ডাকাত সন্দেহে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের পুলিশে দিল জনতা

বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায় ডাকাত সন্দেহে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ১৭ সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।

শনিবার রাত ১২টার দিকে উজিরপুর উপজেলার সাতলা থেকে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার নদীবন্দর বাগধা বাজারের স্থানীয়দের কাছে ফোন আসে দুইটি স্পিড বোটে ১৫-২০ জনের একটি ডাকাত দল বাগধা বাজারের দিকে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয় সবাইকে ডাকাতদলকে প্রতিরোধের আহ্বান জানান। কিছুক্ষণ পর বাগধা বাজারে দুটি স্পিড বোটে আসা ১৭ জনকে স্থানীয়রা জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে তারা জানান ডিবির সদস্য, পরে স্থানীয়রা পরিচয় পত্র দেখতে চাইলে দু-একজন বাদে অন্যরা পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় স্থানীয়দের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। পরে তাদের বাগধা বাজারের একটি দোকানে বসিয়ে রেখে বাগধা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি ও আগৈলঝাড়া পুলিশকে খবর দেন। এ সংবাদ ছড়িয়ে পরলে মুহূর্তের মধ্যে শতশত এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা বাজারে জড়ো হতে থাকেন। পরে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও বিক্ষুব্ধ লোকজনকে সামাল দিতে পারছিল না। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ১৭জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

থানায় নিয়ে যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলম চাঁদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত হোসেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ওই ১৭জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেন।

এ ব্যাপারে বাগধা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি জানান, আটককৃত ১৭জনকে পুলিশ থানায় নিয়ে গেছে। পরে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলম চাঁদ বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন, উপ-পরিদর্শক ইশতিয়াক, আব্দুল মজিদ, সহকারী উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেনসহ ১৭ জনের একটি দল মাদকের অভিযানে বাগধা আসেন। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাঁজা উদ্ধারে আমরা ১৭ সদস্যের একটি টিম আগৈলঝাড়ার বাগধা বাজারে গেলে স্থানীয়রা আমাদের আটক করে। পরে চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে আমাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরে আমাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৭এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)