নারী ও আদিবাসীসহ প্রান্তিক মানুষের জন্য দ্বিগুণ বাজেট বরাদ্দের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১১ জুন ২০২৪, ১৭:৪২
অ- অ+

গ্রামীণ নারী ও আদিবাসীসহ প্রান্তিক মানুষের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মাথাপিছু বরাদ্দ কমপক্ষে দ্বিগুণ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে হিউমেন ডেভেলপমেন্ট রিচার্স সেন্টার (এইচডিআরসি) এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্যা ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এলআরডি)।

মঙ্গলবার রাজধানীর সিরড্যাপে 'বাজেট প্রক্রিয়া ও উন্নয়নে প্রান্তিক মানুষের অংশগ্রহণ এবং বাজেটে তাদের ন্যায্য বরাদ্দ' শীর্ষক সেমিনারে এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এসময় আদিবাসীসহ প্রান্তিক মানুষের জীবন মান উন্নয়ন বাজেটে ন্যায্য বরাদ্দের দাবি তোলা হয়।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে হিউমেন ডেভেলপমেন্ট রিচার্স সেন্টারের (এইচডিআরসি) প্রধান উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত। তিনি বলেন, নারী কৃষকদের স্বীকৃতি দিয়ে তা কার্যকরে বাজেটে বরাদ্দ দেয়া জরুরি। কৃষিক্ষেত্রে গৃহীত প্রকল্পগুলোয় নারীর জন্য কোটা রাখতে হবে। মাথাপিছু বাজেট বরাদ্দ এখনকার তুলনায় কমপক্ষে দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা জরুরি। সেই সঙ্গে নারী-কৃষক, নারী কৃষি-শ্রমিক এবং প্রান্তিক গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তা খুঁজে বের করা এবং তাদের পণ্য উৎপাদন এবং বিপণনের সুযোগ সৃজনের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য বাজেটীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ ২০১৯ থেকে ২০১৮ সাল সময়কালকে পারিবারিক কৃষি দশক হিসেবে ঘোষণা করেছে। অথচ পারিবারিক কৃষি বিষয়টি আমাদের দেশে স্বীকৃতি নয়। বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে পারিবারিক কৃষি খাতের সমস্যাগুলো অনেক বেশি প্রকট। এ যেন হাত কাটা খেয়ে কোনোভাবে টিকে থাকার জন্য পরিচালিত কৃষি ব্যবস্থা। জাতীয় বাজেটে পারিবারিক কৃষির জন্য মোট বরাদ্দ কত তার কোনো “দাপ্তরিক” হিসেবে নেই। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে পারিবারিক কৃষির জন্য মোট বরাদ্দ ৪০ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা—যা মোট বাজেটের ৫.৩%। তাই পারিবারিক কৃষিকে স্বীকৃতি দিয়ে এই বাজেট দ্বিগুণ বৃদ্ধির করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

বাজেটে আদিবাসীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দাবি জানিয়ে অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্যা ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এলআরডি)'র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ জন্য বাজেটে বরাদ্দ থাকে না। আদিবাসীদের জন্য করা ভূমি কমিশনের জন্যও বরাদ্দ দেওয়া হয় না। তাই আদিবাসীদের ভূমি সংকট নিরসন ও জীবন মান উন্নয়নে নির্দিষ্ট বরাদ্দে থাকা প্রয়োজন। ভূমি সংস্কারের সমালোচনা করে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, একজন দুজনকে ধনী বানিয়ে ২০ কোটি লোককে গরিব বানানোর বাজেট দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয় না। গ্রামে ভূমি সংস্কারের নামে বরাদ্দ হয়৷ কিন্তু ক্ষমতাবানরা ভূমি দখল করে। গরিবরা ও ভূমিহীনরা খাস জমি পায় না। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া ভূমি সংস্কার সম্ভব হবে না।

(ঢাকাটাইমস/১১জুন/এমআই/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এনআরবিসি ব্যাংকের ২০০তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত
পঞ্চগড় সদর বিএনপির সম্মেলন: সভাপতি দাউদ, সম্পাদক বাবু
এডিবি-আইএমএফের সহায়তা ছাড়াই বাস্তবসম্মত বাজেট দেওয়া সম্ভব: অর্থ উপদেষ্টা
বগুড়ায় বজ্রপাতে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা