ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব: বাগেরহাটে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বাগেরহাটে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে। বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়তে শুরু করেছে জোয়ারের পানি। ইতোমধ্যে ডুবে গেছে জেলার নিম্নাঞ্চল। সদর উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়েছে পানি।
রবিবার দুপুর পর্যন্ত জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে মোরেলগঞ্জ উপজেলার সন্ন্যাসী বাজারসহ নিম্নাঞ্চল এবং সদর উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা।
সন্ন্যাসী বাজারের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন খান বলেন, হঠাৎ করেই পানির তীব্রতা বেড়েছে। আজ সাপ্তাহিক বাজারের দিন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সড়কে পানি ওঠায় দোকান বন্ধ করে মালামাল নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছি।
তরকারি বিক্রেতা বায়জিদ হোসেন বলেন, সকাল থেকে কালো মেঘ দেখেছি। থেমে থেমে বৃষ্টিও পড়ছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল ক্রমেই উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান বলেন, মোরেলগঞ্জ উপজেলার দুর্যোগ প্রস্তুতিতে মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ নাদিরুজ্জান আকাশকে প্রধান করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করেছে। এছাড়া ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার জন্য ছয়জন সদস্য নিয়ে আলাদা আলাদা মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। চালু রাখা হয়েছে ৫১টি কমিউনিটি ক্লিনিক।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় জেলায় মোট ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ বাগেরহাট উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ফলে রবিবার দুপুরের ভেতর সবাই যেন আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যায় সে লক্ষ্যে মাইকিং করে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/২৬মে/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন