কর্মচারীদের দাবিতে ‘সুপারিশ’ দিয়ে মুক্ত বুয়েট উপাচার্য

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবির মুখে তাদের দাবিতে সুপারিশ দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।
সোমবার রাত ৯টার দিকে উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিনিধিরা।
পরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার সুপারিশ করার পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
উপাচার্যের সুপারিশসহ আবেদনপত্রের একটি অনুলিপি ঢাকা টাইমসের হাতে এসেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পদোন্নতি সংক্রান্ত নীতিমালা-২০১৫ রহিত সংক্রান্ত অফিস আদেশটি বাতিল করে নতুন নীতিমালা অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত নীতিমালা-২০১৫ বহালের দাবি জানিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এই দাবিতে সোমবার বিকালে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সংশ্লিষ্ট খবর: বুয়েট উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার অবরুদ্ধ
জানা যায়, বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ আগামীকাল মঙ্গলবার শেষ হতে চলেছে। এরইমধ্যে নীতিমালা-২০১৫ বাতিলের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫৪০তম সভায় ২৭-১২-২০২৩ তারিখের পরবর্তী সময়ে নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারী পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রাপ্যতার জন্য বিবেচিত হবেন না বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ বিষয়টি জানিয়ে গতকাল রবিবার বুয়েট কতৃপক্ষ একটি অফিস আদেশ জারি করে।
সেই আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়, নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে যাদেরকে পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদান করা হয়েছে তা অপরিবর্তিত থাকবে। নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে যাদেরকে পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদান করা হয়েছে, তাদের চাকুরী শেষ হলে/পদত্যাগ করলে/অপসারণ/পদচ্যুত করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের অর্গানোগ্রাম বর্হিভূত পদ বিলুপ্ত হবে এবং অর্গানোগ্রামভূক্ত মূল পদ শূন্য হবে।
এছাড়াও ২৭-১২-২০২৩ তারিখের পরবর্তী সময়ে প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে পদোন্নতি, পদোন্নয়ন, সিলেকশন গ্রেড, সিনিয়র গ্রেড স্কেল প্রদানে সরকারি নীতিমালা এবং ইউজিসি অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম প্রযোজ্য হবে। কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি সরকারি নীতিমালায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত নীতিমালা-২০১৫ এর মাধ্যমে প্রাপ্ত গ্রেডের চেয়ে উচ্চতর গ্রেড অথবা পদপ্রাপ্ত হন তাহলে তা প্রদান করা হবে।
সব সিদ্ধান্ত উল্লেখপূর্বক অনুমোদনের জন্য ইউজিসিতে প্রেরণ করা হবে বলেও ওই অফিস আদেশে জানানো হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/এসকে/এসআইএস)

মন্তব্য করুন