সিনেমা হলে দর্শক টানতে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানির প্যাকেট ফ্রি

​​​​​​​বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩৬

মুভি নির্মাণের পর হলে দর্শকদের টানতে সেই মুভির টিজার এবং ট্রেইলারসহ গান প্রকাশ করা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ইউটিউবসহ বিভিন্ন চ্যানেলে। এসব করেন সিনেমা নির্মাতা সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া দর্শকদের আকৃষ্ট করতে করা হয় বিভিন্ন ধরনের পোস্টার ডিজাইনও। সাঁটানো হয় দেয়ালে দেয়ালে। এবার বগুড়ার এক হল কর্তৃপক্ষ দর্শকদের হলে টানতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া চিত্র নায়িকা পূজা চেরি এবং নায়ক আদর আজাদ অভিনীতলিপস্টিকসিনেমা দেখার জন্য দর্শকদের হলে টানতে বগুড়া ধুনট উপজেলার ঝংকার সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ ১০০ টাকার টিকিটের সঙ্গে এক প্যাকেট বিরিয়ানি তুলে দিচ্ছেন দর্শকদের হাতে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর থেকে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ চালু করা হয়েছে। হল কর্তৃপক্ষ বলছে, দর্শক ফিরে আসুক, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প এবং সিনেমা হল বেঁচে থাকুক- এমনটাই চাওয়া তাদের।

১০০ টাকার টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানির প্যাকেটের অফারের ফলে স্থানীয়দের মুখে মুখে ফিরছে ঐতিহ্যবাহীঝংকারসিনেমা হলের নাম। ঈসা খানের মালিকানাধীন সিনেমা হলটি ১৯৮৪ সালে ধুনট শহরে নির্মাণ করা হয়। হল চালু হওয়ার পর থেকে দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল এটি। কিন্তু গত এক দশক ইন্ডাস্ট্রি থেকে ভালো কোনো সিনেমা না পাওয়ায় বন্ধ ছিল হলটি। তবে দীর্ঘদিন পর গত শনিবার ফের সিনেমা প্রদর্শন শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

ঝংকার সিনেমা হলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেন বলেন, ১০ বছর পর আমাদের সিনেমা হলে লিপস্টিক দিয়ে আবারও শো চালু করা হয়েছে। প্রথম শো থেকেই আমরা ১০০ টাকার টিকিটের সঙ্গে দর্শকদের বিরিয়ানি দিচ্ছি। সিনেমাটি হলে যতদিন চলবে। ততদিনই আমরা খাবার দেব।

তিনি বলেন, যতদূর জানি কোনো সিনেমা হল কর্তৃপক্ষই এখন পর্যন্ত দর্শককে একটা কোল্ড ড্রিংকসও খাওয়ানো হয়নি। আর আমি যেহেতু আগে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করতাম এখান থেকে আমার চিন্তা আসে হলে দর্শকদের টানতে তাদেরকে এক প্যাকেট করে বিরিয়ানি খাওয়াবো। এরপরেই চিন্তার প্রতিফলন ঘটাই।

বিরিয়ানির প্যাকেট দর্শকদের দিয়ে শো-এর খরচ তুলতে পারছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সিনেমাটি সম্পূর্ণ ফ্রি দেখাচ্ছি। ১০০ টাকার টিকিটে আমার বিরিয়ানির টাকা মেকআপ হচ্ছে। দর্শক এলে আমার লোকসান হলেও আমি দর্শকদের খাওয়াবো।

তিনি বলেন, হলে দর্শক ফিরে আসুক, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প এবং সিনেমা হল বেঁচে থাকুক- এটাই আমার মূল উদ্দেশ্য। হলে দর্শক কেমন আসছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুপুর ১২টা, বিকেল ৩টা, সন্ধ্যা ৬টা রাত ৯টায় সিনেমা প্রদর্শন হচ্ছে। আমার হলের সিট সংখ্যা ৫০০টি। প্রথম দিন দুপুর এবং বিকালের শোতে ৫০ জন করে দর্শক ছিল। সন্ধ্যা এবং রাতের শোতে ১০০ জন করে। এখন অতিরিক্ত গরমের কারণে দুপুরের শো গুলোতে দর্শক কম হচ্ছে। তবে সন্ধ্যায় ৫০-৫৫ জনের মতো দর্শক এবং রাত ৯টার শোতে ৬০-৭০ জন করে দর্শক থাকে।

(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :