তানজিদ তামিমের প্রথম সেঞ্চুরিতে খুলনাকে শক্ত চ্যালেঞ্জ চট্টগ্রামের

প্লে-অফের লড়াইয়ে থাকতে জয়ের বিকল্প নেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। একই কথা প্রযোজ্য খুলনা টাইগার্সের জন্যও।এই ম্যাচে চট্টগ্রাম জয় পেলে শেষ চার নিশ্চিত হবে দলটির। আর এক ম্যাচ হাতে রেখেও বাদ পড়বে খুলনা। আর খুলনা জয় পেলে শেষ চারের পথে বেশ এগিয়ে যাবে দলটি। ম্যাচটি দুই দলের জন্যই বাঁচা-মরার লড়াই। সে লড়াইয়ে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া চট্টগ্রামের হয়ে জ্বলে উঠেছেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
এই তরুণ বাঁহাতি পেয়েছেন বিপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা। সবধরণের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মিলিয়ে এটি এই তরুণের প্রথম শতক। সবমিলিয়ে বিপিএলের ইতিহাসে বাংলাদেশিদের মাঝে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর এটি।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম পর্বের শেষ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের বিপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ভর করে চট্টগ্রাম নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান সংগ্রহ করেছে।
বাঁচা-মরার ম্যাচে চট্টগ্রামের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন তানজিদ হাসান সাকিব ও মোহাম্মদ ওয়াসিম। তবে নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন তারা। দলীয় মাত্র ৪ রানেই মোহাম্মদ ওয়াসিমের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি। ৭ বলে ১ রান করা মোহাম্মদ ওয়াসিম নাসুম আহমেদের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ওয়েইন পার্নেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।
৪ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর সৈকত আলীকে নিয়ে জুটি গড়েন তানজিদ হাসান সাকিব। শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে চট্টগ্রাম। আর তখনই চট্টগ্রাম শিবিরে আঘাত হানেন জেসন হোল্ডার। জেসন হোল্ডারের বলে ডিপ মিড উইকেটে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সৈকত আলী। তার বিদায়ে ভাঙে ৫৬ রানের জুটি।
৬০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন টম ব্রুস ও তানজিদ হাসান সাকিব। এই জুটি থেকে আসে ১০১ রান। এই জুটিতে ভর করে ১২ ওভারে দলীয় শতক পূর্ণ করে চট্টগ্রাম। খুলনার বিপক্ষে আজ ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি তুলে নেন দেশি ক্রিকেটার তানজিদ হাসান সাকিব। ৩২ বলে অর্ধশতক তুলে নেওয়ার পর ৫৮ বলেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। বিপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে ৭টি করে চার ও ছয় মারেন তিনি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেই এটি এই ব্যাটারের প্রথম শতক।
তবে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনি। ৬৫ বলে ১১৬ রান করে ওয়েইন পার্নেলের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে ১০১ রানের জুটি।
তানজিদ হাসান সাকিবের পর সাজঘরে ফিরে যান রোমারিও শেফার্ডও। ৫ বলে ১০ রান করে মুকিদুল ইসলামের বলে মিড অফে ওয়েইন পার্নেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান তিনি।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান তোলে চট্টগ্রাম। টম ব্রুস অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ৩৬ রান করে। খুলনার পক্ষে পার্রেন, নাসুম, হোল্ডার ও মুকিদুল একটি করে উইকেট শিকার করেন।
(ঢাকাটাইমস/২০ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন