পদত্যাগ করে রাজনীতির মাঠে কলকাতা হাইকোর্টের আলোচিত বিচারপতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৫ | প্রকাশিত : ০৪ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৭

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে হইচই। রবিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন আলোচিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মাঝে বড় কোনও বদল না ঘটলে, আগামী মঙ্গলবারই পদত্যাগ করবেন তিনি। চলতি বছরের ১০ আগস্ট তার অবসর নেওয়ার কথা ছিল। তার মাত্র কয়েক মাস আগে তিনি পদত্যাগ করছেন।

রবিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বৃহত্তর ক্ষেত্রে পদার্পণ করতে চান বলেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

রাজ্যের শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিজিৎ বলেন, ‘এখনও বহু দপ্তরে বহু রকমের দুর্নীতি উদঘাটিত হয়নি। সেগুলো সব উদঘাটন হলে বোঝা যাবে কী পরিমাণ দুর্নীতির রাজ্যে আমরা বাস করছি। আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করার জন্য শাসকদলকেই অভিনন্দন জানাব। বৃহত্তর ক্ষেত্রে আমি আসছি।’

ধারণা করা হচ্ছে তৃণমূল বিরোধী বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের মধ্যে যেকোন একটি দলে যোগ দিতে পারেন এই বিচারপতি। তবে শেষ পর্যন্ত কোন দলে যাচ্ছেন তা এখনো নিশ্চিত নয়।

ইতিমধ্যেই তাকে দলে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমি দলীয় ভাবে কিছু জানি না। উনি একটা ব্যতিক্রমী চরিত্র। সর্বদাই তিনি আলোচনায় থেকেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন। আমি কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলতে পারি কংগ্রেসে এলে স্বাগত। উনি লড়াকু, প্রতিবাদী চরিত্র। প্রতিবাদী চরিত্র হিসাবে ভারতে কংগ্রেসের জায়গা আছে।’ ভবিষ্যতের রাজনৈতিক জীবনের জন্য শুভেচ্ছাও জানান অধীর।

এদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘সৎ মানুষদের এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে যারা লড়াই করতে চান, তাদের বিজেপিতে যোগ দেওয়াই স্বাভাবিক।’

অন্যদিকে, এই বিচারপতিকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘তিনি যে একটি রাজনৈতিক বোড়ে এটা বহুদিন আগে বলেছি। এখন তার যাবতীয় পর্যবেক্ষণ ভোঁতা হয়ে গেল।’

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় মমতা সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক উল্লেখযোগ্য রায় দিয়ে আলোচনায় উঠে আসেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

৭৬ বৎসর বয়সের স্কুল শিক্ষিকার দীর্ঘ পঁচিশ বৎসরের বকেয়া বেতন পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কারাগারে প্রেরণসহ শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তকারী সংস্থার অনুসন্ধান চলতে থাকে তার নির্দেশে।

উল্লেখ্য, অবসরের পর ভারতের অনেক বিচারপতিকেই রাজনৈতিক ভূমিকায় দেখা গেছে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে ভারতের সাবেক প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের। অবসরের পর, বিজেপির টিকিটে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন। একইভাবে ২০১৭ সালে অবসরের পর কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি অভয় ত্রিপাঠী। কিন্তু পদ থেকে পদত্যাগ করে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার উদাহরণ খুব বেশি নেই।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার

(ঢাকাটাইমস/০৪মার্চ/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :