বিশ্বব্যাপী অশান্ত পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তা: চ্যালেঞ্জ এবং স্বাভাবিক অবস্থায় প্রত্যাবর্তন

ইফরাত জাহান
 | প্রকাশিত : ১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৬

Entrepreneurship In The Global Turbulent Scenario: Challenges and Resilience বইটি নিঃসন্দেহে তরুণ উদ্যোক্তা বা উদ্যোক্তা হতে আগ্রহীদের জন্য একটি সময়োপযোগী দিকনির্দেশক হতে পারে। বর্তমান যুগে যেভাবে শিক্ষিত বেকারত্বের হার বাড়ছে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ কমছে সেখানে গতানুগতিক চাকরির পরিবর্তে নিজ উদ্যোগে উপার্জনক্ষম হওয়া সেইসাথে বহু মানুষের জন্য কাজের সুযোগ বৃদ্ধি করার অন্যতম কার্যকর পন্থা বা উপায় হচ্ছে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে তৈরি ও প্রতিষ্ঠিত করা।

বাংলাদেশে পেশাদার উদ্যোক্তা তৈরির জন্য কোনো পেশাগত কোর্স, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির তেমন কোনো সুযোগ এতদিন ছিল না। Dhaka School of Economics সর্বপ্রথম এই ধরনের কোর্স, প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে যার উদ্যোক্তা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. খলীকুজ্জমান। এ রকম একটি বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ড. খলীকুজ্জমান নিয়েছিলেন বলেই এখন অনেক মেধাবী সম্ভাবনাময় শিক্ষিত তরুণ গোষ্ঠী চাকরির পেছনে না ছুটে পেশাগত জ্ঞান অর্জন করে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের সম্মানজনক পরিচয় তৈরিতে সক্ষম হচ্ছেন, পাশাপাশি অনেক কর্মপ্রত্যাশী মানুষের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে পারছেন।

বইটির সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই শুধুমাত্র উদ্যোক্তাদের কথা চিন্তা করে এরকম একটি পূর্ণাঙ্গ বই প্রকাশ করার জন্য। ড. আলী Dhaka School of Economics (DSCE) এর একজন মেধাবী নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক যিনি DSCE সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে একনিষ্ঠ ও নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি একইসাথে কারিকুলাম সংক্রান্ত কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছেন। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশ, তাদের কাজের প্রতি উৎসাহিতকরণ, নতুন প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়ানো ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, শিক্ষিত বেকার নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা সর্বোপরি উদ্যোক্তা হওয়ার গুরুত্ব ও সেক্ষেত্রে সাফল্যমণ্ডিত পথে হেঁটে যাওয়ার সহজ উপায়গুলো এখানে আলোচিত হয়েছে। করোনার মতো মহামারিকালে কীভাবে সংকট মোকাবিলা করে সফলতা ধরে রাখা যায় তাও এই বইটির আলোচনায় এসেছে। একই বইয়ে দেশের এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের লেখক বা আলোচকদের লেখা প্রকাশ করা একটি দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ, যা এই বইটিতে পাওয়া যায়।

বইটির সকল লেখকের লেখনী সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং উদ্যোক্তাদের জন্য সময়োপযোগী বলা যায়। তবে তার মধ্যে Sardana Islam Khan-Gi Resource Orchestration and Resilient Capabilities through the Stages of Global Crisis: Implications for Entrepreneurs, Dr. Muhammad Mahboob Ali এর ICT Tools, Course Plan, & Lesson Plan for outcome-based education: A case study of XYZ University, Anwara Begum -এর Entrepreneurship Potentials and Policy Imperatives to Overcome Child Labour in Bangladesh, Kunal Sil -এর Challenges of Entrepreneurship in Post-Covid Scenario, K.Vinodha Devi and V.Raju -এর An analysis of Socio-economic Status of educated umployement women প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। সকল আলোচকই এখানে বিশদভাবে তাদের নির্ধারিত বিষয়কে আলোচনায় এনে সকলের নিকট তা সহজবোধ্য করে তুলে ধরেছেন, যা বইটির অন্যতম ইতিবাচক দিক।

সবশেষে Dhaka School of Economics -এর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি আশা করছি। সেইসাথে Entrepreneurship in The Global Turbulent Scenario: Challenges and Resilience বইটির মাধ্যমে আমাদের দেশের সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজ প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহরণ করে নিজেদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে সেইসাথে তারা দেশের অর্থনীতিতে উন্নয়নমূলক অবদান রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং নিজেদেরকে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় সম্পদে পরিণত করবে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

Resource Orchestration and Resilient Capabilities through the Stages of Global Crisis:

Implications for Entrepreneurs

Sardana Islam Khan

সাম্প্রতিক সময়ে এই শতাব্দী মহামারির কারণে অনেক প্রতিশ্রুতিশীল সংস্থার উত্থান-পতনের সাক্ষী হয়েছে। এই সংগ্রামের ফলে কিছু সংস্থা টিকে আছে এবং কিছু সংখ্যক সফল হয়েছে। ভবিষ্যতের সংকটের মধ্যে দিয়ে চলার জন্য এবং টিকে থাকার জন্য সাংগঠনিক স্থিতিশীলতা ও সক্ষমতা জরুরি। এই সক্ষমতা মূলত নির্ভর করে একটি জটিল পরিস্থিতির ওপর যা উদীয়মান বৈশ্বিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি শুরু হওয়ার সময় থেকে চলছে। এই গবেষণাপত্রটি গতিশীল এবং স্থিতিস্থাপক ক্ষমতার মাধ্যমে সম্পদের সুষ্ঠু সমন্বয় করার ক্ষেত্রে, সম্পদের অবদানকে অন্বেষণ করে এবং বৈশ্বিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক বিকাশের ক্ষেত্রে বিশেষত ছোট ব্যবসায়ীরা যেসব সমস্যা/চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকটের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের টিকে থাকার সংগ্রাম, উন্নতি করা এবং পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে। ছোট ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যতে বৈশ্বিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলতা এবং নিজেদের বিকাশের ক্ষেত্রে একটি সমন্বিত তাত্ত্বিক কাঠামের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এই গবেষণাপত্রে বৈশ্বিক আর্থিক মন্দা পরিস্থিতিতে ছোট উদ্যোক্তা/ব্যবসায়ীদের টিকে থাকার এবং নিজেদের পুনরুজ্জীবিত করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পদের সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমেই তা সম্ভব। এখানে ২৫ জন অস্ট্রেলিয়ান ছোট ব্যবসায়ীর অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে। সাংগঠনিক স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রক্রিয়া তথা একটি রোল মডেলের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। এই গবেষণার ফলাফল ভবিষ্যতে ছোট ব্যবসার জন্য স্থিতিস্থাপকতা নকশায়নের ক্ষেত্রে একটি তাত্ত্বিক ভিত্তি প্রদান করে যা অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে প্রমাণিত এবং বিশ্বব্যাপী সংকটের পর্যায়ে সাংগঠনিক পতন রোধ করবে সেইসাথে পরিবর্তন প্রক্রিয়া গুণগত আদর্শের ওপর নির্ভর করবে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন সাংগঠনিক প্রসঙ্গে এই গবেষণা বা যে রোল মডেলের কথা ও অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে তা নিয়ে আরো গবেষণা বা কাজের সুযোগ রয়েছে।

An analysis of the Inclusive civil cultural model of Entrperenruial progress: A case study on the agro-ecological park

Jose G. Vargas-Hernandez, Omar C. Vargas-GonZalez, & Rehana Parvin

এই গবেষণার লক্ষ্য ছিল, জাপোপানের (Zapopan) কৃষি-বাস্তুকর্মসংস্থানের পার্ক (Agro-ecological Park-PAZ) তৈরি এবং তা বিকশিত করার ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা অন্তর্ভুক্তিমূলক নাগরিক সংস্কৃতির মডেল বিশ্লেষণ করা। আশপাশের উপনিবেশ, সামাজিক আন্দোলন, সুশীল সমাজ এবং স্থানীয় সরকারের অধীনে বসবাসকারী বাসিন্দাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে শহরের ব্যবহারযোগ্য খালি ভূমি উদ্ধারের প্রয়োজনের ভিত্তিতে PAZ-কে সবুজ পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রের পদক্ষেপগুলো নকশা করে তার বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সহযোগিতা, আস্থা এবং সম্প্রদায়ের সহায়তামূলক সম্পর্কের অধীনে শাক-সবজি, ঔষধি গাছের চাষ এবং সামাজিক পুঁজি গঠন যা পরিবেশগত টেকসই তা কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে শান্তিপূর্ণ সংস্কৃতি বজায় রাখে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলাফল, সামাজিক এবং ক্ষমতা কাঠামোর নিচ থেকে জন্ম নেওয়া পাবলিক স্পেস এবং সবুজ অঞ্চলগুলোর পুনর্জন্মের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা গঠন করে যা পারিবারিক আয়ের ক্ষেত্রে বৃহত্তর অর্থনৈতিক দক্ষতা প্রদান করে সেইসাথে সামাজিক ন্যায্যতা, ন্যায়বিচার এবং পরিবেশগত উন্নতির স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।

গবেষণাটি এমন নির্ধারক কারণগুলোকে বিশ্লেষণ করে যা সফলভাবে একটি উদ্যোক্তা অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতি তৈরি এবং বিকাশে অবদান রেখেছে যা একটি শহুরে স্থানের কৃষি-বাস্তুবিদ্যা এবং সবুজ অনুশীলনের ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায়ের সামাজিক রূপান্তর ঘটায়। Zapopan Agro-ecological Park-PAZ সাম্প্রদায়িক এবং সাংগঠনিক মিথস্ক্রিয়া চক্রের সাথে সম্পর্কিত মধ্যবর্তী স্তরে পরিবর্তনগুলো সামাজিক শিক্ষা, মূল্যবোধ, সম্প্রদায়ের উপলব্ধি অনুভূতি এবং অন্তর্র্ভুক্তি, উদ্যোক্তাদের মূল্য, উদ্যোক্তা অন্তর্ভুক্তিমূলক নাগরিক সংস্কৃতি তৈরি এবং বিকাশের জন্য আইন চালু করা হয়ছে। এসবই সম্ভব হয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদ, আর্থিক, মানবিক এবং সাংস্কৃতিক পুঁজিতে প্রবেশের কারণে এবং প্রধান ব্যক্তি এবং অংশীজনদের অবদানের মাধ্যমে। তাদের ব্যক্তিগত মানোভাব, ব্যক্তিগত বিষয়গত নিয়ম, ব্যক্তিগত আচরণের সাথে জড়িত বিষয়াদির কারণে। সামাজিক নিয়ন্ত্রণ, স্ব-কার্যকারিতা, সামাজিক-মানসিক শক্তি, সম্পৃক্ততা, ব্যস্ততা এবং প্রতিশ্রুতিও এর সাথে সম্পৃক্ত।

Bloom’s Taxonomy: A Critical Analysis and Contemporary Perspectives

Parul Khanna

এখানে সাহিত্য পর্যালোচনার লক্ষ্য ছিল, Bloom -এর শ্রেণিবিন্যাসের একটি বিস্তৃত বিশ্লেষণ প্রদান করা, যা শিক্ষার উদ্দেশ্য এবং জ্ঞানের দক্ষতার শ্রেণিবিভাগের জন্য ব্যাপকভাবে স্বীকৃত একটি কাঠামো। ১৯৫৬ সালে Benjamin S. Bloom এবং তার সহকর্মীদের দ্বারা বিকাশিত, Bloom -এর শ্রেণিবিন্যাস শিক্ষার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা এবং নকশা প্রণয়নকারীদের জন্য একটি ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে কাজ করেছে এবং শিক্ষণের ফলাফল মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও এটি বিশেষভাবে উপযোগী। এই পর্যালোচনাটি শিক্ষার বিভিন্ন বিন্যাসজুড়ে Bloom -এর শ্রেণিবিন্যাস সংক্রান্ত ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, কাঠামো এবং এর প্রয়োগ প্রক্রিয়া পরীক্ষা করে থাকে। উপরন্তু এটি ২১ শতকের শিক্ষার ক্রমবর্ধমান চাহিদাগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য শ্রেণিবিন্যাসটির সমালোচনা, পরিবর্তন এবং সমসাময়িক অভিযোজনগুলো অন্বেষণ করে বিস্তৃত বিশ্লেষণের মাধ্যমে। পাণ্ডিত্যপূর্ণ কাজগুলোর ক্ষেত্রে এই পর্যালোচনাটি মূল অন্তর্দৃষ্টিগুলোকে সংশ্লেষিত করে, উদীয়মান প্রবণতাগুলোকে চিহ্নিত এবং শিক্ষাগত শ্রেণিকরণের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের গবেষণার ক্ষেত্রগুলোকেও সকলের দৃষ্টিগোচর করে থাকে।

সংক্ষেপে বলা যায় যে, রুব্রিকগুলো (rubricks) কার্যকরভাবে Bloom -এর শ্রেণিকরণের সাথে সারিবদ্ধ করতে পারে এমন সুস্পষ্ট ধারণা প্রদান করে, বিভিন্ন স্তরে বোঝার সক্ষমতার মূল্যায়ন করে, উচ্চস্তরের চিন্তাভাবনা পরিমাপ করে, বিভিন্ন বিষয়ে উৎসর্গতা, প্রতিক্রিয়া, স্ব-মূল্যায়নের প্রচার করে এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাগুলোকে পৃথক করে থাকে। মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় রুব্রিকগুলোকে কার্যকরভাবে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে Bloom -এর শ্রেণিবিন্যাস দ্বারা সংজ্ঞায়িত উপার্জিত জ্ঞানের রাজ্যজুড়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে থাকে।

Bangladesh’s Vision 2021: Lessons for a turbulent time

Moazzem Hossain

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমপি এবং তার প্রথম সরকার (১৯৯৬-২০০১) দেশে-বিদেশে জাতির ভাবমূর্তি পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। এই পাঁচ বছর মেয়াদকাল বাংলাদেশের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ সময়, তার সরকারের উন্নয়ন সংক্রান্ত এজেন্ডা অনুযায়ী এবং ২০২১ সালের জন্য বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি যা ভিশন ২০২১ সামে পরিচিত। ২০২১ রূপকল্পটি জাতির পিতার স্বপ্নের মধ্যে নিহিত, আশাবাদ দ্বারা অনুপ্রাণিত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।

ভিশন ২০২১ নিম্নলিখিত বিষয়/সমস্যাগুলো উল্লিখিত যার রূপরেখা শেখ হাসিনা ২০২০ সালে করেছিলেন:

  • স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে কি বাংলাদেশিরা ২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত হবে?
  • ২০২১ সালের মধ্যে কি বাংলাদেশিরা মধ্যম স্তরের শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে?
  • ২০২১ সালেও কি বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকবে?

প্রথমেই চিন্তায় অবতারণা হয় বা যে প্রসঙ্গ আসে তা হলো ভবিষ্যতে সমস্যা তৈরি হতে পারে এমন ক্ষেত্রগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে। যেমন:

  • গ্রামীণ কর্মপ্রচেষ্টা বা উদ্যোগের টেকসই উন্নয়ন; উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকা এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ব্যাপারে অধিক যত্নশীল হওয়া।
  • সরকারি খাত থেকে বিশাল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য অতিরিক্ত সম্পদ নিশ্চিতকরণ।

দ্বিতীয়ত, গ্রামীণ কর্মপ্রচেষ্টার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নের জন্য ভবিষ্যতের নীতি সংস্কারে বিনিয়োগ:

  • উৎপাদনশীল কৃষি, গ্রামীণ শিল্প এবং ক্ষুদ্র ব্যবসার প্রবর্তন;
  • জনস্বাস্থ্য এবং স্যানিটেশন;
  • গ্রাম থেকে শহরে মানুষের স্থানান্তর এবং চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ না করা;
  • প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ এবং সকল প্রকার দারিদ্র্যের দ্রুত বিমোচন;
  • প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে টেকসই গতি বজায় রাখা;

অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে এসব অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের সমৃদ্ধির সংজ্ঞা অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত থেকে এগিয়ে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে। মইয়ের পরবর্তী ধাপ হলো, ২০৪১ সালের মধ্যে OECD (Organisation for Economic Cooperation and Development) দেশগুলোতে যোগদান করা (PPP -এর শর্তানুযায়ী ইউএসডি ৪০,০০০ মাথাপিছু আয়) এবং এটি প্রতীয়মান হয় যে, বর্তমান উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে দেশটি বর্তমান প্রবৃদ্ধির গতিপথ বজায় রাখতে পারলে তা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।

ICT tools, Course Plan, & Lesson Plan for outcome-based education: A case study of XYZ University

Muhammad Mahboob Ali

শিক্ষার উৎকর্ষ শিক্ষার্থীকে ফলাফলভিত্তিক শিক্ষার (Outcome based education-OBE) মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (Information and Communication Technologies) দ্বারা এটি সহজতর করা যেতে পারে, জ্ঞান অর্জনের পদ্ধতি যা অবশ্যই পাঠ্যক্রম এবং পাঠ পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। অধ্যয়ন গুণগত প্রকৃতির বিষয়বস্তু। এই গবেষণায় XYZ শিরোনামের একটি অনুমানভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বিবেচনা করা হয়েছে যা আয়ভিত্তিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে ইচ্ছুক। OBE-এর প্রধানগণ এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা পদ্ধতি প্রণয়ন করতে চায় যা পুরোনো শৈলী শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ভিন্ন এবং এটি হবে আয়মূলক শিক্ষার প্রবর্তক। OBE পদ্ধতিতে শিক্ষাবিদ দ্বারা শিক্ষার্থীদের পুরোনো শিক্ষামূলক শৈলী দিয়ে পুরো সম্প্রদায়ের সেবা করার পরিবর্তে একটি উন্নত সংস্করণে অনুশীলনের প্রতি জোর দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নের ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে যা প্রকৃতপক্ষে তথাকথিত ছাত্রদের জন্য বেকারত্বের সৃষ্টি করছে। শিক্ষাব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ খাত এবং পেশা বাজারের মধ্যে বিশাল ব্যবধান লক্ষ্য করা যায়। শিক্ষাজীবনে প্রাপ্ত জ্ঞানকে কর্মজীবনে যেন সফলভাবে প্রয়োগ করা যায় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া না হলে দেশে শিক্ষিত বেকার বৃদ্ধি ছাড়া আর কিছুই হবে না।

এই গবেষণাটি মূলত গুণগত মানের। এই গবেষণায় গবেষকরা ICT (Information and Communication Technologies) সরঞ্জামাদি, কোর্স পরিকল্পনা এবং পাঠ পরিকল্পনার মাধ্যমে জানার চেষ্টা করেছে যে, ফলাফলভিত্তিক শিক্ষা (Outcome based education-OBE) কতটুকু কার্যকরী ও দক্ষতার সাথে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তুলতে পারে। এই গবেষণার সময়কাল ছিল ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩-৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত। গবেষণায় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে সহজে প্রবেশ এবং প্রাপ্ত জ্ঞানকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় তা দেখা হয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য XYZ নামক একটি অনুমানভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিন্তা করা হয়েছে। বাস্তবে এই ধরনের বিশ^বিদ্যালয় চালু করা সম্ভব হলে আশা করা যায় যে, ভবিষ্যতে কর্মউদ্যমী শিক্ষিত সমাজ গঠন করা যাবে যারা উন্নত সমাজ তথা রাষ্ট্র গঠনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Entrepreneurship Potentials and Policy Imperatives to Overcome Child Labour in Bangladesh

Anwara Begum

MICS (UNICEF:200) প্রদত্ত প্রমাণসাপেক্ষে দেখা যায় যে, জাতীয়ভাবে শিশুশ্রমের প্রার্দুভাব ১২.৮ শতাংশ, তার মধ্যে ৭.৫ শতাংশ শিশু পারিবারিক কাজ/ব্যবসার কাজে যুক্ত রয়েছে। শিশুশ্রম বলতে বুঝায়, ১৫ বছরের কম বয়সি একজন ব্যক্তির দ্বারা কোনো কাজ করা বা এ বয়সি কারো শ্রমে/কাজে নিযুক্ত থাকা এবং যখন ৫-১৪ বছর বয়সি একটি শিশু প্রতি সপ্তাহে ১৪-৪৩ ঘণ্টাা, মজুরিহীন এবং অবৈতনিক কাজ করে, তখন তাকে বিপজ্জনক শিশুশ্রম বলে। গড়ে দৈনিক ৫ শতাংশ শিশু ১৩-১৪ ঘণ্টা কাজ করে, যেখানে গৃহকর্ম সীমাহীন পর্যায়ে থাকে। অনেক শিশু তেল, সাবান, তোয়ালে, চিরুনি, কাপড়ের কারখানায় কাজ করে থাকে। ছেলেরা প্রায়ই মুদি দোকান, ড্রেন পরিষ্কার, রাস্তার পাশের আবর্জনা পরিষ্কার এবং গাড়ি ধোয়ার কাজ করে থাকে।

শিশুরা গার্মেন্টসে দৃশ্যমান নাও হতে পারে কিন্তু গার্মেন্টসে কর্মসংস্থান আউটসোর্সের মাধ্যমে হতে পারে এবং শিশুদের এর সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট নয়। হারকিন বিল-এর পরবর্তীতে শিশুশ্রমিকদের আনুষ্ঠানিক শিল্প-কারখানা থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে যদিও কম নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা সম্বলিত অনানুষ্ঠানিক ইউনিটগুলোর প্রতি আকর্ষিত করা হয়েছে। এটি মূলত এই শিশুদের এবং তাদের পরিবারের বেঁচে থাকার প্রশ্ন এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত সমস্যাগুলো বৈশ্বিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে সমাধান করা উচিত যা দেশগুলোর সামষ্টিক-অর্থনৈতিক পরিকল্পনা এবং কর্মসূচির ওপর প্রভাব ফেলে। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সময়কালে শিশুশ্রমিকের বৈশ্বিক সংখ্যা ২২২ মিলিয়ন থেকে ২১৫ মিলিয়নে বা ৩ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং ২০২০-২১ সালের এই হ্রাসের গতি বৈশ্বিক গতিকে প্রতিনিধিত্ব করে। এই বিষয়ে SDG-কে দুঃখজনকভাবে অফ ট্র্যাকে রয়েছে বলে মনে হয়। শিশুশ্রম জনসংখ্যাগত লভ্যাংশের ক্ষেত্রে একটি সমস্যা এবং এটি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, কারণ বিপুলসংখ্যক শিশু বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক কার্যকলাপে নিয়োজিত রয়েছে যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। একটি শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য বিস্তৃত কর্মঘণ্টা অপরিহার্য এবং এর ব্যত্যয় শিশুর নিরাপত্তার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, শারীরিক বা মানসিক এবং নৈতিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটায়। এটি শিশু অধিকার লঙ্ঘন করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত থাকার কারণে বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতায় তারা ভুগে। উদাহরণস্বরূপ তাদের কথা বলা যায়, যারা ভারী বা বিপজ্জনক সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে বা অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ, মোটর গ্যারেজ এবং বর্জ্য সংগ্রহ ইত্যাদি কাজের সাথে যুক্ত রয়েছে।

নীতি-পরিকল্পনার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উদ্যোক্তা গড়ে তোলা সম্ভব। এ শ্রেণির জন্য এখনো এ ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। পথে-ঘাটে বসবাসকারী শিশুরা খুবই শোচনীয় অবস্থায় জীবনযাপন করে এবং বিভিন্ন বিপজ্জনক কাজে লিপ্ত হয়। চরম দারিদ্র্য এবং অসুস্থতার কারণে তাদের স্বাস্থ্যহানি ঘটে। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে এ ধরনের শিশুদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি এনজিওরা এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। সরকার এ ব্যাপারে যদি যথাযথ নীতি প্রণয়ন করে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রমিকদের লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, তাহলে তারা সমাজের তথা রাষ্ট্রীয় সম্পদে পরিণত হবে। তবে উদ্যোক্তা হওয়ার কিছু সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেমন:

সুবিধাসমূহ:

১. সম্মানজনক উপায়ে উপার্জনক্ষম হওয়া যায়;

২. অল্প সময়ের মধ্যে স্বাবলম্বী হওয়ার সঠিক পন্থা;

৩. বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখা যায়;

৪. চাকরির বাজারের ওপর অহেতুক চাপ কমে;

৫. ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম লোপ পায়;

৬. সর্বোপরি আর্থিক প্রবৃদ্ধি বাড়ে;

৭. প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি হয়;

৮. স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে;

৯. সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটার অন্যতম মাধ্যম;

১০. বেকারত্ব কমে;

অসুবিধাসমূহ:

১. যারা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পায় না তারা টিকে থাকতে পারে না;

২. অনেক সময় ব্যাংক লোনপ্রাপ্তিতে জটিলতা তৈরি হয় বিশেষ করে ছোট উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে;

৩. নগদ অর্থাভাবে অনেক সময় ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়;

৪. প্রতিযোগিতার বাজারে খাপ খাওয়াতে না পারলে অনেক সময় মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হয় উদ্যোক্তারা;

৫. অপরিকল্পিত দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়;

উল্লিখিত অসুবিধা বা ঝুঁকি থাকার পরেও উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধাসমূহই বেশি। তাই এ সংক্রান্ত সরকারি নীতি প্রণয়ন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মাধ্যমে তার যথাযথ বাস্তবায়ন করে শিশুদেরকে ঝুঁকিপূর্ণ শারীরিক পরিশ্রম থেকে সরিয়ে এনে তাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা-প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা করে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, এনজিওকেও এ উদ্যোগের সহযাত্রী হতে হবে। ইতোমধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছে তাদের সাথে সরকার যৌথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলসমূহে এ সংক্রান্ত প্রচারণা চালাতে হবে বিভিন্ন পথনাটক বা গণমাধ্যমের সাহায্যে। সরকারসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এ ধরনের কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করে শিশুদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হলে তারা দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির চাকাকে এগিয়ে নিতে যেমন সাহায্য করবে তেমনি স্বাস্থ্যঝুঁকির হাত থেকেও রক্ষা পাবে। পাশাপাশি নিজের ও পরিবারের আর্থিক সংকট দূর করার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।

যেসব শিশু জন্ম থেকে অসমতা বা বৈষম্যের শিকার তাদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হলে শিশুশ্রম দূরীকরণসহ তাদের জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের জন্য উন্নত এবং সম্মানজনক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব।

An Adaptation of Grocery in the Digital Economy: A case study in Thailand

Srisuda Namraksa, Tanpat Kraiwanit, Pongsakorn Limna

মুদি দোকান এখন কেনাকাটা করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। যেখানে গ্রাহকরা তাদের পছন্দের যেকোনো জিনিস যেমন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদি, ফুল, তাজা কফি, কফির কাপসহ সবকিছু ক্রয় করতে পারে। এই গবেষণার লক্ষ্য হচ্ছে, ডিজিটাল অর্থনীতিতে মুদি দোকানের অভিযোজন ব্যাখ্যা করা। এখানে একটি গুণগত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল। উদ্দেশ্যমূলক নমুনায়নের মাধ্যমে দশজন মূল তথ্যদাতার গভীরভাবে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছিল। বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ এবং তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য NVivo ব্যবহার করা হয়েছিল। অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানা যায় যে, গ্রাহক ভিত্তিতে চাহিদা পরিবর্তন হওয়ার কারণে দোকানগুলো তাদের ত্বরিত রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলেছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতাদের জন্য মুদি পসরা বা সামগ্রী ক্রয়ের অভ্যাসগুলো কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং শেয়ার বাড়ানোর জন্য বাজার কীভাবে বিকশিত হচ্ছে তা প্রথমে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। তদুপরি প্রযুক্তি মুদি দোকানের গতানুগতিক ক্রিয়াকলাপের প্রবাহকে বিদায় জানিয়ে একটি আধুনিক ইন- স্টোর পরিবেশ প্রদান করে সঠিকভবে খরচ পরিচালনার ব্যবস্থা করতে পারে। ফলাফলে খুচরা পাইকারি বিক্রেতাদের পরিষেবা উন্নত করতে পারে প্রযুক্তি যার ফলে তারা ডিজিটাল যুগে গ্রাহকদের আচরণ চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে। ভবিষ্যতে ব্যবসার মালিক কর্ণধারদের কর্মক্ষমতা বাড়বে এবং তারা গ্রাহক সন্তুষ্টি বিধানে সক্ষম হবে। যার ফলে মুদি বা ছোট ব্যবসায়ীরা উচ্চ ব্যবসায়িক কর্মক্ষমতা অর্জনে সক্ষম হবে।

গত এক দশকে থাইল্যান্ডসহ সারা বিশ্বে খুচরা শিল্পক্ষেত্রে নাটকীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। বাজারের পরিসর বৃদ্ধি, ব্র্যান্ডের প্রতি ক্রেতাদের আকৃষ্টতা ইত্যাদির পাশাপাশি খুচরা বিক্রেতাদের প্রথমেই উপলব্ধি করতে হবে কীভাবে গ্রাহকদের মুদিসামগ্রী ক্রয়ের অভ্যাস পরিবর্তিত এবং বিকশিত হচ্ছে। ভোক্তারা এখন বাসায় বসে মুদিসামগ্রী বা বাজার পেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। মুদি দোকানগুলো যদি সুপারশপ বা ইন-স্টোরের মতো পণ্যসামগ্রীতে বারকোডের দিয়ে লেবেল করে তাহলে কর্মীদের পক্ষে তা সহজেই দক্ষতার সাথে যন্ত্রের সাহায্যে যাচাই করে গ্রাহকদের বিল প্রদান করা সম্ভব হবে তথা গ্রাহকসেবা উন্নত-আধুনিক করা যাবে তা সময় সাশ্রয়ী হবে। এর ফলে ব্যবসায়ে গতি আসবে এবং ব্যবসায়ীরা আধুনিক উপায়ে সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে।

Post-Implementation Analysis of Chittagong Strategic Road Corridor Maintenance and Improvement Project in Bangladesh

Dipti Ranjan Mohapatra

প্রাক-সম্ভাব্যতা প্রতিবেদনে চট্টগ্রামের কৌশলগত সড়ক করিডোর রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থনৈতিক সুবিধা গণনা করা হয়েছে এবং তিনটি করিডোরের উন্নয়ন প্রকল্পের করিডোর উন্নয়ন উপাদান (Corridor Improvement Components-CIC) সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হয়েছে। ৩২.৯১, ১৬.৯২, ১২.২২ হিসেবে তিনটি করিডোর উন্নয়ন উপাদান এবং দুটি সড়ক উন্নয়ন উপাদান ২৯.৮০, ২৬.৯৫ হিসেবে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক প্রত্যাবর্তনের পরবর্তী হারকে সম্মিলিতভাবে CIC গণনা করেছে ১৭.১০% এবং সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ উপাদান (Road maintenance component-RMC) ১৭.৪০%। Chittagong Project Access Road (CPAR) রিটার্নের আর্থিক অভ্যন্তরীণ হার-২.৪৭% হিসেবে গণনা করেছে। এখানে প্রকল্পের সফলতার তুলনায় কম রেট নির্ধারণ করেছে। প্রকল্পটিতে প্রাসঙ্গিক, কার্যকরের চাইতে কম, দক্ষ এবং সম্ভাব্য টেকসই হওয়ার চাইতে কম রেট নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। প্রকল্পের উদ্দেশ্য এবং নকশা বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন কৌশল এবং ADB -এর আওতাভুক্ত দেশসমূহের উন্নয়ন কৌশলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এতে শক্তিশালী অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য নিরসনের উপাদান ছিল। প্রকল্পের নকশা অবকাঠমো নির্মাণের বিভিন্ন সময়সীমাকে পর্যাপ্তভাবে প্রতিফলিত করেনি যা নতুন প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা বিকাশের সাথে সম্পর্কিত ছিল। বেসলাইন তথ্য-উপাত্তের অনুপস্থিতির কারণে এ প্রকল্পের সঠিক কার্যকারিতা বা সুবিধাভোগীরা কতটুকু সুবিধাপ্রাপ্ত হতে পারত এ বিষয়গুলো মূল্যায়ন করা কঠিন। সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পটি অত্যন্ত কার্যকর ও প্রয়োজনীয় বিষয়। বিলম্বিত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া প্রকল্পের দক্ষতাকে হ্রাস করেছে। প্রকল্পটি ব্যবহারযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা কম। প্রকল্পের স্থায়িত্ব পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ, অনুশীলন এবং অর্থায়নের ওপর নির্ভর করে।

Entrepreneurial Orientation for Sustainable Business

K.S. Gupta

এই গবেষণাপত্রের উদ্দেশ্য ছিল উদ্যোক্তাদের মনের বিকাশে যেসব বাধা প্রভাব বিস্তার করে থাকে তা তুলে ধরা। অধিকাংশ সময় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা তাদের মনের ওপর যেসব বিষয় নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে, সে সম্পর্কে অবগত নয়। মন পরিবর্তনের প্রথম ধাপ হচ্ছে সচেতনতা সৃষ্টি।

ইউনিলিভারের ‘উন্নত নেতৃত্ব, উন্নত বিশ্ব’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের বৈশ্বিক লক্ষ্যানুযায়ী, একটি টেকসই ব্যবসা সফলভাবে বৃদ্ধির জন্য নেতৃত্বের প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা অধিক টেকসই করার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পরামর্শসমূহ প্রযোজ্য:

১. প্রয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া;

২. সামাজিক বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা বা পুনঃপ্রতিষ্ঠা;

৩. স্থায়িত্বকে মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা;

৪. গবেষণা করা;

৫. নতুনত্ব আনা;

৬. নেতৃত্ব অন্তর্ভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে বিচিত্রতা রক্ষা;

৭. দীর্ঘমেয়াদি ও সামগ্রিক দৃষ্টি প্রণয়ন;

৮. দায়বদ্ধতা ও ক্রমাগত উন্নতির প্রচেষ্টা;

৯. সহযোগী হিসেবে প্রতিযোগীতাকে বরণ করা;

উদ্যোক্তা এবং ব্যবসার টেকসইতা নির্ভর করে উদ্যোক্তার মানসিক অবস্থার ওপর। সুতরাং এখানে উপস্থাপিত মডেলটি টেকসই উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তাদের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে ভবিষ্যতে গবেষণার জন্য উপযোগী হতে পারে। এই অর্থে এই কাঠামোটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তাদের জন্য উপযুক্ত হতে পারে বিশেষ করে যারা স্থানীয়ভাবে একটি টেকসই উপায়ে কাজ করার সম্ভাবনাকে পরিকল্পনা হিসেবে গ্রহণ করে। এছাড়াও অন্যান্য অংশীজনেরাও এর সাথে জড়িত হতে পারে।

Business in a world of uncertainty: Problems and Persistence

Pranjal Kumar Phukan

বর্তমানে পরিবেশ, প্রযুক্তি, অর্থনীতি এবং সংস্কৃতি সকল কিছুতেই তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ক্রমাগত দক্ষতার উন্নতির ওপর ভিত্তি করে বিশ্ব এখন আর সবকিছু ভোগ বা উন্নয়ন করা সম্ভব হয় না। সমস্যা হচ্ছে ‘ব্যবসা গতানুগতিক বা স্বাভাবিক’ থাকবে কতদিন এ অনিশ্চিত বিষয়টি এখন আর গ্রহণযোগ্য নয়। সাম্প্রতিক সময়ে উন্নয়ন এবং তাতে ক্রমবর্ধমান গতি থাকা সত্ত্বেও বিশ্বজুড়ে সরকার এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলো ব্যবসার উন্নতির ধারাকে বাস্তবায়নে বা ধরে রাখতে অক্ষম হয়েছে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন রূপান্তরমূলক পরিবর্তন। এমনকি এই পরবর্তন যদি গ্রহের প্রাকৃতিক সম্পদকে হ্রাসস করে এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রকে দীর্ঘমেয়াদি হুমকির মুখে ফেলে তথাপি প্রভাব বিস্তারকারী প্রতিক্রিয়াগুলো স্বল্পমেয়াদি আর্থিক ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যকে অগ্রাধিকার দেয় এবং অগ্রগতির অনুঘটক হিসেবে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখে। এটি সত্যি যে, এই সমস্ত বিষয়াবলি এখন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে রয়েছে, পাশাপাশি ব্যবসায়ী নেতারা তাদের সফলতার ব্যাপারে সচেতন এবং তারা জানে যে, তাদের সাফল্য জনগণের সুস্থতা, স্থিতিস্থাপক সমাজ, উৎপাদনশীল প্রাকৃতিক ব্যবস্থা এবং একটি স্থিতিশীল জলবায়ু থাকার ওপর নির্ভর করে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রাথমিকভাবে জীবাশ্ম ব্যবহারের মাধ্যমে আগামী বছরগুলোতে শিল্পক্ষেত্রে তা কাজে লাগানো উচিত। পরিবহন খাত, বিদ্যুৎ এবং তাপ উৎপাদন ব্যবসার ওপর প্রভাব বিস্তার করবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০% এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ৮০% হার হ্রাস রোধের লক্ষ্যসমূহ অর্জন করার জন্য নবায়নযোগ্য শক্তির দ্রুত অভিযোজন, বিদ্যুতায়ন ও শিল্প প্রক্রিয়া এবং শক্তি-সম্পদের ডিকার্বনাইজেশন সেইসাথে নিবিড় অর্থনৈতিক খাতও প্রয়োজন।

বিজ্ঞান দ্ব্যর্থহীন এবং এর ইতিবাচক অর্থনীতিতে রূপান্তরের বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনীতি ও কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য হ্্রাস করার জন্য বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়নসহ রূপান্তরিত পরিবর্তনকে উন্নীত করার ক্ষেত্রে সরকারের বরাদ্দকে একত্রিত করার সুযোগকে কাজে লাগানো যায়। ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের পক্ষে দেশকে প্রকৃতিবান্ধব রাষ্ট্রের দিকে পরিচালিত করার সুযোগ রয়েছে। যে ব্যবসাগুলো এই সময়ের অন্বেষণ, পরীক্ষা, সহযোগিতা এবং অবশেষে পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময়ের সদ্ব্যবহার করতে পারে সেগুলোই মূলত প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকবে।

Challenges of Entrepreneurship in Post-Covid Scenario

Kunal Sil

কোভিড-১৯ সমাজকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে এবং বিশ^ব্যাপী ব্যবসায়িক চর্চাকে পরিবর্তিত করেছে। নতুন ব্যবসায়িক কৌশল প্রয়োজন, যা বিশ^বাজারে প্রতিযোগিতা করার জন্য কর্পোরেট চিন্তার ওপর নির্ভর করে। করোনাভাইরাসের কারণে উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। লক্ষ লক্ষ উদ্যোক্তা কোভিড-১৯ এর কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। অনেক উদ্যোক্তার ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে, বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায় তাদের টিকে থাকার জন্য অনেক লড়াই করতে হয়েছে। অনেক দেশে লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কারণে বিভিন্ন জিনিসের চাহিদা হ্্রাস পেয়েছে। এটি উৎপাদন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে প্রভাবিত করেছে কঠিনভাবে।

তবে উদ্যোক্তারা মহামারির এই পরিস্থিতিকেও চাইলে কাজে লাগিয়ে সুযোগে রূপান্তরিত করতে পারেন। ছোট-বড় সকল উদ্যোক্তাকে অবশ্যই তার দক্ষতা এবং সক্ষমতাকে ব্যবহার করে বর্তমান ব্যবসাকে পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হতে হবে। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উচিত মহামারিকালে নতুন যেসব প্রয়োজন সৃষ্টি হচ্ছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে সেই প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য জিনিসের ব্যবসা শুরু করা। যেমন: ফেস মাস্ক, শিল্ড, অনলাইনে খাদ্য পরিষেবা ইত্যাদি। এভাবে সংকটকালও একটি অভাবনীয় সুযোগে রূপান্তরিত হতে পারে। মহামারি পরিস্থিতিও উদ্যোক্তা বা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নতুন ব্যবসা শুরু করার দিকে ধাবিত করতে পারে।

Entrepreneurial opportunities by way of green funding in Rural areas in Bangladesh

K. S. Kadu & Shyam Shukla

সবুজ শব্দটি বর্তমান সময়ে একটি গুঞ্জনে পরিণত হয়েছে। একুশ শতকে সবুজকে কেন্দ্র করে তহবিল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এটি ব্যবসার ক্ষেত্রে আর্থিক বিষয়টি প্রতিনিধিত্ব করে যা পরিবেশ ও সামাজিক দিক দিয়ে উত্তম হিসেবে বিবেচিত হয়। সবুজ তহবিল তৈরি হতে পারে সমতার ভিত্তিতে কোনো ব্যাংকঋণ, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত অনুদান থেকে। সবুজ তহবিল দিয়ে ব্যবসা গড়ে তোলার অর্থ হচ্ছে, এই ব্যবসার মাধ্যমে পৃথিবী রক্ষা এবং এর বাসিন্দাদের সামাজিকভাবে সচেতন করা।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর এখানে ব্যবসার প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এখানে পর্যটন ব্যবসাকে প্রসারিত করা সম্ভব। বিপন্ন রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর বিশাল পরিসর রয়েছে সুন্দরবনে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকা। এছাড়া মসলিন, রেশমসহ বিভিন্ন পণ্যের বাণিজ্যকে পুনরুজ্জীবিত করা যেতে পারে। বিলুপ্ত পণ্যগুলোর ওপর প্রয়োজনীয় গবেষণার মাধ্যমে কেন তা হারিয়ে যাচ্ছে এবং কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় তা জানা সম্ভব।

বাংলাদেশের বিশাল এলাকাজুড়ে গ্রাম রয়েছে। গ্রামীণ এলাকার অধিকাংশ জনগোষ্ঠী কৃষিকাজ এবং ক্ষেত-খামারের কাজে সম্পৃক্ত। উপযুক্ত কর্মসংস্থানের অভাবে গ্রামে বেকারত্ব লক্ষ্য করা যায়। গ্রামের বিপুল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা বিভিন্ন শিল্প-প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারে এবং নিজেদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারে। কৃষি পর্যটনের ধারণা ভবিষ্যতে গ্রামের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

সবুজ বিনিয়োগ প্রকল্প সেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে যা পরিবেশবান্ধব এবং অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর। যার ফলে আমাদের পরিবেশ পরিষ্কার ও সবুজ রাখা সম্ভব হবে। নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলোতে সবুজ বিনিয়োগ সম্ভব হতে পারে:

১. সৌরশক্তি;

২. বায়ুশক্তি;

৩. বৃক্ষরোপণ;

৪. সবুজ ও পরিবেশবান্ধব হাইওয়ে;

৫. জৈব চাষ;

৬. পরিবেশগত পরিমাপ;

৭. সবুজ সংক্রান্ত সমস্যা ও গবেষণা;

৮. সবুজ সম্পর্কিত কাজসমূহ;

পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজের ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য এক্ষেত্রে ক্রমাগত বিনিয়োগ জরুরি। পরিবেশ সুরক্ষার মহৎ উদ্দেশ্যের জন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে অন্যথায় অনাকাক্সিক্ষত পরিণতির মুখোমুখি হওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে। তাই সকলকে এ বিষয়ে সচেতনতার পাশাপাশি সবুজায়নের ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। এর ফলে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সোনালি অধ্যায় রচনা করে যেতে পারব।

                                                    
A Study on the Role of Biometric Technology in Relation to University Teachers with Special Reference to Pune City
                                                    
Saroj Hiremath & S.B. Thorat

বায়োমেট্রিক পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসনে ও কাস্টমস, শারীরিক নিরাপত্তা এবং কম্পিউটারের নিরাপত্তার জন্য শনাক্তকরণ এবং প্রমাণীকরণ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে পরিচিত। দ্রুত, সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তার জন্য ক্রমবর্ধমান চাহিদা ছাড়াও বায়োমেট্রিক পদ্ধতি সম্প্রতি জনসচেতনতায়ও প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সরকার পুনে বিশ^বিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সমস্ত রাজ্য, সরকারি কর্মকর্তা এবং কলেজসমূহের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করা বাধ্যতামূলক করেছে। এরই সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই গবেষণায় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির ভূমিকা চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে অর্থাৎ পুনে শহরের পুনে বিশ^বিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সকল ফ্যাকাল্টি এ গবেষণার আওতাভুক্ত হয়েছে।

বায়োমেট্রিক কৌশলগুলোর মধ্যে আঙুলের ছাপভিত্তিক শনাক্তকরণ হলো প্রাচীনতম পদ্ধতি যা সফলভাবে অসংখ্য অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রত্যেকেরই অনন্য, অপরিবর্তনীয় আঙুলের ছাপ রয়েছে। একটি আঙুলের ছাপ আঙুলের উপরিভাগের একাধিক শিলা এবং চূড়া দিয়ে তৈরি। একটি আঙুলের ছাপের স্বতন্ত্রতা শৈলশিরা এবং চূড়াগুলোর ধরনের পাশাপাশি ক্ষুদ্রাকৃতির বিন্দুগুলোর দ্বারা নির্ধারিত হতে পারে। ছোট বিন্দুগুলো হলো স্থানীয় শৈলশিরার বৈশিষ্ট্য যা সাধারণত হয় শৈলশিরার বিভাজনের কারণে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হয় শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র পরিচয় শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে।

তবে সবসময়ই একটি নতুন প্রযুক্তির সাথে মানিয়ে চলাটা একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এই গবেষণায় দেখা গেছে যে, কিছু সংখ্যক লোক বায়োমেট্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নয়। তারা এ বিষয়টিকে অহেতুক মানসিক চাপ মনে করে। এমনকি কেউ কেউ মনে করেন যে, এটি তাদের কর্মক্ষমতার অবনতি ঘটায়। কিন্তু ভবিষ্যতে এই পদ্ধতি একটি অনিবার্য বিষয়ে পরিণত হবে বলে মনে করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রাইভেট কোম্পানি, সরকারি বিভাগ সকল ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং উন্নত শিক্ষার ক্ষেত্রে এর ব্যবহারযোগ্যতা গুরুত্বপূর্ণ এবং এর মান নির্ভরযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাই এই পদ্ধতির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং এটি টিকিয়ে রাখার জন্য এর প্রচারণা বাড়াতে হবে।

BASTOB’s 25- year journey for downtrodden peoplen: An impact analysis

Md. Jamal Hossain

১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই বাংলাদেশের জনগণের স্ব-উন্নয়নের লক্ষ্যে একদল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সমাজকর্মী দ্বারা বাস্তব নামক প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে। বাংলাদেশে ব্যাপক অবদান রাখার ক্ষেত্রে এটি বিশেষভাবে পরিচিত। প্রাথমিকভাবে বাস্তব একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা। এটি রেজিস্টার্ড অব জয়েন স্টক কোম্পানির আওতায় এনজিওবিষয়ক ব্যুরোতে নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সমিতি আইনের অধীনেও নিবন্ধিত হয়েছে। বর্তমানে ৫০০ জন কর্মী নিয়ে এর ৬৫টি শাখা অফিসসহ সারাদেশে ১১টি জেলা, ১৯৬টি ইউনিয়ন/পৌরসভা, ১৭৮০টি গ্রামে/ওয়ার্ডে স্বতন্ত্রভাবে ৬১,০৪৬টি সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের সাথে কাজ করছে।

বাস্তব এমন একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে প্রত্যয়ী যেখানে দারিদ্র্যপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ স্বাধীনভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে এবং নিজের সমস্যার সমাধান নিজেই করতে সক্ষম হয়। বাস্তব এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেটি সামাজিক সম্প্রীতির মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের ন্যায়বিচার ও অধিকার নিশ্চিত করে।

উপসংহারে সহজেই বলা যায় যে, বাস্তব অপার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিল এবং এটি অসামান্য সফলতা দেখিয়েছে কারণ এটি প্রতিষ্ঠার পর ২৫টি বছর অতিক্রান্ত করেছে ইতোমধ্যেই। এই প্রতিষ্ঠানটি শক্তিশালী চালিকাশক্তির সাথে সমাজে বিশাল অবদান অব্যাহত রেখেছে যা সর্বদা প্রমাণিত হয়েছে। যত সময় অতিবাহিত হয়েছে এটি আরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে এবং বিস্তৃত হচ্ছে। বলা বাহুল্য যে, বাস্তব নামক প্রতিষ্ঠানটি দেশের বাস্তবচিত্র পরিবর্তন করেছে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সেবা করে এবং প্রতিষ্ঠানটি তাদের দুঃসময়ে আশার আলো হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে।

A Study on Trading Chart Patterns in Working of Stock Exchange

Priya Chaurasia

Nikhil Kumar Singh

আর্থিক বিশ্লেষকরা সাধারণত এই বিষয়ে সম্মত হন যে, শেয়ারের মূল্য একটি নমুনাকে অনুসরণ করে এবং এই নমুনাগুলো অনুসরণ করে ভবিষ্যতে শেয়ারের মূল্যের পূর্বাভাস দিতে সহায়তা করে। প্রতিটি বিশ্লেষককে অবশ্যই দ্রুত এবং কার্যকরভাবে অর্থপূর্ণ নমুনা তৈরি করতে হবে এবং এই নমুনাগুলোর সংজ্ঞায়নের বিষয়গততার কারণে ঐতিহাসিক সময়ের ধারা খুঁজতে হবে। এই প্রবন্ধে বিভিন্ন ধরনের তালিকার নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে যা স্টক মার্কেট বা ডেরিভেটেড মার্কেটে বাণিজ্যের সুযোগ খুঁজে পেতে ব্যবহৃত হয়। এই নমুনাগুলো প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় যা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ৮০% থেকে ৯০% লাভজনক হারে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং এছাড়াও আমরা এই নমুনা ব্যবহার করতে পারি ফেক মার্কেটে। এই গবেষণাপত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নমুনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডেরিভেটিভ মার্কেটে প্রতিদিনের ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়।

দৈনিক স্টক বাজারের ওঠানামার দিক নির্ণয় করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু এটি একটি কঠিন প্রচেষ্টা। অর্থবাজারের পূর্বাভাসের যথার্থতা বাড়ানোর জন্য সাম্প্রতিকতম ডেটা মাইনিং এবং কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে এই নমুনাটি ব্যবহার করে ভবিষ্যদ্বাণী করার কোনো উপায় নাই।

এই নমুনাগুলো বিনিয়োগকারীকে আরও ভালো স্টক খুঁজে পেতে সহায়তা করে এবং ব্যবসায়ীদের জন্য এটি সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে যে ভবিষ্যতে বাজার কোন দিকে যাবে-নিচে নামবে নাকি বিকল্প বিভাগে ধাবিত হবে। যদি সমর্থন বা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আরও ভালো ধারণা থাকে তবে এটি সহজেই একটি নমুনার গঠন বিশ্লেষণ করতে পারে এবং স্টপ লসকে আরও ভালো উপায়ে ব্যবহার করতে পারে, বাজারের ক্ষতি রক্ষা করার ক্ষেত্রে। বর্তমান বাজারে কি ধরনের ক্ষতি বন্ধ করা উচিত সে সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। তবেই অনাকাক্সিক্ষত ক্ষতি এড়িয়ে বাজারকে চাঙ্গা রাখা সম্ভব হবে এবং ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখবে।

Practicum: The scenario of Agri-entrepreneurship: Some selected case studies

Farzana Hamid

হেলেনা বেগম:

নরসিংদী জেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের খোলাবাড়িয়া গ্রামের হেলেনা বেগমের স্বামী আফজাল উদ্দিন তাদের এলাকায় ওষুধি গাছ চাষের প্রবর্তক ছিলেন। আফজাল উদ্দিন হঠাৎ করে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। স্বামীর এমন অকাল মৃত্যুর কারণে সংসারে অভাব নেমে আসে। তখন হেলেনা বেগম স্বামীর ন্যায় ঔষধি গাছের চাষ শুরু করেন। PKSF-এর PACE প্রকল্পের অধীনে হেলেনা চাষ করা শুরু করেন যার অর্থায়নে ছিল IFAD এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিল UPDS। তিনি প্রকল্পের PACE আওতায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং দক্ষতা অর্জন করেন। গাছের চাষ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ দিয়ে তিনি বাসায় পাকা টয়লেট স্থাপন করেন এবং পাকা বাড়িও করেন। বর্তমানে তার মাসিক আয় ২০,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা। তিনি বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে বা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং সম্মানের সাথে জীবনযাপন করছেন। আর্থিক সচ্ছলতার পাশাপাশি তার সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মোহাম্মদ আলী:

পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পরিবারে মোহাম্মদ আলীর পিতামাতা, তিন ভাই আছে। স্বল্প জমিতে চাষ করে যা আয় হতো, তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চলছিল। মোহাম্মদ আলী ছোটবেলা থেকেই দারিদ্র্যের মধ্যে বড় হন। নিজে কিছু করার ইচ্ছা তার বরাবরই ছিল। সেই ইচ্ছা থেকেই ২০০৬ সাল থেকে কিছু জমানো ও কিছু ধার করা টাকা দিয়ে মধু চাষ শুরু করেন। ২০০৭ সালে তিনি বিসিক থেকে মধু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। PKSF-এর PACE প্রকল্পের অধীনে মধু চাষ ও বিপণনের ওপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন যার অর্থায়নে ছিল IFAD এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিল BASA। বর্তমানে তার ১২০টি মৌচাক রয়েছে যেগুলোর মধ্যে তিনি মধু চাষ করেন। প্রতি বছর তিনি তিনটি ভ্রাম্যমাণ মধু খামার পরিচালনা করেন। গত বছর তার মোট লাভ হয়েছে ২,৩০,০০০ টাকা। বর্তমানে তিনি মধু বোতলজাত করে বিক্রি করছেন যার নামকরণ হয়েছে ‘পিএফসি’ । তার পরিকল্পনা রয়েছে মধু শোধনাগার মেশিন ক্রয় করার এবং মৌচাকের সংখ্যা ৩০০-তে উন্নীত করার।

মাহসিনা বেগম:

মাহসিনা বেগম জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার নারয়ণপুর গ্রামের এক হতদরিদ্র কৃষক পরিবারের সদস্য। মাহসিনার স্বামী তার পূর্বপুরুষ থেকে প্রাপ্ত সামান্য জমি চাষ করে খুব স্বল্প আয় করতেন। মাহসিনার দুটি গাভী ছিল যা থেকে মাত্র দৈনিক দুই লিটার দুধ পাওয়া যেত। গাভী পালনেরও ক্ষমতা তাদের ছিল না। দুই সন্তানের জন্মের পর সংসারের খরচ বাড়ায় মাহসিনা আরও অসহায় হয়ে পড়ে। নিজের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য মাহসিনা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা জাকাস ফাউন্ডেশনের স্থানীয় দরিদ্র নারীদের সমিতিতে যোগদান করেন। এখানে যোগ দেওয়ার মাত্র এক মাস পর ‘উচ্চফলনশীল পশুখাদ্য/ঘাস’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

মাহসিনার কাজের প্রতি আগ্রহ দেখে PACE প্রকল্প মাসে ২০০০ টাকা ভাতা দেয় উচ্চফলনশীল পশুখাদ্য চাষের জন্য যা ধান চাষের চেয়ে লাভজনক। কঠোর পরিশ্রমের পর মাহসিনার আর্থিক সচ্ছলতা আসে। ২০১৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সে তার নিজের জমিতে নাইপার ঘাসের চাষ শুরু করেন। এটি এমন এক জাতের ঘাস যা বপন করার ৫০-৬০ দিন পরেই বিক্রি করা যায়। এক বিঘা জমিতে ৫০-৬০ দিনের খরচ ৩,০০০ টাকা এবং এক বছরে আয় ৭৫,০০০ টাকা। বর্তমানে মাহসিনা সাত বিঘা জমিতে নাইপার ঘাসের চাষ করছেন জাকাস ফাউন্ডেশন থেকে নেওয়া ৩০,০০০ টাকা ঋণের মাধ্যমে। তিনি এখন একটি শংকর জাতের গাভী এবং একটি দেশি গাভী পালন করছেন। ঘাস বিক্রি করে মাহসিনা মাসে ৩,০০০ টাকা আয় করেন। গাভীদের ভালো মানের ঘাস খাওয়ানোর কারণে এখন দুধের পরিমাণ বেশি হচ্ছে যার ফলে তার উপার্জন বাড়ছে। এখন মাহসিনা আর্থিকভাবে সচ্ছল ও তার পরিবারের পুষ্টির চাহিদাও সঠিকভাবে পূরণ হচ্ছে। বাড়ির টয়লেটেরও উন্নতি হয়েছে। মাহসিনা এখন নারী ক্ষমতায়নের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

ডালিমান বেগম:

টাঙ্গাইল জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের এক নারী ডালিমান বেগম (২৮) যিনি বর্তমানে একজন সফল ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। ২০১২ সালে ডালিমান প্রথম PKSF-এর সহযোগী সংগঠন Societ for Social Service (SSS) থেকে ঋণ গ্রহণ করে একটি বাছুর ক্রয় করেন PACE প্রকল্পের অধীনে। তিনি একই প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েকবার ঋণ গ্রহণ করে তার গাভীর খামার বড় করেন। বর্তমানে তার ১০টি বাছুর যার মধ্যে ৫টি বংশানুক্রমিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি প্রতিদিন ৪০-৪৫ লিটার দুধ বিক্রি করে যা থেকে ১৬০০ টাকা আয় হয়। তিনি নিকটস্থ বাজারে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি করে থাকেন। এখন ডালিমান তার খামারে কাজ করার জন্য দ্ইুজন দিনমজুর রেখেছেন। তার স্বামীও তাকে খামারের কাজে সহায়তা করছেন। কঠোর পরিশ্রম ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সুবাদে ডালিমান বেগম এখন আর্থিকভাবে সচ্ছল ও স্বাবলম্বী একজন নারী যিনি তার পরিবারের সাথে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন।

রহিমা বেগম:

রহিমা বেগম মেহেরপুর জেলার একজন সাধারণ গ্রাম্য গৃহিণী ছিলেন। তার দিনমজুর স্বামী আজিজুল হকের উপার্জন দিয়ে সংসার চালানো খুবই কঠিন ছিল। আজিজুল পরিবারের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য প্রবাসে গিয়েছিলেন কিন্তু প্রতারক চক্রের পাল্লায় পড়ে তিনি খালি হাতে দেশে ফিরে আসেন। এরপর তাদের আর্থিক অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়ে। আর কোনো উপায় না দেখে রহিমা তার মায়ের থেকে একটি ছাগল নিয়ে তা পালন করা শুরু করেন। PKSF -এর সহযোগী সংগঠন ডধাব ঋড়ঁহফধঃরড়হ এর আর্থিক সহায়তা কার্যক্রমে রহিমা নিজেকে তালিকাভুক্ত করেন। উপযুক্ত জ্ঞানের অভাবে রহিমা প্রথমে ছাগল পালনের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। Wave Foundation -এর মাধ্যমে তিনি এ বিষয়ে অনেক প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান অর্জন করেন যা মূলত PACE প্রকল্পের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। রহিমা আর্থিক সহায়তার সাথে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার ফলে তার পরিবারের আর্থিক দুরবস্থা দূর করতে সক্ষম হন। বর্তমানে তার খামারে ২৮টি ছাগল রয়েছে যার মূল্য ২,২০,০০০ টাকা। তার উপার্জন তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাড়ছে এবং তিনি সংশ্লিষ্ট সহায়তাকারী সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞ।

মিলি বেগম:

মিলি বেগম ২৭ বছর বয়স্ক একজন দারিদ্র্যপীড়িত নারী যার দুটি সন্তান রয়েছে। তার স্বামী একজন পাওয়ার টিলার চালক যার আয় খুবই সীমিত। মিলি বেগম ইমিটেশন গহনার দোকানের কর্মী ছিলেন যেখানে দৈনিক আয় মাত্র ৫০ টাকা ছিল। তাদের ১২ বছরের কন্যা অর্থাভাবে স্কুলে যেতে পারত না। মিলি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের অধীনে ইমিটেশন গহনা তৈরির ওপর প্রশিক্ষণ নেন। এক বছরের মধ্যে মিলির নিজস্ব ব্যবসা শুরু হয় এবং বর্তমানে তার গড় মাসিক আয় ৭০০০ টাকা। তার কন্যা এখন স্কুলে যায়। মিলির পরিবার এখন তিনবেলা ভালো খাবার খায় এবং তিনি এখন অন্য নারীদের গহনা তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।

রূপালী:

রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ি উপজেলার বাজারপুরের গ্রামের মেয়ে রূপালী। এসএসসি পাস করার পর বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর স্বামীর উৎসাহে এইচএসসি পাস করেন। রূপালীর স্বামী একজন কীটনাশক বিক্রেতা ছিলেন। তাদের একটি পুত্র সন্তান হওয়ার পর রূপালীর স্বামীর ব্যবসায় লোকসান হয় এবং তিনি বেকার হয়ে পড়েন। তখন সংসার চালানোর জন্য রূপালী তার এক আত্মীয়ের নিকট থেকে অল্প কিছু সেলাইয়ের কাজ শিখে নিজের সামান্য জমানো কিছু টাকা দিয়ে কাপড়ে নকশা করা শুরু করেন। কিন্তু রূপালীর আত্মীয় ঠিকমতো টাকা দিতেন না কাজের বিনিময়ে। পরবর্তীতে রূপালীর ননদের ফ্যাশন হাউজে কাপড়ে নকশা করে বিক্রয়ের জন্য দিতে শুরু করেন এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ দিয়ে একটি সেলাই মেশিন ক্রয় করেন। কিন্তু সেই ফ্যাশন হাউজও ঠিকমতো টাকা দিত না। রূপালী ও তার নেতৃত্বে ২৯ জন নারী ২০১৫ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠিত ‘টিয়া মহিলা সমিতি’তে যোগদান করে যেটি নারী উদ্যোক্তা দ্বারা পরিচালিত হতো। এখানে রূপালী ব্লক, বাটিক, টাই-ডাই, কাপড়ে নকশা করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষিত হয়ে কাজে দক্ষ হয়ে উঠেন। বাসায় ফিরে রূপালী অনেক নারীকে হাতের কাজের ওপর প্রশিক্ষণ দেন। তিনি ঈশ^রদীর একটি ফ্যাশন হাউজের কাজ পান এবং রাজশাহী থেকে সেলাইয়ের জন্য কাঁচামাল/প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ক্রয় করে কাজ শুরু করেন। সেলাইয়ের অন্যান্য খরচ ব্যতীত রূপালীর বর্তমান মাসিক আয় ৮,০০০ টাকা। রূপালী তার জমানো টাকা থেকে তার স্বামীর ব্যবসায়ের জন্যও টাকা দিয়েছেন। রূপালীর পরিকল্পনা হচ্ছে স্থানীয় বাজারে একটি দোকান করার এবং নিজের পুত্র সন্তানকে লেখাপড়া করানোর।

এরকম আরো সাম্প্রতিক সফলতার গল্প ভিডিও আকারে প্রকাশিত হলে আরও অনেক শিক্ষিত তরুণ তথাকথিত চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখবে।

Impacts of Natural Disaster on Socio-Economic Development

Kazi Md. Mortuza Ali

বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এখানে নদ-নদীর সংখ্যাও বেশি। প্রায়ই নদীর ভাঙন, জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের লোকজন সীমাহীন আর্থ-সামাজিক ক্ষতির সম্মুখীন হয় যার বিরূপ প্রভার দেশের সামগ্রিক আর্থিক ও সামাজিক পরিস্থিতির ওপর পড়ে থাকে। বাংলাদেশে প্রতি বছর বন্যা হয়। এছাড়াও অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টির ফলেও কৃষকের ফসলের ক্ষতি হয় যার কারণে বাজারে পণ্য সরবরাহ কমে যায় এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার উক্ত এলাকার লোকজন সহায়-সম্বল হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়ে। ফসলি জমি নষ্ট হয়ে বেকার হয়ে পড়ে। এই চিত্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নতুন কিছু নয়। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবরই এ ব্যাপারে তৎপর থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে রোধ করা সম্ভব নয়। তবে দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে সরকারি- বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার করণীয় রয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই। এই সমস্যা মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রাখা বা আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত জরুরি। আর্থিক সুরক্ষার উদ্দেশ্য হলো সরকার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং দুর্যোগগ্রস্ত পরিবারগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরবর্তী সময়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে যে আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় সেগুলো শনাক্ত করে যথাযথভাবে তা পূরণ যেন নিশ্চিত হয় তার ব্যবস্থা করা। আর্থিক সুরক্ষা ঝুঁকি হ্রাস এবং প্রতিরোধে বিনিয়োগ পরিপূরক ভূমিকা পালন করে। তাই সরকারকে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা কৌশলে দুর্যোগ ঝুঁকির ক্ষেত্রে অর্থায়ন এবং ঝুঁকি হস্তান্তর প্রক্রিয়ার সম্ভাব্য ভূমিকাকে সচেতনতার সাথে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। এই মূল্যায়নটি একটি সুশৃঙ্খল কাঠামোর মধ্যে করা প্রয়োজন যা সঠিক ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রতিক্রিয়া এবং ঝুঁকি অর্থায়ন পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে অর্থায়নের ফাঁক শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পন্থা নিম্নরূপ হওয়া উচিত:

 দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য নিবেদিত তহবিল গঠন;

 আকস্মিক আমানতের সুবিধা;

 যথাযথ বীমা স্কিম;

 বিপর্যয়ের সময় নিরাপত্তা ও যানবাহনের ব্যবস্থাকরণ;

 বাজেটে বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ;

 বিদেশি অনুদান;

 সহায়তা তহবিল গঠন:

বর্তমান স্তরের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পরবর্তী ব্যয়ের ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ সরকার ঝুঁকিপূর্ণ কৃষক/শ্রমিকদের আংশিক বা সম্পূর্ণ ভর্তুকিযুক্ত বীমা প্রদানের কথা বিবেচনা করতে পারে বিশেষ করে যারা দুর্যোগের সময় পরিষেবামূলক চাপের মুখোমুখি হতে পারে বা যারা নিজ খরচে বীমা করতে সক্ষম হতে নাও পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংক্রান্ত খরচ এবং বিকল্প সুবিধাগুলোকে পূর্বের দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে ব্যয় হয়েছে এবং সেসময় যেসব ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে তার সাথে তুলনা করে বর্তমান পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণ করতে হবে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সত্যিকার অর্থে সহায়তার মাধ্যমে নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সক্ষম হয়।

Preparing Lesson Plan in Outcome based Education (OBE): An Insight

Bholanath Dutta

ফলাফলভিত্তিক শিক্ষা হলো একটি শিক্ষাগত দর্শন এবং পদ্ধতি যা শিক্ষার পছন্দসই ফলাফল বা শিক্ষার ফলাফলের ওপর প্রাথমিকভাবে জোর দেয়। ফলাফলভিত্তিক শিক্ষায় প্রথাগত মনোনিবেশ চালিত পদ্ধতির প্রতি দৃষ্টি সরানো হয় (যেমন: ক্লাসে অতিবাহিত সময়ের পরিমাণ বা আলোচ্য বিষয়বস্তু বুঝতে পারা ইত্যাদি)। পছন্দসই জ্ঞান, দক্ষতা এবং যোগ্যতা শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা শেষ হওয়ার মাধ্যমে অর্জন করা উচিত।

ফলাফলভিত্তিক শিক্ষার মূল নীতিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ:

 শিক্ষার্থী;

 কর্মদক্ষতা/যোগ্যতা;

 ক্রমাগত উন্নতি;

 খাঁটি ও বাস্তবতা;

 নমনীয়তা ও অভিযোজনযোগ্যতা;

 সহযোগিতা এবং প্রবৃত্তি;

ফলাফলভিত্তিক শিক্ষার লক্ষ্য হলো, শিক্ষার্থীরা যেন তাদের শিক্ষার ফলাফল অর্জন করতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যৎ প্রচেষ্টার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে তা নিশ্চিতকরণ, এটি তাদের পরবর্তী জীবনে শিক্ষা, কর্মসংস্থান বা জীবনের অন্য কোনো দিকের ব্যাপারেও হতে পারে। এ শিক্ষা পদ্ধতি ফলাফল ও দক্ষতার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এর লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় ক্ষেত্রের উন্নয়ন করা। সেইসাথে শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা, গুণগত মান এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা।

An Analysis of Socio-economic Status of educated unemployed women

K. Vinodha Devi and V. Raju

ভারতে নারী সাক্ষরতার হার ৭০ শতাংশ অতিক্রম করেছে। বছরের পর বছর ধরে নারীদের শ্রমক্ষেত্রে অংশগ্রহণের হার হ্রাসের দিকটিও বিস্ময়করভাবে চিহ্নিত হচ্ছে। ভারতীয় নারীদের ক্ষেত্রে তাদের প্রতিপক্ষের তুলনায় বিশ্বায়নের দ্বারা সৃষ্ট সুযোগ কাজের লাগানোর সম্ভাবনা কম। শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং ব্যক্তিগত কারণসমূহ জটিলতা সৃষ্টি করে। এই নিবন্ধটিতে নারীদের আয়-ব্যয় এবং শিক্ষিত বেকারত্বের মধ্যে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। শিক্ষিত বেকারত্ব হচ্ছে, যখন উচ্চ শিক্ষিত নারীরা উপযুক্ত কর্মসংস্থান খুঁজে পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হন। বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কারণ বিবেচনা করে এই গবেষণায় আয়ের মাত্রা এবং ব্যয়ের ধরন কীভাবে শিক্ষিত নারীদের মধ্যে বেকারত্বকে প্রভাবিত করে তা অনুসন্ধান করার চেষ্টা করা হয়েছে।

নারীদের শ্রমক্ষেত্রে অংশগ্রহণের ক্রমহ্রাসমান হার সম্পর্কে এবং শিক্ষিত বেকার নারীরা কীভাবে তাদের ব্যয়/খরচ পূরণ করে তার গুরুত্ব এখানে তুলনা ধরা হয়েছে। কিছু কারণ এবং শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের সাথে তাদের সম্ভাব্য সম্পর্ক তুলে ধরার একটি সংক্ষিপ্ত প্রয়াসও গভীরভাবে নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণ এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য অপরিহার্য। বিশ্বায়নের পর নারীর ওপর চাপ কেবল তীব্র হয়েছে। সরকার নারী শ্রমের হার বৃদ্ধি করতে চায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই অংশগ্রহণের চাহিদা এবং সরবরাহের সীমাবদ্ধতার ওপর নজর দিতে হবে।

A comparison of Bangladesh trade among the BIMSTEC member countries

Samira-Binte-Saif

BIMSTEC-এর মতো অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য হলো, এর আওতাভুক্ত সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য মুক্তির জন্য মুক্ত বাণিজ্য এলাকা তৈরি করা। এই গবেষণায় ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সদস্য ৬টি দেশের সাথে বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় এবং রপ্তানি আয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যা আনুপাতিকভাবে/রৈখিকভাবে সম্পর্কিত বা সম্পর্কিত নয়। বাণিজ্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অনুকল্প নিরীক্ষা করার ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি এখানে ব্যবহার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ বৈদেশিক সাহায্য নির্ভরতা থেকে নিজেকে বাণিজ্য নির্ভর দেশে রূপান্তরিত করেছে। বাংলাদেশ ২০১৫ সাল থেকে বিশ^ব্যাংক কর্তৃক নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। এটি ২০২৪ সালের মধ্যে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ এবং এখানে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি রয়েছে। মোট বার্ষিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি (রপ্তানি ৪৭ বিলিয়ন, আমদানি ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), এটি একটি ভালো পরিসংখ্যান নয়। তাই বাংলাদেশ নিজের দ্বারা আরও বেশি আমদানি পণ্য/পণ্য উৎপাদন করার চেষ্টা করবে এবং বিদেশি পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা করবে। বিদেশি পণ্যের পরিবর্তে দেশীয় পণ্য ব্যবহারের প্রতি জনগণকে উৎসাহিত করতে হবে। এভাবে বাংলাদেশ আমদানি ব্যয়ের অস্থিরতাকে কমাতে পারে এবং অদূর ভবিষ্যতে নিজেকে আর্থিকভাবে স্থিতিশীল করতে পারে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করে যদি বাংলাদেশসহ অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর সাথে কাজ শুরু করতে না পারে তাহলে সেখানে BIMSTEC কাজ করবে না।

                                                    
An Analysis of Coping strategies of Women Entrepreneurs in Bangladesh to mitigate challenges

Nadia Binte Amin

কোভিড-১৯ এর প্রভাব ব্যবসায়িক সংস্থাগুলো, বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র এবং বিশাল অঞ্চলের ওপর একটি ভারী ধাক্কা দিয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে নারীদের মালিকানাধীন অনেক সংস্থা বিশেষ করে কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে যার ফলে তাদের ব্যবসা বন্ধ হওয়ার অবস্থা তৈরি করেছিল। অতীতেও বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তারা বহু পরিবর্তনের সাক্ষী। নারী উদ্যোক্তারা, যারা জীবনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, নিজের ও পরিবারের জন্য উপার্জন করেছেন পাশাপাশি সামাজিক-রাজনৈতিক উন্নয়নে যুক্ত থেকে দেশক এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছেন, তারাই মহামারির সময় সবচেয়ে খারাপ সময় অতিবাহিত করেছেন। এই কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সময় অনেক গ্রামীণ ও অশিক্ষিত নারী যারা ক্ষুদ্র উদ্যোগের মাধ্যমে পারিবারিক আয় বাড়িয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের উপার্জনে পরিবার ও সমাজে বিনিয়োগ ঘটছে, এই সকল নারীই সেসময় জীবনের সকল ক্ষেত্রেই গুরুতর সংকটের সম্মুখীন হয়েছেন। গ্রাহকদের চাহিদা বা পরিষেবাগুলো সময়ের প্রেক্ষিতে কি ধরনের হতে পারে সেই চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে গতানুতিকতায় বৈচিত্র্য আনতে ছোট ব্যবসায়ী এবং নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা যেতে পারে। তাই উপার্জনের নতুন ধারা বিকাশের জন্য চিরাচরিত চিন্তাধারার বাইরে নতুনত্ব আনয়নের এই প্রচেষ্টা কোভিডের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে। নারী উদ্যোক্তারা নতুন আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা গঠনে অংশ নিলে গ্রাহকের সময়োপযোগী প্রয়োজন পূরণের ক্ষেত্রে আরও প্রতিক্রিয়াশীল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে এবং ভবিষ্যতে ব্যবসার ক্ষেত্রে মহামারি বা যেকোনো ধাক্কা মোকাবিলায় আরও স্থিতিশীল পরিস্থিতি নিজেরাই সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।

রপ্তানি প্রস্তুতির নির্দেশিকা নারী উদ্যোক্তাদের মহামারির সময়ে তাদের ধরাবাঁধা চিন্তার বাইরে গিয়ে চিন্তার প্রক্রিয়াকে প্রসারিত করতে এবং ব্যবসায়ে নতুনত্ব চিন্তাধারা যুক্ত করতে উৎসাহিত করতে পারে। তাই যদি আমাদের নারী উদ্যোক্তারা কেবল উপমহাদেশীয় নয়, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীদের (পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতকরণ, বিপণন) সাথেও নিজেদের শক্তি ও সক্ষমতা দিয়ে লড়াই করতে পারে তাহলে তারাও আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের স্থান তৈরি করতে পারবে। বিশ্ববাজার এখন যাদের দখলে রয়েছে, অভিনব চিন্তা-কৌশল, পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানো ইত্যাদি কৌশলের মাধ্যমে আমাদের ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তারাও তাদের সাথে এককাতারে প্রতিযোগিতা করে নিজেদের স্থান মজবুত করতে পারবেন। আর এর জন্য প্রয়োজন কাজের ক্ষেত্রে অভিনবত্ব আনয়ন এবং চিন্তার ক্ষেত্রে সৃজনশীল হওয়া।

                                                    
Why do IoT and AI-enabled technologies matter? -Potential for Buniness Gains

Shamima Haque

অসাধারণ ডিজিটাল কণ্ঠ এবং অটোমেশনসহ AI, IoT ক্লাউড কম্পিউটিং এবং ব্ল্যাক চেইনের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী ব্যবসার সাথে যুক্ত হচ্ছে কারণ এর মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণে রাজস্ব লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। AI এর মূল অর্থনৈতিক প্রভাব এবং লট সক্ষম প্রযুক্তি, ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ার স্বয়ংক্রিয়তা এবং সহকারী বুদ্ধিমত্তার দ্বারা গ্রাহকের চাহিদা এবং খরচের ধরন পরিবর্তনের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা লাভের বিষয়টি উপলব্ধি করা যেতে পারে। এর ফলে স্বাস্থ্যসেবা, স্বয়ংক্রিয় উদ্দেশ্য, আর্থিক পরিষেবা, উৎপাদন এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের মতো কিছু নির্দিষ্ট স্কেটারগুলো অভিযোজন থেকে প্রশংসনীয় সুবিধা অর্জন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে AI সম্পর্কিত প্রযুক্তি যেখানে খুচরা এবং শক্তির ন্যায় অন্য খাতগুলোতে দীর্ঘমেয়াদে উপযুক্তভাবে অনুসরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিরামহীন সুযোগের সাথে AI লট সক্ষম উদীয়মান অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে সমস্ত বিশ্বে একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)) মেশিনগুলোকে জটিল কাজের ক্ষেত্রে মানুষের বুদ্ধিমত্তা অনুকরণ করতে সক্ষম করে তুলে, ইন্টারনেট অব থিংস (Iot)-এর মাধ্যমে সহজলভ্য আন্তঃসংযোগ, যেখানে ডিভাইসগুলো অনায়াসে একই ডেটার মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সীমানা ঠেলে প্রসারিত করে, যা একসময় অসম্ভব বলে করা হতো। AI এর রয়েছে নতুনত্ব আনয়নের পরিষেবা এবং সম্পূর্ণ নতুন ব্যবসায়িক মডেল তৈরির মাধ্যমে বাজারকে মৌলিকভাবে ব্যাহত করার সম্ভাবনা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে AI এবং Iot প্ল্যাটফর্ম এবং অ্যাপ্লিকেশন গ্রহণের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে কৌশল অবলম্বন করতে হবে, যার ফলে উন্নত অটোমেশন, বর্ধিত উৎপাদনশীলতা, উন্নত গ্রাহক অভিজ্ঞতা এবং পরিষেবার জন্য ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলোকে পুনরায় ঝালাই করা বা ঢেলে সাজানো উচিত।

                                                    
Contribuition of Social Entrepreneurship to Economic Growth: An Analysis
                                                    
Md.Humayan Kabir 

সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি) বাংলাদেশের ৩২টি জেলায় ১০৪টি উপজেলায় চারটি এনজিওর সহায়তায় নারীদের উদ্যোক্তা তৈরির জন্য কাজ করছে। এই নারী উদ্যোক্তারা Gold Star Network (GSM) নামে পরিচিত এবং তারা তাদের কর্মযোগ্যতা দিয়ে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়।

বর্তমানে আনুমানিক ৩,২৩২ জন নারী SMC -এর Gold Star Network (GSM)-এর অধীনে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে GSM এর গড় বিক্রয় ছিল ১৫,৫৭০ টাকা। দেখা যায় যে, GSM-এর মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য খাতের পণ্যসামগ্রী গৃহস্থালী পর্যায়ে উল্লেখযোগ্যভাবেবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য খাতের পণ্য প্রাপ্তি ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে। গ্রামীণ নারীদের জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য এসএমসির উদ্যোক্তা উদ্যোগ একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। এটি একটি পরিবার এবং সমাজ/সম্প্রদায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সক্ষমতা বাড়ায়। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা যায় যে, ৪৩% GSM এর সদস্যরা বিশ্বাস করে যে, তারা GSM নেটওয়ার্কের সাথে থাকার কারণে তাদের পরিবার এবং সম্প্রদায় সম্মান ও স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক স্বীকৃতি পেয়েছে যা পরিবার থেকে বৃহত্তর সম্প্রদায় পর্যন্ত তাদের সীমানা অতিক্রম করতে সহায়তা করে (Gold Star Network (GSM) 2019) ২০১৯-এর শক্তি, দুর্বলতা, সুযোগের মূল্যায়ন করে)। GSM -এর সচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রমগুলো নারীদের কাছে ভালোভাবে স্বীকৃত তাই নারীরা স্বাস্থ্যপণ্য ক্রয় করার জন্য তাদের কাছে যেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং উৎসাহিত হয়। সাম্প্রতিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৫৭টি জিএসএম সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এসএমসি পণ্যের সহজপ্রাপ্ততা নিশ্চিত করার জন্য এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে তথ্য ও পণ্যের চাহিদা মেটাতে প্রতি বছর Gold Star Network মডেলের প্রসার ঘটাচ্ছে। গ্রামীণ গোল্ড স্টারের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মডেল এবং শহরের জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটাতে এসএমসি ২০২১ সাল থেকে শহরাঞ্চলে Gold Star Model-এর বাস্তবায়ন শুরু করে।

                                                    
Critical analysis of emerging and disruptive digital technologies in an era of artificial intelligence (AI) 
                                                    
Jose G. Vargas-Hernandez
                                                    
M.C. Omar C. Vargas-Gonzalez

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জামগুলোর মধ্যে মেশিন লার্নিং যেমন: চ্যাট জিপিটি ডিজিটাল ট্রেস থেকে উৎপাদিত নতুন এবং মূল্যবান পাঠ্যগুলোর একটি অপ্রত্যাশিত সংমিশ্রণসহ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া প্রদান করতে পারে, ডেটার উৎস এবং প্রশিক্ষণের মানের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমীভাবে কম নির্বাচনের সম্ভাবনাসহ। এই ট্রেসগুলোর ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ এবং ফলাফলের বৈধতা দেওয়ার মতো জ্ঞাত থাকা প্রয়োজন। Stochastic I algorithm parrot হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বেশিরভাগ সরঞ্জামই অচেতন এবং স্ব-জ্ঞান তৈরি করতে সক্ষম হয় না এবং নিজে থেকে অর্থপূর্ণ, বৈধ এবং বৈধ বৈজ্ঞানিক জ্ঞান চালিয়ে নিতে পারে না।

বৈষম্য, মিথ্যা তথ্য এবং তথ্য চুরি, কপিরাইট লঙ্ঘন ইত্যাদির মতো নৈতিক উদ্বেগসমূহ হ্্রাস করার লক্ষ্যে জেনোরেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য নৈতিক কোড, আইন এবং প্রবিধানের বিকাশ প্রয়োজন। গ্রহণযোগ্য ব্যবহারের নিয়মাবলীর জন্য প্রবিধানগুলো হলো এমন এক সমস্যা যা অবশ্যই উত্থাপন, আলোচনা, বিশ্লেষণ করা এবং সমাধান করা উচিত।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জাম এবং অন্যান্য ডিজিটাল বিঘ্নকারী এবং যুগান্তকারী প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য নতুন পদ্ধতির অন্বেষণের জন্য গবেষণা এবং অনুশীলনকে প্রসারিত করতে হবে যা মানব উন্নয়নের সম্ভাব্য বর্ধন, সামাজিক ও পরিবেশগত সুবিধা সৃষ্টি করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে। এই সুযোগগুলো ভবিষ্যতে গবেষণার ক্ষেত্রে তৈরি করে যা শিক্ষামূলক কর্মসূচিতে প্রভাব বিস্তারসহ আরও ট্রান্স ডিসিপ্লিনারী পদ্ধতি যা মানবতার উপকারের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জামগুলোর একটি নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ করা উচিত।

                                                    
Understanding Digitization, Digitalization and Digital Transformation
                                                    
Logaiswari Indiran, Umar Haiyat Abdul Kohar, Siti Suraya Abd Razak

ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ব্যাপারে বিভিন্ন গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বা হতে যাচ্ছে যার ফলস্বরূপ, ডিজিটাইজেশন এবং ডিজিটালাইজেশন শব্দগুলোকে মিশ্রিত করা হচ্ছে। বিষয়টি উচ্চমাত্রা বৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির বাস্তবায়নকে কয়েকটি পর্যায়ে বিভক্ত করা যেতে পারে, যার প্রতিটির নাম দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে: ডিজিটালাইজেশন, ডিজিটাইজেশন এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন। এই তিনটি অভিব্যক্তির প্রত্যেকটি ভিন্ন কিছুকে বোঝায়। অ্যানালগ ফরমেট থেকে ডিজিটাল ফরমেটে তথ্যের রূপান্তরকে বলা হয় ডিজিটাইজেশন। ডিজিটালাইজেশন এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে ডিজিটাল সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপ সফলভাবে উপস্থাপিত সুযোগগুলোকে সঠিক পথে কাজে লাগাতে প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ধারণাসমূহ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। ফলস্বরূপ এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্য তথ্যের ডিজিটালাইজেশনের বিভিন্ন স্তরকে ভেঙে ফেলা নয়। বরঞ্চ পরবর্তীকালে আমরা ডিজিটাইজেশনের সংজ্ঞা দিয়ে তা গ্রহণ করা শুরু করব এবং দৈনন্দিন জীবনে এর মৌলিক ব্যবহারের মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাব।

                                                    
Introduction to Big Data
                                                    
Sudipto Bhattayacharyya 

এই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সময়ে Big Data এর পরিচিতি এবং ব্যবহার অপরিহার্য বলে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমান যুগে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম যেমন: ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম ইত্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও Big Data -এর ভূমিকা রয়েছে। এখানে ব্যবহারের কিছু বিশেষ খাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে- স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনোদন জগৎ, ভ্রমণ, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি। কিছু চ্যালেঞ্জের কথা বলা হয়েছে কিন্তু এটি কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা উল্লেখ নাই। ভবিষ্যতে Big Data ব্যবহার কতখানি অপরিহার্য হতে পারে তা স্পষ্ট করা দরকার।

                                                    
National Budget of the country for the financial year 2023-24: Different experts’ View

Taslima Akther

২০২৩-২৪ সালের অর্থবছরের জন্য জাতীয় বাজেট নিয়ে তাসলিমা আক্তারের আলোচনাটি যথাযথ এবং তথ্যবহুল। তবে এই বাজেট সংকট মোকাবিলায় কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে এবং এ ব্যাপারে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পাশাপাশি লেখকের নিজস্ব বক্তব্য বা সুপারিশ থাকলে এটি পরিপূর্ণ হবে বলে আশা করা যায়। তবে সামগ্রিকভাবে এটি একটি সমৃদ্ধ আলোচনাপূর্ণ লেখনী।

                                                    
Rohingya Crisis in different aspects
                                                    
Rosbena Arif                                                    

বর্তমান বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী একটি অনেক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনো পরিকল্পিত জীবন না থাকায় রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে যার মধ্যে অন্যতম হলো মাদক পাচার বা ব্যবসা। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাগুলো এখন মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। মিয়ানমার সরকারের অমানবিক আচরণের কারণে তারা নিজ দেশে ফিরে যেতে পারছে না আবার বাংলাদেশেও নিজেদের উন্নত জীবন পাচ্ছে না। এরকম পরিস্থিতিতে তারা অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এ সমস্যার কার্যকরী মোকাবিলার জন্য কিছু সুপারিশ এখানে উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশেষ করে জাতিসংঘের সহায়তায় কীভাবে এ সমস্যা দ্রুত মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

                                                    
Repatriating Rohingya Refugees: A Path to Their Motherland
                                                    
Arijit Bhattacharyya

২০১৭ সাল থেকে মিয়ানমারের মুসলিম সম্প্রদায় সরকার কর্তৃক বারবার নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে কীভাবে একটি মানবেতর অনিশ্চিত জীবনযাপন করছে তা এ প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সমস্যার মূলে গিয়ে সমস্যার সমাধানের কথা বলা হয়েছে। সেইসাথে রোহিঙ্গাদের আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ-সহায়তা, সমঅধিকার, সমতা নিশ্চিতকরণের কথাও বলা হয়েছে। এটি একটি সময়োপযোগী লেখনী। তবে সমস্যা মোকাবিলায় লেখকের নিজস্ব কিছু সুপারিশ থাকলে এটি আরো তথ্যসমৃদ্ধ হবে।

                                                    
Repatriation of Rohingya Refugees from Bangladesh to Myanmar: A Complex Challenge for Regional Stability Entrepreneurial Economist 
                                                    
Tasnim Sakif

বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন এখন বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ প্রবন্ধে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে বারবার অনুপ্রবেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে বাধাসমূহ, এ বিষয়ে বাংলাদেশের ভূমিকা এবং সক্ষমতা ও আঞ্চলিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তুর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। এ প্রবন্ধটিতে নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব। তবে স্থায়ী সমাধানের ওপর লেখকের বক্তব্য জোরদার হওয়া দরকার। তাহলে সমাধানের সহজ পথ বের হয়ে আসবে।

লেখক: গবেষণা কর্মকর্তা, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

আগারগাঁও, ঢাকা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

কার্ডহোল্ডারদের জন্য গ্রীনপিন সেবা চালু করলো এনসিসি ব্যাংক 

অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী সংসদ সিবিএ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু জাফর 

ইসলামী ব্যাংকের কুমিল্লা জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জনতা ব্যাংকের নতুন ডিএমডি মো. ফয়েজ আলম

‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেল ওয়ালটন

আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার কমানোর পরামর্শ আইএমএফের

তাপপ্রবাহ: ২ হাজার শ্রমজীবীকে সোনালী ব্যাংকের ছাতা উপহার

রংপুরে জনতা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের উপশাখাসমূহের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :