স্বাস্থ্যসম্মত ও রপ্তানিযোগ্য শুঁটকি উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ 

পবিপ্রবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০২ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৮
অ- অ+

বছরব্যাপী সহজ পুষ্টি প্রাপ্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রপ্তানিযোগ্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত শুঁটকি উৎপাদন করে বাংলাদেশ দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম।

শনিবার কুয়াকাটার হোটেল প্রিন্স ইন্টারন্যাশনালে সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের অর্থায়নে ও মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনে ‘বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে টুনা ও টুনা জাতীয় সামুদ্রিক মাছের রপ্তানিমুখী মূল্য সংযোজন ও শুঁটকি তৈরি করণ’ শীর্ষক কর্মশালায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন-মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী, বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) রিসার্চ এবং ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল হক ও মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম।

কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপপ্রকল্পের প্রধান গবেষক পবিপ্রবির ফিশারিজ টেকনোলজির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সাজেদুল হক । তিনি গ্রীনহাউজ ফিশ ড্রায়ার এবং ইউ সি ডেভিস চিমনি ড্রায়ারের মাধ্যমে রপ্তানিযোগ্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত শুঁটকি উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন । তিনি টুনা ও টুনা জাতীয় মাছ শুঁটকি করণের জন্য প্রধান সমস্যাগুলো এবং এর সমাধান উল্লেখ করে দীর্ঘ ও স্বল্প মেয়াদি সংরক্ষণ করে ক্রেতাদের কাছে স্বল্প মূল্যে গুণগত মানসম্পন্ন শুঁটকি প্রাপ্তির কথা বলেন। ওই উপপ্রকল্প থেকে শুঁটকি উদ্যোক্তাদেরকে চিমনি, ফিশ ড্রায়ার, কোল্ড স্টোরেজ এবং অন্যান্য উপকরণ সামগ্রী প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক অর্থ উপার্জন হয় মাছের মাধ্যমে এবং দেশের অর্থনীতিতে একটা বড় ভূমিকা পালন করে আসছে, মৎস্যজাত পণ্য হিসেবে শুঁটকি বাংলাদেশে এবং বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জনপ্রিয় একটি খাবার। বঙ্গোপসাগর থেকে ৭ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আহরিত হয়। যার মধ্যে এক চতুর্থাংশ মাছ উপকূলীয় অঞ্চলে বাণিজ্যিক ভাবে শুঁটকি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। শুঁটকি মাছে উচ্চ মাত্রায় আমিষ, খনিজ উপাদান, উপকারী কোলেস্টেরল ও শক্তি রয়েছে । শুঁটকিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যা রোগ প্রতিরোধ করে, শুঁটকিতে বিদ্যমান খনিজ উপাদান দেহে রক্ত বাড়ায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, নার্ভ ও মাংসপেশির সঠিক কার্যক্রম, হরমোন জনিত সমস্যা দূর, যা বাড়ন্ত শিশু, ব্যায়ামবিদ, খেলোয়াড় ও সাঁতারুদের জন্য খুবই উপকারী ভূমিকা পালন করে ।

কর্মশালায় উপস্থিত অতিথিরা ওই প্রকল্পের কাজের প্রশংসা করেন এবং প্রধান অতিথি মো. আব্দুল কাইয়ূম তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ২০২৪ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষণা করেন আগামী ৫ বছরে মৎস্য খাত থেকে রপ্তানির মাধ্যমে ১৫ হাজার কোটি টাকা আয় করবেন। এই লক্ষ্য অর্জনে গবেষণার মাধ্যমে কাজের পরিধি বৃদ্ধি করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুঁটকি উৎপাদনে পেস্টিসাইডের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, তাই এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’

কর্মশালায় পবিপ্রবির অ্যাকোয়াকালচার ডিপার্টমেন্টের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. লোকমান আলীসহ অন্যান্য শিক্ষক, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার মৎস্য কর্মকর্তা, বিএফআরআই এর মৎস্য গবেষণা উপকেন্দ্র খেপুপাড়া পটুয়াখালীর কর্মকর্তা, বিএফডিসি আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা, কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা, শুঁটকি উৎপাদনকারী এবং ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০২মার্চ/প্রতিনিধি/পিএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ভেষজ বিলাতি গাব খেলে দূর হবে ক্যানসার, নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত, জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ
রাজনীতিতে অভিভাবক দল হিসেবে আমরা বারবার ধৈর্য ধরেছি: অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া
এনবিআরের আরও ৬ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরখাস্ত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা