বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের
বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে পাঠাতে পারবে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা।
বৃহস্পতিবার ভারতের ভোক্তাবিষয়ক দপ্তরের সচিব রোহিত কুমার সিং রাজধানী নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন, মরিশাসে ১ হাজার ২০০ টন, বাহরাইনে ৩ হাজার টন এবং ভুটানে ৫৬০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছি।'
রোহিত কুমার সিং জানান, ৩১শে মার্চ পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের এই পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশ এবং অন্য তিনটি দেশে এই পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এই মাসের শুরুর দিকে ভারত সফরের সময় পবিত্র রমজান মাসের আগে বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে তাদের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশে পেঁয়াজসহ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছিলেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠকের সময় ড. হাছান ওই পণ্যগুলো বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য আবেদন করেছিলেন।
এর আগে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যায়। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম দুইশ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এর পর ভরা মৌসুমেও দেশে পেঁয়াজের দাম সহনীয় মাত্রায় নামেনি।
(ঢাকাটাইমস/২৩ফেব্রুয়ারি/কেএ)