সাভারে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা, পুলিশের নির্দেশ অমান্য
সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের দেউল গ্রামে একটি চক্রের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ইট, বালু ও রড সিমেন্ট এনে বিশ্বাস লেক সিটি হাউজিংয়ের জমিতে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণের মাধ্যমে দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিলেও মানছে না ওই চক্রটি।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে চলে যাওয়ার পর ওই চক্রের অর্ধশত লোক রাতভর বাউন্ডারী ওয়াল করার জন্য বেজমেন্ট ঢালাই করেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে বিরুলিয়া ইউনিয়নের দেউল গ্রামে অবস্থিত বিশ্বাস লেক সিটি হাউজিংয়ে এ বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের কাজ করা হয়।
এ ঘটনায় ওই হাউজিং কোম্পানির ম্যানেজার জমসেদ রানা বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে শুক্রবার দুপুরে পুলিশ আবারও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে জমির কাগজ নিয়ে বসার পাশাপাশি জমিতে কাজ করতে নিষেধ করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন-ঢাকার আশুলিয়া থানার রুস্তমপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে মো. আবুল মণ্ডল (৫৩), মৃত হাবিবুর রহমান হবি দফাদারের ছেলে মো. আমির দফাদার (৫২), মো. শরাফত (৫৫), চানগাঁও গ্রামের মৃত জরু মণ্ডলের ছেলে লদু মণ্ডল (৫০), দেউল গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে মিয়াজ উদ্দিন (৪৮) ও কুদ্দুস মিয়াসহ (৬০) অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাভার মডেল থানার বিরুলিয়া ইউনিয়নের দেউল মৌজার আর.এস ৩৭ নং দাগের ৪৮ শতাংশ জমি বিশ্বাস লেক সিটি হাউজিং কোম্পানি ক্রয় করে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলে আছেন। উপরে উল্লিখিত বিবাদীরা ইট, বালু, সিমেন্ট ও লোহার রড নিয়ে বিশ্বাস লেক সিটি হাউজিং কোম্পানির ক্রয় করা জমিতে জোরপূর্বক বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণের চেষ্টা করে। এসময় হাউজিং কোম্পানির ম্যানেজার মো. জমসেদ রানা সন্ত্রাসীদের বাধা দিলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মারধরের চেষ্টা করেন। এছাড়া পরবর্তীতে বাউন্ডারী নির্মাণে বাঁধা প্রধান করলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী জমসেদ রানা বলেন, আমাদের কোম্পানির জায়গা দখলের জন্য এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ইট, বালু এনে জোরপূর্বক পিলার বানানোর চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় জরুরি সেবা নম্বরে কল করে পুলিশ আনার পর তাদের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু পুলিশ চলে জাওয়ার পর তারা আবারও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে রাতের আঁধারে পিলারের বেইজ ঢালাই করে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ করায় তারা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। আমি এখন নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কিত।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দিদারুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়ে উভয় পক্ষকে জমির কাগজ নিয়ে বসে সমস্যা সমাধানের কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/২৩মার্চ/প্রতিনিধি/পিএস)