কোকাকোলা বাংলাদেশের শতভাগ মালিকানা কিনল তুর্কিয়ের কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮| আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৮
অ- অ+

কোকাকোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেডের (সিসিবিবি) শতভাগ শেয়ার কিনেছে তুর্কিয়ে কোম্পানি কোকাকোলা আইসেক (সিসিআই)। সম্পূর্ণ মালিকানা ক্রয়ের মধ্য দিয়ে শীঘ্রই কোকাকোলা বাংলাদেশকে অধিগ্রহণ করবে সিসিআই। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই অধিগ্রহণ করবে কোম্পানিটি।

সিসিআই ইতিমধ্যে এ–সংক্রান্ত চুক্তি সম্পন্ন করেছে। সিসিআই জানায়, ১৩ কোটি ডলারের বিনিময়ে সিসিআই— কোকাকোলা বাংলাদেশ বেভারেজেসের শতভাগ শেয়ার অধিগ্রহণ করবে। বহুজাতিক এই তুর্কিয়ে কোম্পানিটি বৃহস্পতিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

সিসিআই তার সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সাবসিডিয়ারি সিসিআইএইচবিভি ও কোকাকোলা কোম্পানির একটি সাবসিডিয়ারির সঙ্গে এই চুক্তি করেছে, যার প্রধান শেয়ারহোল্ডার হবে সিসিআইএইচবিভি। সিসিআইএইচবিভি হলো সিসিআই ইন্টারন্যাশনাল হল্যান্ড বিভি।

সিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা করিম ইয়াহি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা সিসিবিবি অধিগ্রহণের জন্য শেয়ার ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে আনন্দিত। এই চুক্তিকে আমরা ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় বাজারে প্রবেশের দারুণ সুযোগ হিসেবে দেখছি।’

বিবৃতির তথ্যানুযায়ী, কোকাকোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস দেশে কোক ব্র্যান্ডের পানীয় উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণ করে। এই কোম্পানি রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চলের প্রায় ১০ কোটি গ্রাহককে সেবা দেয়। তাদের তিন শতাধিক কর্মচারী রয়েছে। এ ছাড়া একটি বোতলজাত প্ল্যান্ট, তিনটি গুদামসহ প্রায় তিন লাখ বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে কোম্পানির। তাদের ডিস্ট্রিবিউটরের সংখ্যা ৫০০।

বাংলাদেশে কোমল পানীয়ের বাজারের আকার চার হাজার কোটি থেকে ছয় হাজার কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের দুই বহুজাতিক কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কোকাকোলা ও পেপসিকোর পাশাপাশি প্রাণ, আকিজ, পারটেক্স ও মেঘনার মতো বেশ কয়েকটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এই চাহিদা পূরণ করে।

সিসিআইয়ের মতে, ২০১৯-২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের নন-অ্যালকোহলিক কোমল পানীয়ের বাজারে ১০ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের নন-অ্যালকোহলিক কোমল পানীয়ের বাজার ১২ শতাংশ বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।

সিসিআই কোকাকোলা ব্র্যান্ডের পণ্য উৎপাদন, বিতরণ ও বাজারজাত করে থাকে। ১১টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে এই কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দেশগুলো হলো—তুর্কিয়ে, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান, ইরাক, আজারবাইজান, জর্ডান এবং সিরিয়া।

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ভালুকায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সুরতহাল, ময়নাতদন্ত ছাড়াই গোপালগঞ্জে সহিংসতায় নিহতদের দাফন-সৎকার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
শহীদ আবু সাঈদের মাকে নিয়ে ‘কটূক্তি’, পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা