ভারতের সঙ্গে সমঝোতার চুক্তির মাধ্যমে সার্বভৌমত্ব বিক্রি করা হয়েছে: ১২ দলীয় জোট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশটির সঙ্গে করা বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে ১০টি সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব বিক্রি বিকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।
জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেন, ১০ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো ভারত সফরে গিয়ে ভারতের সেবাদাস অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০টি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রকারান্তরে ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত করেছেন।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জোট নেতারা এসব কথা বলেন।
জোট নেতারা আরও বলেন, ভারতের প্রত্যক্ষ মদদে বাংলাদেশের জনগণের সকল অধিকার হরণ করে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে টানা চতুর্থবারের মতো অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে দেশ বিরোধী চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, শুধু ভারত নয়, সমগ্র আশপাশের প্রতিবেশি দেশগুলোর কাছেও তারা (আওয়ামী লীগ) আজকে পুরোপুরি মাথা নীচু করে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে। মিয়ানমার থেকে গুলি আসে জবাবটাও পর্যন্ত তারা দিতে পারে না। এই একটা অথর্ব নতজানু শাসকগোষ্ঠী আমাদের ওপরে চেপে বসে আছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারত আমাদেরকে ন্যায্য পানির হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। আমরা যে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিৎসা পাচ্ছি না, সেই ব্যাপারে কোনো চুক্তি হয়নি। উপরন্তু কী হয়েছে? তিস্তা প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করার জন্য, তাতে বিনিয়োগ করার জন্য ভারত প্রস্তাব করেছে। শুধুমাত্র অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য বাংলাদেশের জনগণের অধিকার হরণ করে ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তি স্বাক্ষর দেশবিরোধী। দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তি এই চুক্তি মানবে না মানবে না।
জোট নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের বুকের ভেতর দিয়ে ভারতের রেলপথ এবং বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট ব্যবস্থাপনায় ভারতের সরাসরি টেকনিক্যাল অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করে কৌশলগত সব দিক ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছেন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১২ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দেশবাসীকে এই অবৈধ সমঝোতা চুক্তি ও ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাঁড়ানোর উদাত্ত আহবান জানান।
বিবৃতিতে সই করেন ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম সহ জোটের শীর্ষ নেতারা।
(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/জেবি/এসআইএস)

মন্তব্য করুন