‘ন্যাশনাল ব্যাংকের পর আপাতত একীভূতকরণ প্রস্তাব আর নয়’
ন্যাশনাল ব্যাংকের পর আপাতত আর কোনো ব্যাংক একীভূতকরণ প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্ততায় একীভূতকরণের প্রাথমিক ধাপে পাঁচটি দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ সম্পন্ন হওয়ার পর নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। সেই হিসেবে পরবর্তীতে একীভূতকরণের জন্য আরও ৭টি ব্যাংক আলোচনায় থাকল।
ইতোমধ্যে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক, সোনালীর সঙ্গে বিডিবিএল, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারি মালিকানার বেসিক ব্যাংক এবং ইউসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আলোচনায় রয়েছে আরও ৭টি দুর্বল ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এই পাঁচ ব্যাংকের একীভূতকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত নতুন করে কোনো ব্যাংকের প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে না।
সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনের আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতের জন্য দ্রুত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক জারি করে। এই নীতিমালার আলোকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দূর্বল ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত না হলে মার্চ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাধ্যতামূলকভাবে এক করে দেবে। আর গত ৪ এপ্রিল ব্যাংক একীভূতকরণের নীতিমালা জারি করে সেখানে কোন প্রক্রিয়ায় একীভূতকরণ সম্পন্ন হবে, একীভূতকরণ হলে সুবিধাসহ বিস্তারিত বলে দেওয়া হয়।
তবে এর আগেই গত ১৮ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এক্সিম ও পদ্মা ব্যাংক একীভূতকরণের এমওইউ সই করার মধ্য দিয়ে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
বর্তমানে বেসরকারি খাতের এবি, আইসিবি ইসলামিক, বাংলাদেশ কমার্স, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী ও বিদেশি মালিকানার ন্যাশনাল ব্যাংক অবস পাকিস্তান একীভূতকরণের আলোচনায় রয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, এরই মধ্যে ব্যাংক একীভূতকরণের পাঁচটি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এসব ব্যাংকের একীভূতকরণ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আপাতত নতুন কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে না। ব্যাংকগুলোর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর অভিজ্ঞতার আলোকে নতুন প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৫এপ্রিল/এসআইএস)