বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বরগুনা প্রেসক্লাবে ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ ও মানববন্ধনে বরগুনার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বরগুনা প্রেসক্লাব, জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম, জেলা অনলাইন সাংবাদিক ফোরাম, জেলা প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিক ফোরাম, জেলা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম, জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোস্তফা কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার আলহাজ আব্দুর রশিদ মিয়া, বরগুনা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এম মজিবুল হক কিসলু, অ্যাডভোকেট সঞ্জীব কুমার দাস, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার প্রমুখ।
সমাবেশ ও মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে বরগুনায় অপসাংবাদিকতার মাধ্যমে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল। তাদের এসব অপকর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় বরগুনা প্রেসক্লাবের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তারা এ হামলা চালায়। বক্তারা এই হামলার সাথে জড়িত আসামিদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেসক্লাবের অধিকাংশ সদস্য যখন শিক্ষা সফর উপলক্ষে কলকাতা প্রেসক্লাবের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করছিলেন। তখন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি কুচক্রী দল বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলা চালায়। এসময় তারা প্রেসক্লাব দখলে নেওয়ার অপচেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে বরগুনা প্রেসক্লাবে পৌঁছালে প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজসহ একাধিক সদস্যকে লাঞ্ছিত করে হামলাকারীরা। বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মাসুদ তালুকদার, বরগুনা প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কৃত সদস্য মুশফিকুল ইসলাম আরিফ এবং হারুন অর রশীদ রিংকুর নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বরগুনা প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় ২৯ ফেব্রুয়ারি দ্রুত বিচার আইনে ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়। বরগুনা প্রেসক্লাবের পক্ষে মামলা (নং ১৮/২৪) দায়ের করেন সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার।
(ঢাকাটাইমস/০২মার্চ/প্রতিনিধি/এসএ)

মন্তব্য করুন