গোপীবাগে ট্রেনে আগুন: ৪১ দিন পর মিলল নিহত চারজনের পরিচয়

গোপীবাগে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারানো চারজনের পরিচয় মিলল ৪১ দিন পর। নিহতরা হলেন- আবু তালহা (২৪), চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি (২৮), নাতাশা জেসমিন নেকি (২৫) এবং এলিনা ইয়াসমিন (৪০)।
আজ (বৃহস্পতিবার) ওই চারটি মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেতাফুর রহমান ।
তিনি বলেন, ‘এই চার পরিবার মরদেহ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় তাদেরই নাম এসেছে। আমরা তাদের পরিবারে খবর দিয়েছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজই মরদেহ তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’
জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে আবু তালহার বাড়ি রাজবাড়ীর কালুখালীর গাংবথনদিয়ায়। তার বাবার নাম আব্দুল হক। তিনি মরদেহের দাবিদার ছিলেন।
আবু তালহা ফরিদপুর রেলস্টেশনের পাশে থাকতেন। সৈয়দপুর সেনাবাহিনী পরিচালিত ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করতেন। ঘটনার দিনে তিনি ফরিদপুর থেকে ঢাকায় আসছিলেন। এরপর সৈয়দপুর যাওয়ার কথা ছিল।
চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমির গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার রঘুনাথপুরে। থাকতেন তেজগাঁও ইন্দিরা রোড পশ্চিম রাজাবাজারে। তার বাবার নাম চিত্তরঞ্জন চৌধুরী, মা ইতি রানী। চন্দ্রিমার মরদেহের দাবিদার তার ভাই ডা. দিবাকর চৌধুরী।
নাতাশা জেসমিন নেকি থাকতেন গেন্ডারিয়ার নারিন্দায়। তার বাবা আবু সিদ্দিক খান সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা। স্বামীর নাম আসিফ মো. খান। নাতাশার মরদেহের দাবিদার তার ভাই খুরশিদ আহমেদ।
এলিনা ইয়াসমিন থাকতেন মিরপুরের পীরবাগে। তার ছয় মাস বয়সি একটি বাচ্চা রয়েছে। এলিনার বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলায়। তার বাবার নাম মৃত সাইদুর রহমান। স্বামী সাজ্জাদ হোসেন চপল। তিনি একটি বায়িং হাউজের কমার্শিয়াল সেকশনে কর্মরত।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জানুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া আরও ৮ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নেন।
কিন্তু সে সময় নিহতদের দেহ পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ায় তাদের পরিচয় জানানো সম্ভব হয়নি। ফলে ল্যাব পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত হয়। অবশেষে ৪১ দিন পর মিলল পরিচয়।
(ঢাকাটাইমস/১৫ফেব্রুয়ারি/এএম/এজে)

মন্তব্য করুন