তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু, চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রি
তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। প্রচণ্ড দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সেই সঙ্গে বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভাপসা গরম। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। সংশ্লিষ্টটাও পরামর্শ দিচ্ছেন বাইরে বের না হওয়ার এবং বেশি পরিমাণে পানি পানের।
শনিবার চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা জেলায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা ৩টায় বাতাসের আদ্রতা ২২ শতাংশ থাকলেও সন্ধ্যা ৬ টায় বাতাসের আদ্রতা বেড়ে হয়েছে ৫২ শতাংশ।
শহীদ হাসান চত্বরের রিকশা চালক করিম আলী বলেন, ‘রোজার মাস চলছে, তার ওপর এমন তাপ একদম সহ্য করা যাচ্ছে না। গরমে সারা শরীর জ্বালা-পোড়া করছে।’
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, গত কয়েকদিন মাঝারি তাপদাহের পর আজ তীব্র তাপদাহ শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আতাউর রহমান মুন্সি বলেন, তাপপ্রবাহ চলাকালে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়া ভালো। এ সময় প্রত্যেককে পানিসহ বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে। চা-কফি এড়িয়ে ফলমূল খেতে হবে। রোজাদারদের ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
আবহাওয়াবিদরা জানান, ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ৪২ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রাকে খুব প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বলা হয়।
(ঢাকাটাইমস/০৬এপ্রিল/টিএ/এসআইএস)