কাঠের বাইসাইকেল তৈরি করে আলোচনায় ঝিনাইগাতীর খোকন

কাঠের বাইসাইকেল তৈরি করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার খোকন মিয়া (২৮) নামে এক তরুণ।
তিনি ওই উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা নওকুচি গ্রামের বাসিন্দা।
ইতোমধ্যে ভিন্ন ডিজাইনের তৈরি করা বাইসাইকেলটি দেখতে ভিড় করছেন অনেকে।
খোকন মিয়া জানান, তিনি পেশায় কাঠমিস্ত্রি হলেও তার কারিগরি কোনো জ্ঞান নেই। পড়ালেখা করেছেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। শখ থাকলেও অর্থের অভাবে কিনতে পারেননি বাইসাইকেল। ইচ্ছা ছিল কাঠের বাইসাইকেল তৈরি করার। এরপর মেধা খাঁটিয়ে একমাস পরিশ্রম করে তৈরি করেন কাঠের বাইসাইকেল।
খোকন মিয়া বলেন, বাইসাইকেলের চাকা, প্যাডেল, সিট, হ্যান্ডেলসহ সবকিছুই কাঠের। এতে রয়েছে হাইড্রলিক ব্রেক, ডিজিটাল হেডলাইট ও আধুনিক হর্ন। বিশেষভাবে রং করার পর ভিন্ন রূপ পেয়েছে কাঠের সাইকেলটি। আর এই বাইসাইকেল তৈরি করতে খরচ হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা।
খোকন মিয়া আরও বলেন, বাইসাইকেল তৈরি করার সময় অনেকেই উপহাস করেছে, কটু কথা বলেছে। স্থানীয় অনেকেই বলেছে কাঠ দিয়ে সাইকেল বানানো কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু আমার ইচ্ছা ছিল একটা কাঠের সাইকেল তৈরি করবো। আমার আশা পূরণ হয়েছে।
সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে কাঠের মোটরসাইকেল তৈরি করার ইচ্ছা আছে বলে জানিয়েছেন খোকন মিয়া।
স্থানীয় হাসিবুল মিয়া, বোরহানউদ্দীন এবং আব্দুস সাকুর বলেন, ব্যতিক্রমী এ বাইসাইকেলের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দূরদূরান্ত থেকে অনেকে দেখতে আসছেন সাইকেলটি। কাঠ দিয়ে সাইকেল তৈরি করা সম্ভব এটা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য ছিল। তাই প্রত্যেক দর্শনার্থী ওই সাইকেল পাশে রেখে ছবি তুলছেন, ভিডিও গ্রাফি করছেন আবার কেউ সেলফি তুলে নিজ নিজ ফেসবুক আইডিতে ছবি আপলোড করছেন।
কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, খোকন একটি সাইকেল তৈরি করেছে। যা দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। আমার পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে সহযোগিতা করার জন্য চেষ্টা করবো। সরকার যদি তাকে সাহায্য করে তাহলে এই ছেলেটা আরও কিছু জিনিস আবিষ্কার করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন