দেশের প্রতিটা অর্জনে আওয়ামী লীগের অবদান রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের প্রতিটা অর্জনে আওয়ামী লীগের অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারুক সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম ‘প্লাটিনাম জুবিলী’ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
বিকাল পৌনে চারটার দিকে ‘গৌরবময় পথচলার ৭৫ বছরে আওয়ামী লীগ, সংগ্রাম সংকল্প সতত শপথে জনগণের সাথে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় যোগ দেন তিনি।
মঞ্চে উঠে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা। নেতাকর্মীরাও বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে দলীয় সভাপতির শুভেচ্ছার জবাব দেন।
বক্তব্যের শুরুতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার সাথে যারা যুক্ত ছিলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদ নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। বারবার আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। বারবার এই দলকে খণ্ড বিখণ্ড করা হয়েছে। সেই আইয়ুব খানের মার্শাল ল’ তখন থেকে শুরু করে বারবার এইভাবে আঘাত এসেছে। বারবার আঘাত করার পরও ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠেছে সংগঠন। দেশের প্রতিটা অর্জনে আওয়ামী লীগের অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের গণমানুষের সংগঠন, জনগণের অধিকার আদায়ের সংগঠন, জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের সংগঠন। তাই বারবার আঘাত এসেও এই সংগঠনকে কোনো ক্ষতি করতে পারে নাই।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের সুখে দুঃখে মানুষের পাশে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষের, বাঙালিদের যতটুকু অর্জন সে অর্জনটুকু আওয়ামী লীগের দ্বারাই।
‘পঁচাত্তরের পর যারাই অস্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে তারা কখনোই জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন করতে পারেনি। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। কিন্তু তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি।’
জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয় জিয়াউর রহমান।
এ সময় সংগঠনকে সবসময় সুসংহত রাখতে নেতাকর্মীদের তাগাদা দেন শেখ হাসিনা। বলেন, সংগঠনকে সুসংহত করতে হবে। যদি সংগঠন শক্তিশালী হয়, দেশের মানুষের ভালোবাসা থাকে... স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব।
যারা আওয়ামী লীগ ছেড়ে গেছে তারা সফল হতে পারেনি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, খুব বেশি দিনের কথা না, ২০০৭ সালে চেষ্টা করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে নতুন কিংস পার্টি গড়ে তুলবে। তাও সফল করতে পারেনি। তার কারণ আওয়ামী লীগের মূল শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। সাধারণ জনগণ, তৃণমূলের জনগণ, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী মুজিব আদর্শের সৈনিক। এই সৈনিক কখনো মাথা নত করে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগে থাকলে তারকা, আর ছেড়ে গেলে নিভে যায়। যারা দলের চেয়ে নিজেকে বড় মনে করেছেন এবং দল ছেড়ে গেছেন তারা ভুল করেছেন। আওয়ামী লীগে থাকা অবস্থায় তারকা থাকলেও পরবর্তীতে সে তারা আর জ্বলেনি, নিভে গেছে।
‘আপনারা দেখেন আকাশে মিটিমিটি তারা জ্বলে, তারা আলোকিত হয় কার দ্বারা? সূর্যের আলোতে আলোকিত হয়। যে সকল নেতারা ভুল করেছিলেন, তারা ভুলে গিয়েছিলেন, তারা আলোকিত আওয়ামী লীগের নেতৃতে ছিলেন বলেই। তারা এখান থেকে চলে যাওয়ার পর ওই তারা আর জ্বলে নাই, তারা আস্তে আস্তে নিভু নিভু। কেউ ভুল বুঝে হয়তো ফেরত এসেছে, আমরা নিয়েছি, আবার কেউ এখনও বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগ এই সরকার পতন, ধংস নানা জল্পনা কল্পনা করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বলেইতো বাংলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য যা আমরা প্রমাণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি বলেই বারবার জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/এইচএম/ইএস)

মন্তব্য করুন