থানার ভিতরেই যুবককে পিটিয়ে জখম করলো এসআই!

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫৬

পুলিশের হাতে আটক বড় ভাইকে থানায় দেখতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন আবদুল্লাহ আল নোমান (২২) নামের এক যুবক। আহত ওই যুবকের অভিযোগ তার ভাইকে কেনো আটক করা হয়েছে জানতে চাওয়ায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় সিকদার তাকে থানার একটি কক্ষে আটক করে মারধর করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সেনবাগ থানায় ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় নোমানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত আবদুল্লাহ আল-নোমান সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের উত্তর কাদরা আবু তাহেরের ছেলে।

আহত নোমান অভিযোগ করে বলেন, তিনি সেনবাগ বাজারের একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করেন। দুপুরে সেনবাগ থানার এসআই সঞ্জয় সিকদারসহ একদল পুলিশ বিনা কারণে কাদরা মজুমদার বাড়ির পাশ থেকে তার ভাই শাহদাতকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে দুপুরে সে (আবদুল্লাহ আল-নোমান) থানায় তার বড় ভাইকে দেখতে যায়। থানায় গিয়ে একজন কনস্টেবলকে জিজ্ঞেস করেন কেন তার ভাইকে আটক করা হয়েছে। এসময় পাশের কক্ষে থাকা এসআই সঞ্জয় তাকে ওই কনস্টেবলকে দিয়ে ঢেকে থানার একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে দরজা বন্ধ করে এসআই সঞ্জয় তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ সদস্যরাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দোষী পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।

সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আহত নোমানের বুকে পিঠে জখম পাওয়া গেছে। ছাড়া তার শ্বাসকষ্টও দেখা গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় সিকদার বলেন, বেলা ১১টার দিকে কাদরা মজুমদার বাড়ির সামনে থেকে দুইশ গ্রাম গাঁজাসহ শাহাদাত আবদুস সাত্তারকে আটক করেছি। নিয়মানুসারে তাকে থানায় আনা হয়েছে। শাহাদাতের ভাই নোমানের সঙ্গে তার দেখা বা কথা হয়নি। তাদের আটক করার সময় সে ঘটনাস্থলে ছিল কী না তাও জানা নেই। তাকে মারধর হাসপাতালে ভর্তি করানোর বিষয়টি সত্য নয়। মাদকসহ আটক নিজের ভাইকে বাঁচাতে এটি নোমানের কৌশল হতে পারে বলে জানান তিনি।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন প্রথমে বিষয়টি জানেন না বলে জানালেও পরে বলেন, গাঁজাসহ একটি ছেলেকে আটকের পর তার ভাই এসে থানায় ঝামেলা করার চেষ্টা করে। তখন তাকে হাজতে ঢোকানোর কথা বললে সে দৌড়ে চলে যাওয়ার সময় সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে। তাকে কেউ মারধর করেনি।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান রাজিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৯ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :