প্রতিশ্রুতি মিললেও মিলছে না সেতু, ভোগান্তিতে ৮ গ্রামের মানুষ

ফেনী প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৯

দুই বছর আগে এলাকার যুবকেরা বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন। পরে বাঁশের পরিবর্তে সেই সাঁকোকে কাঠ দিয়ে তৈরি করা সেতু। ছয়মাস আগে সেটিও ভেঙ্গে গেছে। ফলে ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হচ্ছে নদী। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিশু, শিক্ষার্থী, নারী পুরুষ বৃদ্ধসহ অসুস্থরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা শুধু প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু সেতু তৈরি করে দেন না।

ফেনীর পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়নের সিলোনিয়া নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পাগলিরকুল, রাজেষপুর, নোয়াপুর শালধরসহ প্রায় আট গ্রামের অসংখ্য মানুষ। তাদের যাতায়াতের একমাত্র পথ সিলোনিয়া নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ হলে ওই এলাকার শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

নদীটির পূর্ব পাশে ধনিকুন্ডা বাজার উপজেলা সদরের সঙ্গে যুক্ত সড়কটি এলজিইডির অর্থায়নে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তা করা হয়েছে। একইভাবে পশ্চিম পাশেও রাস্তা করা আছে কিন্তু নেই শুধু সেতু।

স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্বা ছিদ্দিকুর রহমান জানান, জন্মের পর থেকে কষ্ট করে যাচ্ছি। গত পনেরো বছর ধরে জনপ্রতিনিধিরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কেউ সেতু করে দেয়নি। সাঁকো ভেঙ্গে যাওয়ায় গত কয়েকমাস ধরে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না এই এলাকার শিক্ষার্থীরা। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শতাধিক শিক্ষার্থীসহ অসংখ্য মানুষকে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রতিশ্রুতি পাই কিন্তু সেতু পাই না।

এলজিইডির প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্র জানা যায়, সেতু নির্মাণে বরাদ্দের জন্য ইতোপূর্বে একাধিকবার এলজিইডির ফেনী, নোয়াখালী লক্ষ্মীপুর উন্নয়ন প্রকল্পে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল কিন্তু বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা সিমা আক্তার জানান, বর্ষা মৌসুমে ভরা নদীতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে তার ছেলে পানিতে পড়ে মারা গেছে। এছাড়া এই গ্রামের আরও চারজন শিশু মারা গেছে।

এলাকাবাসী জানায়, এত বছর পরও সেতু না হওয়ায় শুধু মানুষ যাতায়াতে নয় পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অঞ্চলের বাসিন্দারা।

চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, সিলোনিয়া নদীতে সেতুটি নির্মাণ করা জরুরি। কিন্তু সাবেক সংসদ সদস্যকে একাধিকবার অনুরোধ করলেও তিনি তা শুনেননি।

পরশুরাম উপজেলা প্রকৌশলী এস এম শাহ আলম ভুঁইয়া বলেন, সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে হাজার হাজর মানুষ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে। বরাদ্দ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেতুটি নির্মিত হবে।

(ঢাকা টাইমস/০৯ফেব্রুয়ারি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :