তীব্র গরমে বিশ্বব্যাপী বছরে ১৯ হাজার শ্রমজীবীর মৃত্যু

জাতিসংঘের একটি গবেষণা অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী ২৪০ কোটিরও বেশি মানুষ কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড তাপের মুখোমুখি হচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি শ্রমিক মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভুগছেন। অন্যদিকে প্রতি বছর প্রচণ্ড গরমের কারণে পেশাগত দুর্ঘটনায় সারা বিশ্বে ১৮ হাজার ৯৭০ জনের মৃত্যু হচ্ছে।
সোমবার প্রকাশিত জাতিসংঘের শ্রম বিষয়ক সংস্থা- ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের (আইএলও) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়- অত্যধিক তাপ, চরম আবহাওয়া, অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ এবং বায়ুদূষণের কারণে বেশ কিছু রোগের উদ্বেগজনক বৃদ্ধি ঘটেছে, যা ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় ৩ লাখ, কর্মক্ষেত্রের বায়ুদূষণে ৮ লাখ ৬০ হাজার, সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মিতে ১৮ হাজার ৯৬০ জন এবং পরজীবী ও প্রাণী থেকে মানুষের দেহে আসা রোগে আরও ১৫ হাজার ১৭০ জনের মৃত্যু হচ্ছে। এর মধ্যে কৃষি খাতে কাজ করা শ্রমিকদের মৃত্যুর হার বেশি দেখা যাচ্ছে।
এছাড়াও অতিরিক্ত গরমের কারণে আমেরিকা, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারতে অসংখ্য মানুষ কিডনি বিকল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলেও জানিয়েছে আইএলও।
আইএলওর পেশাগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য দলের প্রধান মানাল আজি বলেন, ‘পেশাগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য বিবেচনা অবশ্যই আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়াগুলোর অংশ হয়ে উঠতে হবে।’
গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির গরমজনিত রোগ বিশ্বব্যাপী, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিকদের জন্য একটি বৃহত্তর নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি হয়ে উঠছে।
মার্কিন শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, প্রচণ্ড গরমজনিত কারণে ২০২০ সালে ৫৬ এবং ২০২১ সালে ৩৬ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।
গত সপ্তাহেও ফ্লোরিডার বেলে গ্লেডে আখের ক্ষেতে কাজ করার সময় ২৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তি তাপজনিত অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন।
মার্কিন শ্রম বিভাগের মতে, ১৯৯২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত, তাপজনিত ৯৯৯ মার্কিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, বা বছরে ৩৩ জন মারা গেছে।
সূত্র: সিবিএস নিউজ
(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/এমআর)

মন্তব্য করুন