ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বাদশা মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে বখাটেরা। একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার জের ধরে এ খুনের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা ও ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ, এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড্ডা গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় আবু কালাম মিয়ার প্রতিবেশী মিয়াদের বাড়িতে ঢাকা থেকে এক কিশোরী মেয়ে বেড়াতে আসেন। মেয়েটির সঙ্গে গ্রামের অনিক ও তার বন্ধুরা সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা চালায়। অন্যদিকে গ্রামের সাইফুল, জিহাদ, তারেক ও তার বন্ধুরা মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতো। শুক্রবার মেয়েটির সঙ্গে কথা বলা নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় একটি দাওয়াতে গ্রামের বাহিরে ছিল বাদশা মিয়া। বিষয়টি মীমাংসা জন্য গ্রামের মুরুব্বিদের অবগত করা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অনিকের পক্ষের লোকজন বাড্ডা পশ্চিম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে চায়ের দোকানে গিয়ে মেয়েটির খোঁজ নিতে গিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় অনিকের লোকজনের অতর্কিত হামলায় সাইফুল গুরুতর আহত হয়। এসময় বাদশা চিৎকার দিলে হামলাকারীরা তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে এবং একে একে তারেক ও জিহাদকে কোপায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা ও ঢাকায় তাদের প্রেরণ করে। ঢাকায় নেওয়ার সময় বাদশা মিয়া মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের বোন পপী আক্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
পুলিশ এ ঘটনায় রাসেল মিয়া (৩২), ইউনুস মিয়া (৩৫), শাকিল আহমেদ (১৯) ও মাসুদ মিয়া (২০) নামে এজাহার নামীয় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বাদী পপি আক্তার জানান, আমাদের তিন বোনের মাঝে একমাত্র ভাই বাদশা। কয়েক মাসের মধ্যে সে বিদেশ যাওয়ার কথা ছিল। আমার ভাই মেয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না। তবুও তারা আমার ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম বলেন, একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার জের ধরেই বাদশাকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অনিককে প্রধান করে ২১ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন