ধামরাইয়ে জমি নিয়ে বিরোধ, দুইজনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা-বাড়িঘর ভাঙচুর

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৫
অ- অ+
আহত মহিদুল

ঢাকার ধামরাইয়ে আধিপত্য বিস্তার ও জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে এক বিধবা মহিলার ওপর হামলা ও তার বাড়িঘর ভাঙচুর এবং দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিউলী আক্তার বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

রবিবার অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেনে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক এসআই মো. সাখাওয়াত হোসেন। এর আগে (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের স্বর্ণখালী গ্রামে শিউলী আক্তারের বাড়িতে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন, মৃত আতাউর রহমানের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান (৩৯), মৃত পন্ডিত আলীর ছেলে মো. মজিবর রহমান ও হাবিবুর রহমান হবি। এছাড়াও হাফিজুর রহমানের স্ত্রী রানু আক্তার সহ আরও কয়েকজন। এদের মধ্যে হাফিজুর রহমান ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ী চালক বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগীরা হলেন, ধামরাই সদর ইউনিয়নের স্বর্নখালী গ্রামের শিউলী আক্তার, মেয়ে আফসানা জান্নাত শ্রাবনী (২১) ও আলিফ জান্নাত (১৬) এবং মো. আরিফুর রহমান (৩৭), মহিদুল ইসলাম (২৬)।

এদের মধ্যে গুরুতর আহত হলেন মো. আরিফুর রহমান ও মহিদুল ইসলাম। আরিফুর রহমানকে ঢাকা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি হয়েছেন।

ভুক্তভোগী শিউলী আক্তার বলেন, ‘১৭ বছর আগে আমার স্বামী মারা যায়। আমি এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে বাড়ীতে থাকি। আমার ছেলেটা চাকরির কারণে বাহিরে থাকে। দুই মেয়ে নিয়ে বাড়িতে থাকি। হাফিজুর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাদের ভয়ভীতি দেখায়। সে বলে বাড়ি ছেড়ে চলে যা, এই বাড়ি নাকি তার। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আমার বাড়ীতে এসে ভাঙচুর করে। আমি বাধাঁ দিতে গেলে হাফিজুর আমাকে মারধর ও গলা ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে আমার দুই মেয়ে এগিয়ে গেলে হাফিজুর, মজিবর ও হাবিবুর রহমান হাবি তাদেরকে মারধর করে। পরে আমাদের ডাক-চিৎকারে আমার ভাসুরের ছেলে আরিফুর রহমান ও মহিদুল এগিয়ে এলে হাফিজুর রহমান দৌড়িয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র এনে আরিফুর রহমানকে ঘাড়ে কোপ দেয়। আরিফ ডান হাত দিয়ে ফেরাতে চেষ্টা করলে তার হাত কেটে যায় এবং মহিদুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে তারা। পরে এলাকার লোকজন আরিফ ও মহিদুলকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার আরিফুর রহমানকে ঢাকা শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘মারধরের একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানি আরিফ ও মহিদুল গুরুতর জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে আরিফুর রহমানকে ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে এবং মহিদুলকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি আমি ওসি স্যারকে জানালে ওসি স্যার দুই পক্ষকে থানায় নিয়ে আসতে বলেন। আমি ওসি স্যারের কথামত দুই পক্ষকে থানায় নিয়ে আসি।’

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনও স্যারকে বিষয়টি জানিয়েছি। ইউএনও স্যার দুই পক্ষকে তার কাছে পাঠিয়ে দিতে বলেছেন। পরে ইউএনও স্যার আইনগত ব্যবস্থা নিতে আমাকে বলেছেন। হাফিজুরদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে ধামরাই উপজেলা পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহানা জেসমিন মুক্তকে অফিসে গিয়ে এবং মোবাইল একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খান মোহাম্মদ আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, ‘আমি দুই পক্ষকে ডেকেছিলাম। তাদের কথা শুনেছি। যেহেতু মারধরের বিষয় আমি ওসি সাহেবকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।’

(ঢাকাটাইমস/০৭এপ্রিল/প্রতিনিধি/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পাবনায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ: মোটরসাইকেল ও অফিস ভাঙচুর, হাসপাতালে ভর্তি ৫
বিএনপি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়: আমিনুল হক 
অভ্যুত্থানের পর সরকারের কর্তব্য ছিল শিক্ষাখাতের সংস্কারে মনোযোগ দেওয়া: সাকি
৫ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে বিএসএফ 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা