থানায় আটকে রেখে যুবককে নির্যাতন, এসআই ক্লোজড
নোয়াখালীর সেনবাগ থানার একটি কক্ষে আবদুল্লাহ আল নোমান নামে এক যুবককে আটক রেখে মারধর করে আহত করার অভিযোগ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় সিকদারকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। একইসাথে এ ঘটনা তদন্তে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে এ তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম। এরআগে ওই ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ঘটনায় বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান রাজিবকে প্রধান করে এবং দুজন ইন্সপেক্টরের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সরেজমিন তদন্ত করে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে। এসআই সঞ্জয়কে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আহত ওই যুবক নোমানের অভিযোগ বৃহস্পতিবার দুপুরে সেনবাগ থানার এসআই সঞ্জয় সিকদার’সহ একদল পুলিশ বিনা কারণে কাদরা মজুমদার বাড়ির পাশ থেকে তার ভাই শাহদাতকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে দুপুরে সে (আবদুল্লাহ আল-নোমান) থানায় তাঁর বড় ভাইকে দেখতে যায়। এসময় একজন কনস্টেবলকে জিজ্ঞেস করে কেনো তার ভাইকে আটক করা হয়েছে। এসময় পাশের কক্ষে থাকা এসআই সঞ্জয় তাকে ওই কনস্টেবলকে দিয়ে ঢেকে থানার একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে দরজা বন্ধ করে প্রথমে সঞ্জয় তাকে দুটি আচাঁড় পরে লাথি ও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ সদস্যরাই তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
(ঢাকা টাইমস/০১মার্চ/প্রতিনিধি/এসএ)