়। এছাড়া কেএমপিতে যোগদানের পর সাধারণ মানুষের পাশে দাড়িয়ে সেবা দিতে যা,যা, করণীয় করছি।পরিশেষে বলব দুষ্টের দমন আর সৃষ্টির পালন হিসেবে থাকতে চাই সবার মাঝে। উল্ল্যেখ, কেএমপি’র কমিশনার মো মোজাম্মেল হকের বাড়ি পাবনা জেলার চাটমোহর থানার শাহাপুর গ্রামে।

তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভেটেরিনারি সায়েন্সে ডিগ্রী নিয়ে ১৯৯৪ সালে ভেটেরিনারি সার্জন পদে জয়পুর হাট জেলায় যোগদান করেন। এর পর তিনি একের পর এক সাফল্য অর্জন করতে থাকেন। তার জীবনে পুরস্কারের সংখ্য অনেক।

সর্বশেষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক দায়িত্বলাভের পর তার নতুন কর্মপরিকল্পনায় বদলে গেছে কেএমপির সেবার মান।

(ঢাকা টাইমস/০৫ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :