উত্তপ্ত হংকংয়ের ফুটবল, ম্যাচে খেলতে না পারার ব্যাখ্যা দিলেন লিওনেল মেসি
মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) নতুন মৌসুম শুরুর আগে এশিয়ায় প্রাক-মৌসুম সফরে ব্যস্ত সময় পার করছে ইন্টার মায়ামি। রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) হংকং স্টেডিয়ামে হংকং একাদশের বিপক্ষে মাঠে নামে আমেরিকার ক্লাবটি। মেসি-সুয়ারেজকে ছাড়াই বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। লিওনেল মেসি কেন হংকং একাদশের বিপক্ষে খেলেননি, এ নিয়ে হংকংয়ে চলছে তোলপাড়।এমনকি দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী কেভিন ইয়েউং ঘোষণা করেছেন আয়োজকদের অর্থ কাটার।
মায়ামি ও হংকং একাদশ ম্যাচের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন ছিলেন মেসি। ম্যাচটির আগে টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন, বিভিন্ন বিলবোর্ড আর পোস্টার জুড়ে ছিলেন মেসি। বিশ্বকাপজীয় আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে কাছ থেকে দেখতে ন্যূনতম ১২৫ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ হাজার টাকা) খরচ করতেও দ্বিধা করেনি হংকংয়ের ফুটবলপ্রেমীরা।
কিন্তু হংকং একাদশের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির ৪-১ গোলের বড় জয়ের ম্যাচে বেঞ্চ গরম করেন মেসি। ম্যাচের শেষ দিকে ক্ষিপ্ত হয়ে হংকংয়ের ফুটবলপ্রেমীরা মেসিকে দুয়ো দিয়েছেন, এমনকি টিকিটের মূল্য ফেরত চেয়েও স্লোগান দিয়েছেন। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক যে আয়োজকদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা করা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। কিন্তু যেই মেসিকে নিয়ে এমন পরিস্থিতি তিনি কি চুপ থাকতে পারেন? না তিনি চুপ থাকতে পারেননি। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন এলএমটেন।
এই মুহূর্তে এশিয়া সফরের শেষ ম্যাচ খেলতে মায়ামির সঙ্গে জাপান সফরে রয়েছেন মেসি। আগামীকাল বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাপানের ক্লাব ভিসেল কোবের বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মায়ামি তাদের পরবর্তী প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলবে। এই ম্যাচের আগের দিন এক সংবাদ সম্মেলনে হংকং একাদশের বিপক্ষে খেলতে না পারার ব্যাখ্যা দিয়েছেন আর্জেন্টিনা ও ইন্টার মায়ামির অধিনায়ক।
হংকং ম্যাচে আমার খেলতে না পারাটা দুর্ভাগ্য উল্লেখ করে মেসি বলেন, সৌদিতে প্রথম ম্যাচ খেলার সময় আমি অ্যাডাক্টর পেশিতে (ঊরুর পেশি) অস্বস্তি অনুভব করি। যার ফলে আমি উঠে যাই। এরপর সেখানে দ্বিতীয় ম্যাচে দেখতে চেয়েছিলাম কেমন বোধ করি। কারণ, এমআরআইয়ের পর আমি জানতে পারি যে আমার অ্যাডাক্টর পেশিতে ফোলা আছে। কোনো চোট না থাকায় আমি সেই ম্যাচে খেলার চেষ্টা করি।
আমরা হংকংয়ে উন্মুক্ত অনুশীলন করি এবং আমি সেখানে ছিলাম উল্লেখ করে হংকং সফর নিয়ে এরপর মেসি বলেন, অনেক মানুষ সেখানে এসেছিল। এ ছাড়া শিশুদের নিয়েও একটা পর্ব ছিল। আমি সেখানে থাকতে চেয়েছি এবং অংশ নিতে চেয়েছি। কিন্তু সত্যি হচ্ছে, আমার (অ্যাডাক্টরে) অস্বস্তি থাকায় ম্যাচে খেলাটা আমার জন্য কষ্টকর ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফুটবলে এমন ঘটনা যেকোনো ম্যাচেই হতে পারে। আমাদের চোট থাকতে পারে। আমার ক্ষেত্রে এটাই হয়েছে।
হংকংয়ে খেলতে না পেরে হতাশ উল্লেখ করে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক আরও বলেন, আমি হংকংয়ে ম্যাচে খেলতে পারিনি, এটা দুঃখজনক। আমি সব সময়ই খেলতে চাই। বিশেষ করে আমরা যখন সফর করি এবং মানুষ আমাদের ম্যাচ দেখার জন্য উন্মুখ থাকে। এরপর হংকংয়ের ফুটবলপ্রেমীদের উদ্দেশ্যে মেসি বলেন, আশা করছি আমরা আবার আসব এবং আরেকটা ম্যাচ খেলব আর আমি সেখানে থাকব। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমার খেলতে না পারাটা দুঃখজনক।
(ঢাকাটাইমস/০৬ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)